leadT1ad

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য: প্রধান উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১২: ৪৯
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১২: ৫৭
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে উচ্চমাত্রার সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছিল, তা কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে হোয়াইট হাউস। শুক্রবার (বাংলাদেশ সময়) এই ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন জানায়, একাধিক দফা আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে দুই দেশ। বাংলাদেশের জন্য এ ঘোষণাকে 'একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়' বলে অভিহিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি অর্জনের জন্য বাংলাদেশের শুল্ক আলোচক দলকে অভিনন্দন জানাই। এটি নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়।’

আলোচনার দীর্ঘ পথ

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আলোচনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা একাধিকবার বসেছেন আলোচনার টেবিলে। যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া ছিল বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, অভ্যন্তরীণ বাজারে নীতি সমন্বয় এবং আমদানি বৈচিত্র্য বৃদ্ধি। বাংলাদেশ শুল্ক ছাড়ের পাশাপাশি এসব ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখানোর কৌশল গ্রহণ করে।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুল্কহার প্রত্যাশার তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনায় আমাদের আলোচকেরা ব্যতিক্রমী কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ দিয়েছেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের আলোচক দল বছরের শুরু থেকেই কঠিন আলোচনায় নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিশ্রম করেছে। তাঁরা কেবল শুল্ক নয়, বরং অশুল্ক বাধা, নিরাপত্তা উদ্বেগ ও কৌশলগত অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়গুলো দক্ষভাবে মোকাবিলা করে একটি অনুকূল চুক্তির ভিত্তি তৈরি করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই অর্জন কেবল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে তা নয়, বরং নতুন সুযোগ, দ্রুততর প্রবৃদ্ধি এবং টেকসই সমৃদ্ধির পথও উন্মুক্ত করেছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আজ নিঃসন্দেহে আরও উজ্জ্বল।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত