leadT1ad

দোহারে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

হত্যার শিকার হারুন-অর-রশিদ ওরফে হারুন মাস্টার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাহ্রা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭: ০২
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৯: ৪৯
নিহত বিএনপি নেতা হারুন-অর-রশিদ ওরফে হারুন মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দোহারে হারুন-অর-রশীদ (৬৫) নামে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বাহ্রাঘাটের জাবেদের মোড় এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। চারজন সন্ত্রাসী দুটি মোটরসাইকেলে এসে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা দেছে।

হত্যার শিকার হারুন-অর-রশিদ ওরফে হারুন মাস্টার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাহ্রা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ছিলেন বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক। চলতি মাসেই (জুলাই) তাঁর চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে প্রতিদিনের মতো পদ্মার পাড়ে হাঁটতে গিয়েছিলেন হারুন মাস্টার। এ সময় বাহ্রাঘাটের জাবেদের মোড় এলাকায় পৌঁছলে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন যুবক এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চার রাউন্ড গুলি করে চলে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হারুন মাস্টারকে উদ্ধার করে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্নি তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হারুন মাস্টারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর সহকর্মী ও রাজনৈতিক নেতারা হাসপাতালে ছুটে আসেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ওয়াসিম জানান, মোবাইল ফোনে একটি কল পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে হারুন মাস্টারের নিথর দেহ পরে থাকতে দেখেন। পরে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন।

দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা প্রথমে ঘটনাস্থল ও পরে হাসপাতালে গিয়েছি। প্রাথমিক সুরতহাল থেকে হারুন মাস্টারের শরীরে ৪টি গুলি ও ধারালো অস্ত্রের ৫-৬ টি কোপ লেগেছে বলে জানতে পেরেছি। বাকিটা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে।’

হারুন মাস্টার হত্যাকাণ্ডের পর বাহ্রাঘাট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশসহ মাঠে নেমেছে র‌্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে রাজনৈতিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে বলে গুঞ্জন আছে।

এদিকে হারুন মাস্টারের মৃত্যুর খবর পেয়ে উপজেলার জয়পাড়া এলাকায় অবস্থিত সরকারি হাসপাতালের সামনে জড়ো হয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। মিছিলটি হাসপাতাল এলাকা থেকে বের হয়ে জয়পাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এই বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকে ফোন করেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি।

Ad 300x250

মৃত্যুর মুখেও গাড়ি থেকে কেউ কাউকে ছেড়ে বের হননি

ঢাবিতে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শন: মুখোমুখি শিবির ও বামপন্থীরা

‘এই বছরেই তারেক রহমান দেশে আসবেন’

জামায়াতে ইসলামীকে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার দায় স্বীকারের আহ্বান ৩২ বিশিষ্ট নাগরিকের

‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়নি’, সংশোধন চায় জামায়াত

সম্পর্কিত