leadT1ad

ড. ইউনূস সরকারের বৈধতা নিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি চলছে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১১
হাইকোর্ট ভবন। ছবি: সংগৃহীত

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠনকে বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে।

আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। দ্বিতীয় দিনের এই শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনি যুক্তি তুলে ধরছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠনপ্রক্রিয়া সাংবিধানিকভাবে কতটা সিদ্ধ, সেই প্রশ্নের চূড়ান্ত ফয়সালা হবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। হাইকোর্ট আগেই এই সরকারকে বৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের বা আপিলের অনুমতির শুনানিই এখন গড়িয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।

সংবিধানের বিদ্যমান কাঠামোর বাইরে গিয়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে যে সরকার গঠিত হয়েছে, তার আইনি ভিত্তি কী এটাই এখন আদালতের সামনে মূল বিচার্য বিষয়।

গতকাল মঙ্গলবারের শুনানিতে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি আইনি পয়েন্ট সামনে এনেছেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি আদালতে যুক্তি দিয়েছেন, জনগণের বৈধতাই হলো সবচেয়ে বড় বৈধতা। অর্থাৎ, কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে যখন সংবিধানের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, তখন জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসই সরকারের বৈধতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। আইনের ভাষায় একে অনেক সময় ডকট্রিন অব নেসেসিটি বা অনিবার্যতার নীতি এবং গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট হিসেবে দেখা হয়।

এই আইনি লড়াইয়ের সূত্রপাত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন।

হাইকোর্ট সেই রিট খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, দেশের জনগণ যখন এই সরকারকে গ্রহণ করেছে এবং বৈধতা দিয়েছে, তখন এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। হাইকোর্টের সেই রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে মহসিন রশিদ আপিল বিভাগে এসেছিলেন। তবে গত ১২ নভেম্বর শুনানির সময় আদালত সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে এবং আপিল বিভাগ তাঁর কাছে ব্যাখ্যাও চেয়েছিলেন।

সেই পরিস্থিতি পেরিয়ে এখন চলছে মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত