leadT1ad

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা

তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের খালাসের রায় আপিলে বহাল

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০: ১৮
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ১৫
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা। স্ট্রিম গ্রাফিক্স

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাস করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় কিছু পর্যবেক্ষণসহ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তবে রায়ের কিছু অংশ সংশোধন ও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মামুন, লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এবং অন্য আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন এসএম শাহজাহান।

এদিকে এই মামলায় চূড়ান্ত খালাস পাওয়ার পর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

গত ২১ আগস্ট আপিলের ওপর পাঁচ দিনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায়ের এই দিন ঠিক করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রাখার আরজি জানিয়েছে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ ও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার আবেদন করেছেন।

এর আগে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) থেকে রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে গত ১৭ জুলাই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ জুলাই, ১৯ আগস্ট, ২০ আগস্ট শুনানি হয়। পঞ্চম দিন ২১ আগস্ট শুনানি শেষ হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক নেতা-কর্মী। বিচারপ্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপে আপিল শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার পর্যায়ে এসেছে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তখন মামলা হয়েছিল মতিঝিল থানায়। মামলার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে তখন নানা বিতর্ক উঠেছিল। ২০০৭ সালে এক-এগারোয় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলার তদন্ত নতুনভাবে শুরু করে সিআইডি। সংস্থাটি ২২ জনকে আসামি করে পরবর্তী বছরে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) অধিকতর তদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় দেয়। রায়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড করা হয়।

এরপর হাইকোর্টে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল, জেল আপিল ও বিবিধ আবেদনের ওপর শুনানি হয়। পরে গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রায় দেয়। রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল হয়। ফলে মামলা থেকে সবাই খালাস পান।

গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়।

দেশের ইতিহাসে এটা এক জঘন্য মর্মান্তিক ঘটনা, যেখানে আওয়ামী লীগের নেতা আইভি রহমানসহ বহু মানুষ প্রাণ হারান। যারা মারা গেছেন, তাদের প্রতি ন্যায়বিচারের জন্য এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে তদন্ত হওয়া দরকার, যা এ মামলার ক্ষেত্রে এখনো সম্পূর্ণ অনুপস্থিত—হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমনটাই বলা হয়।

যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এ মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত—রায়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ।

Ad 300x250

হেফাজতের হুঁশিয়ারি: সংগীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না হলে আন্দোলন

রূপপুর প্রকল্পে কেনাকাটায় অনিয়ম: শাস্তি পেলেন দুই প্রকৌশলী

দুই বছরে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী পেল থাইল্যান্ড

ডাকসু নির্বাচন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘শিক্ষার্থী সংসদ’ গ্রুপের অ্যাডমিনকে তলব

ট্রাভেল ডকুমেন্ট কী, তারেক রহমানের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে আলোচনা কেন

সম্পর্কিত