স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে সেই রায় চেম্বার আদালতে স্থগিত হয়েছে। বর্তমানে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই।
এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা এসেছিল। ডাকসুতে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করেছিলেন বি এম ফাহমিদা আলম।
এস এম ফরহাদ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। এবার ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচন করছেন তিনি। অন্যদিকে ফাহমিদা লড়ছেন মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক পদে। তাঁর প্যানেলের নাম ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএলের (বাংলাদেশ জাসদ) সমন্বয়ে এই প্যানেল তৈরি হয়েছে।
এস এম ফরহাদের বিপক্ষে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন অনেকে। ফাহমিদার অভিযোগও তাই। আর এই কারণে রিট করেছেন তিনি। তবে শুধু ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতা নয়, ছাত্রশিবিরের একজন সদস্য হিসেবে ফরহাদ ডাকসু নির্বাচন করতে পারেন কি না–এ অভিযোগও করেন ফাহমিদা। যেহেতু, ডাকসুর গঠনতন্ত্রে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার কথা বলা হয়েছে।
রিটের বিষয়ে ফাহমিদা স্ট্রিমকে বলেন, ‘এস এম ফরহাদ এখনো ছাত্রলীগের কমিটিতে আছেন এবং তিনি আসলে পদত্যাগ করেন নাই। এবং এরপরে তিনি ইসলামী ছাত্রশিবির—যারা হচ্ছে ডাকসু গঠনতন্ত্রের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে, সেরকম কমিটিতে থেকেও তিনি ডাকসু নির্বাচন করছেন। তো এই দুটাই হচ্ছে কারণ (রিট করার)।’
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে স্ট্রিমের পক্ষ থেকে ফরহাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কিছু বলেননি।
তবে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রিটকারীকে শুভেচ্ছা জানান ফরহাদ। তাঁকে ‘বামজোটের নেত্রী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দল কর্তৃক দীর্ঘ সময় ধরে ছবি এডিট করে, ভিডিও বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেয়ে আপনার আইনি উদ্যোগ তুলনামূলক ভালো অ্যাপ্রোচ।’
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ আরও বলেন, ‘এ ধরনের রিট সবচেয়ে ভালো হতো আরও আগে করলে। সাত দিন আগে, ইলেকশনের আগ মুহূর্তে কেন করেছে আমি জানিনা। আরও আগে করতে পারতেন।’
ডাকসু নির্বাচন হবে—এমন খবর আসার পর ফের সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। সেখানে ফরহাদ বলেন, আমরা জানি কারা নির্বাচনকে ভয় পায়। আমরা জানি কারা মৌখিকভাবে সামনে অভিনয় করলেও, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মেকি অভিনয় করলেও নির্বাচনকে মূলত ভয় পায়।
ডাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র শিক্ষার্থীরা রুখে দেবে বলেও জানান তিনি।
ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই মাসের জন্য (৩০ অক্টোবর পর্যন্ত) ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে আজ সোমবার রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কোন প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই ও চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং ভোটের প্রস্তুতির প্রক্রিয়া কী—এ বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়।
সেই আদেশের পরেই হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালতে আপিল করার কথা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির। তিনি আরও বলেন, ‘পিটিশনার তাঁর পিটিশনে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চাননি। তারপরও হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করেছেন, এটি অনেকটা নজিরবিহীন।’
পরে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। শিশির মনির তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি প্রশাসন জানায় আগামী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন হতে আর কোনো বাধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে সেই রায় চেম্বার আদালতে স্থগিত হয়েছে। বর্তমানে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই।
এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা এসেছিল। ডাকসুতে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করেছিলেন বি এম ফাহমিদা আলম।
এস এম ফরহাদ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। এবার ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচন করছেন তিনি। অন্যদিকে ফাহমিদা লড়ছেন মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক পদে। তাঁর প্যানেলের নাম ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএলের (বাংলাদেশ জাসদ) সমন্বয়ে এই প্যানেল তৈরি হয়েছে।
এস এম ফরহাদের বিপক্ষে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন অনেকে। ফাহমিদার অভিযোগও তাই। আর এই কারণে রিট করেছেন তিনি। তবে শুধু ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতা নয়, ছাত্রশিবিরের একজন সদস্য হিসেবে ফরহাদ ডাকসু নির্বাচন করতে পারেন কি না–এ অভিযোগও করেন ফাহমিদা। যেহেতু, ডাকসুর গঠনতন্ত্রে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার কথা বলা হয়েছে।
রিটের বিষয়ে ফাহমিদা স্ট্রিমকে বলেন, ‘এস এম ফরহাদ এখনো ছাত্রলীগের কমিটিতে আছেন এবং তিনি আসলে পদত্যাগ করেন নাই। এবং এরপরে তিনি ইসলামী ছাত্রশিবির—যারা হচ্ছে ডাকসু গঠনতন্ত্রের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে, সেরকম কমিটিতে থেকেও তিনি ডাকসু নির্বাচন করছেন। তো এই দুটাই হচ্ছে কারণ (রিট করার)।’
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে স্ট্রিমের পক্ষ থেকে ফরহাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কিছু বলেননি।
তবে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রিটকারীকে শুভেচ্ছা জানান ফরহাদ। তাঁকে ‘বামজোটের নেত্রী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দল কর্তৃক দীর্ঘ সময় ধরে ছবি এডিট করে, ভিডিও বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেয়ে আপনার আইনি উদ্যোগ তুলনামূলক ভালো অ্যাপ্রোচ।’
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ আরও বলেন, ‘এ ধরনের রিট সবচেয়ে ভালো হতো আরও আগে করলে। সাত দিন আগে, ইলেকশনের আগ মুহূর্তে কেন করেছে আমি জানিনা। আরও আগে করতে পারতেন।’
ডাকসু নির্বাচন হবে—এমন খবর আসার পর ফের সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। সেখানে ফরহাদ বলেন, আমরা জানি কারা নির্বাচনকে ভয় পায়। আমরা জানি কারা মৌখিকভাবে সামনে অভিনয় করলেও, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মেকি অভিনয় করলেও নির্বাচনকে মূলত ভয় পায়।
ডাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র শিক্ষার্থীরা রুখে দেবে বলেও জানান তিনি।
ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই মাসের জন্য (৩০ অক্টোবর পর্যন্ত) ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে আজ সোমবার রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কোন প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই ও চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং ভোটের প্রস্তুতির প্রক্রিয়া কী—এ বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়।
সেই আদেশের পরেই হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালতে আপিল করার কথা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির। তিনি আরও বলেন, ‘পিটিশনার তাঁর পিটিশনে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চাননি। তারপরও হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করেছেন, এটি অনেকটা নজিরবিহীন।’
পরে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। শিশির মনির তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি প্রশাসন জানায় আগামী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন হতে আর কোনো বাধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
হাইকোর্টের দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিতের আদেশ বাতিল করেছেন চেম্বার জজ আদালত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপর ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ও উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
৪০ মিনিট আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক ৩৬ দিনের সঙ্গে মিল রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল।
১ ঘণ্টা আগেনিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা প্রশ্নে হাইকোর্টের রায় মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করা হবে।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রাজধানীর রামপুরায় ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনকে গুলি করাসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স লইয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে