leadT1ad

নিজাম হাজারীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৬
দুদক কার্যালয়। ফাইল ছবি

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৪৩ কোটি ৩১ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন তথা মানিলন্ডারিংয়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ (মঙ্গলবার) দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক( প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘নুরজাহান বেগম কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ফেনী শাখার একটি চলতি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ টাকারও বেশি সন্দেহজনক লেনদেন করার অপরাধ অনুসন্ধানকালে প্রমাণিত হয়েছে।’

এ কারণে নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় একটি মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে তিনি জানান।

দুদকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, নুরজাহান বেগম গত ১০ এপ্রিল দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮১৮ টাকার সম্পদ অর্জনের উল্লেখ করেন। তবে অনুসন্ধানে তাঁর নামে ১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৩৪ টাকার বৈধ আয়ের উৎস পায় দুদক। এই আয় থেকে তার পারিবারিক ব্যয় ৮ কোটি ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৪৬৭ টাকা বাদ দিলে নীট সঞ্চয় দাঁড়ায় ৮ কোটি ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ টাকা।

দুদকের হিসাবে, নুরজাহান বেগমের মোট ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের বিপরীতে বৈধ সঞ্চয় মাত্র ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ফলে তার ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ, যা তার মোট প্রদর্শিত সম্পদের ৮৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

দুদক আরও জানায়, নুরজাহান বেগম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ফেনী শাখায় একটি চলতি হিসাব পরিচালনা করেন।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ২২ মে থেকে ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ওই হিসাবে মোট ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে জমা পড়েছে ২৩ কোটি ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯ টাকা এবং উত্তোলন করা হয়েছে ২০ কোটি ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭০৪ টাকা।

দুদকের মতে, এই বিপুল পরিমাণ লেনদেন তাঁর বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুদকের উপসহকারী পরিচালক এ এম তাহের বাদী হয়ে শিগগিরই মামলাটি দায়ের করবেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত