leadT1ad

কুষ্টিয়ায় দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর, মামলা করতে চাইছেন না ভুক্তভোগীরা

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার স্বরূপদহ এলাকার পালপাড়ার একটি কালী মন্দিরে তিন বছর যাবৎ দুর্গাপূজার আয়োজন করছে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে এবার প্রথম প্রতিমা ভাঙচুরের শিকার হলো তারা।

স্ট্রিম সংবাদদাতা
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর, মামলা করতে চাইছে না সংশ্লিষ্টরা। স্ট্রিম ছবি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি মন্দিরে দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে উঠেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কে বা কারা উপজেলার স্বরূপদহ এলাকার পালপাড়া শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মন্দিরে নির্মাণাধীন দুটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় মামলা করতে চাচ্ছেন না মন্দির ও পূজা উদযাপন কমিটির কেউ।

স্বরূপদহ এলাকার পালপাড়ার ওই কালী মন্দিরে তিন বছর ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করছে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে এবার প্রথম প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। খবর পেয়ে আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান, র‌্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার সুদীপ্ত সরকারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কুষ্টিয়ায় দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর, মামলা করতে চাইছে না সংশ্লিষ্টরা। স্ট্রিম ছবি
কুষ্টিয়ায় দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর, মামলা করতে চাইছে না সংশ্লিষ্টরা। স্ট্রিম ছবি

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই বৃষ্টি ছিল এলাকায়। মন্দিরের দায়িত্বরত ব্যক্তিরাও সেখানে ছিলেন না। এ সময় দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটাতে পারে।’

মন্দিরের দায়িত্বরত ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, মন্দিরের প্রতিমাগুলোর মধ্যে কার্তিকের হাত, গলা এবং সরস্বতীর হাত ও মুকুট ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে তাঁদের বাহন রাজহংস ও ময়ূরও ভাঙা পাওয়া গেছে।

মন্দির কমিটির সভাপতি অমরেশ ঘোষ অভিযোগ করেন, `মন্দিরে কার্তিক ও সরস্বতী প্রতিমার মাথা ও হাত ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না, আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও পড়ছিল। এই সুযোগে কে বা কারা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।‘

কুষ্টিয়ায় দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর, মামলা করতে চাইছে না সংশ্লিষ্টরা। স্ট্রিম ছবি
কুষ্টিয়ায় দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর, মামলা করতে চাইছে না সংশ্লিষ্টরা। স্ট্রিম ছবি

অমরেশ ঘোষ বলেন, ‘টিন শেডে ঘেরা অস্থায়ী এই মন্দিরে প্রতিদিনই পাহারা দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ না থাকার সুযোগে এটি ভাঙচুর করা হয়েছে। সামনে দুর্গাপূজা, প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়েছিল। আজ (সোমবার) থেকে রংয়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।’

মন্দিরের সেক্রেটারি বাদল কুমার দে বলেন, ‘বিগত তিন বছর ধরে উৎসব মুখর পরিবেশে আমরা এখানে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছি। এই ঘটনা আমাদের আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিল।’

এদিকে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করতে চাইছেন না মন্দির কমিটি ও দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির কেউ। এ সম্পর্কে জানাতে চাইলে মিরপুর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় মন্দির কমিটি ও দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির কেউ নির্দিষ্ট করে কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইছেন না। অজ্ঞাতনামা আসামি করে আইনি ভিত্তিতেই মামলা করা যায় বলে জানিয়েছিলাম তাদের। কিন্তু তারা রাজি হচ্ছেন না।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত