জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত এবং তারা তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা বজায় রাখতে পারছে না। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এনসিপির নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা’ পেতে কোনো বাধা নেই এবং এ বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিটি ড্রিম কনভেনশন হলে আয়োজিত এনসিপির এক সমন্বয় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী প্রতীক শাপলা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘এনসিপির শাপলা পেতে কোনো বাঁধা নেই। আইন নিয়ে যারা পড়ান বা পড়াশোনা করেন তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, শাপলা পেতে কোনো বাঁধা নেই। তালিকায় শাপলা অন্তর্ভুক্ত বা বাতিল—এটা কমিশনের ব্যাপার।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কমিশন যদি স্বেচ্ছাচারিতা করে, আমাদেরও রাজপথ বেছে নিতে হবে।’ সারজিস আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি তাদের মনমতো স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে বলতে থাকে যে এনসিপি শাপলা পাবে না, তবে দেশের জনগণ বিশ্বাস করবে যে তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে উপহার দিতে পারবে না।
আগামীর বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এনসিপির এই নেতা বলেন, তিনি আগামীর বাংলাদেশে দুটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল দেখতে চান। তিনি ভারতীয় আধিপত্য ও আওয়ামী লীগের প্রশ্নে পূর্বের ন্যায় লড়াই করে যাবেন বলেও জানান। তাঁর দাবি, এককভাবে জামায়াত বা বিএনপি শক্তিশালীভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারবে না, এ জন্য এনসিপি বা তরুণ প্রজন্ম অপরিহার্য। এই শক্তিশালী ভিত্তি নিয়েই তাঁরা আগামী সংসদ নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে।
তবে জোটবদ্ধ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনসিপি এখন পর্যন্ত কারো সঙ্গে গিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদি নির্বাচন করে, তবে অবশ্যই একটি কমিটমেন্টের ভিত্তিতে করবে। সেই কমিটমেন্ট হবে আগামীর বাংলাদেশে জুলাই সনদের প্রত্যেকটি সংস্কারের বাস্তবায়নে কাজ করা।
মানিকগঞ্জ জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট এ এইচ এম মাহফুজের সঞ্চালনায় এবং প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহিদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, যুগ্ম সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোজাহিদুর রহমান মুরাদ, গালিবুর রহমানসহ সাতটি উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা।