leadT1ad

ডাকসু নির্বাচন

প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ২০: ৩০
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ থেকে জিএস প্রার্থী খায়রুল আহসান মারজান। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেল সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ।

আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে ডাকসু নির্বাচনে আচরণবিধির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসিনতার তীব্র সমালোচনা করে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী খায়রুল আহসান মারজান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা নানাভাবে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছে। এটি স্পষ্টত আচরণ বিধির লঙ্ঘন। উমামা ফাতেমা গতকাল রাত ১/২ পর্যন্ত মেয়েদের হলগুলোতে প্রচারণা চালিয়েছেন। এমনকি এখনো পর্যন্ত প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, যেটি তাদের নিরপেক্ষ অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘ছাত্রদল ভিপিপ্রার্থী আবিদ হলে হলে, লাইব্রেরিতে গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ছাত্র শিবিরের প্যানেল প্রতিদিন ঘোষণা দিয়ে দিয়ে প্রচারণা করছে। তাহলে নির্বাচন কমিশন কেন বাকিদেরকে প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না? আমরা প্রশাসনের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাখলাম।’

পাশাপাশি ছাত্রদলের জিএস প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মারজান বলেন, ‘ফর্ম তুলতে যাওয়ার সময় হাততালি দেওয়া, স্লোগান দেওয়া, স্পষ্টত আচরণবিধি লঙ্ঘন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে এটা জানিয়েছি। সেটা জানানো সত্ত্বেও তারা এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ কারোর বিরুদ্ধে নেননি। আমরা দেখার অপেক্ষায় আছি, প্রশাসন কি নিরপেক্ষ অবস্থা ধরে রাখে, নাকি আগামীতে যে দল ক্ষমতায় আসবে সেই দলের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য ডাকসু আয়োজন করছে।’

নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের অপ্রতুলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এক একটি হলে শিক্ষার্থীসংখ্যা অনেক বেশি। লাইন ধরে ৪১টি ভোট প্রদান করা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ১৮টি হলের জন্য ভোটকেন্দ্র আটটি। এগুলোতে দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ ও গণনা সম্ভব হবে না। কুয়েত মৈত্রী ও ফজিলাতুন্নেছা হলের কেন্দ্র চাইলে সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটে নেওয়া যায়। এতে ভোটারের চাপ কমে আসবে। এবং দিনের ভোটকে রাতের অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। গত নির্বাচনে রাত ৩টায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ফলাফল যেন রাত ৩টার সময় ঘোষণা না করা হয়। রাতের ভোটের ফলাফল আমরা দেখতে চাই না।’

বিগত ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানির ‘মাই ম্যান’ জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতার সমালোচনা করে মারজান বলেন, ‘আমরা আমাদের হামলাকারীদের সাথে একই ডাকসুতে অংশগ্রহণ করবো কিনা এটি একটা শঙ্কার বিষয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য জুলিয়াস সিজারের প্রতিপক্ষকে সে মেরে হল থেকে তাড়িয়ে দেয়। এই ডাকসুতে সে আমাদের প্রতিপক্ষ হওয়ায় আমরা শঙ্কিত। অতিসত্বর তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রাখলাম। এই ডাকসু যেন একটি ক্ষমতার লড়াই, টাকা পয়সা উড়ানোর লড়াই না হয়ে ওঠে। এই ডাকসুকে যেন সঠিকভাবে ব্যবহার করার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা সেজন্য সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ৯টি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

Ad 300x250

যে ছয় মাস আছি, প্রত্যেক জেলায় লিগ্যাল এইডের ব্যবস্থা করে যাব: আইন উপদেষ্টা

মুসলমানি-বাংলা থেকে বাংলাদেশি: ভাষার রাজনৈতিক বিভাজন

রোহিঙ্গারা অধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরতে প্রস্তুত: খলিলুর রহমান

ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের পাটশিল্পে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা

‘রোহিঙ্গা সংকট স্থবির হয়ে আছে, সমাধানে আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক সক্রিয়তা জরুরি’

সম্পর্কিত