leadT1ad

রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৪
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্ট্রিম ছবি

রাজনৈতিক দলের কোনো নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনে যদি পুলিশ কোনো দলকে বিশেষ সুবিধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করেছি। কারো কোনোরকম নেগলিজেন্স (অবহেলা) থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আগে যেমন জিডি করে রাখা হত শুধু, কিন্তু এবার সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।’

পুলিশের প্রতি কী নির্দেশনা থাকবে—প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আমার নির্দেশনা হচ্ছে নির্বাচন হতে হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল এবং উৎসবমুখর। পুলিশের কেউ এসবের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে এখনই সেই পাওয়ার আছে এবং নির্বাচন এলে বন্ধ হবে কিনা সেই প্রশ্ন তখনই করতে হবে।’

নির্বাচনের আগে পুলিশ রদবদল হবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের ম্যাক্সিমাম চেঞ্জ করার চেষ্টা করা হবে। প্রথমত, যারা তিনটি নির্বাচনের সাথেই জড়িত ছিল, তাদের বাদ দেওয়া হবে। এরপর দেখা হবে যারা দুটির সঙ্গে জড়িত ছিল। যেহেতু নতুন লোক রিক্রুট করে নতুন ওসি নিয়ে আসা সম্ভব নয়, তাই লোকবলের একটি লিমিটেশন আছে। যদি কেউ একটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকে কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো রিপোর্ট না থাকে, তাকে হয়তো ব্যবহার করতে হবে।’

বিগত সরকারের সময়ে লুট হওয়া অস্ত্র এখনও পুরোপুরি উদ্ধার হয়নি, কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড ও অস্ত্র চুরির অভিযোগ উঠেছে—এসব ঘটনা নিরাপত্তা-দুর্বলতা প্রমাণ করে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার প্রধান একজন সিনিয়র সচিব। তিনি ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশে চিঠি দিয়েছেন এবং দুই-একটি দেশ থেকে প্রতিনিধি চলে এসেছে। অস্ত্র চুরির বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে কয়টি বা আদৌ কোনো হাতিয়ার চুরি হয়েছে কিনা। যদি চুরি হয়ে থাকে, তবে দায়ী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘চিটাগাংয়ের রাউজানে একটি অপারেশন চালিয়ে ১১টি হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে ধরা হয়েছে। রাউজান এবং ফটিকছড়িকে ‘ডিফিকাল্ট এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, কারণ এই উপজেলাগুলো অর্ধেক পাহাড় এবং অর্ধেক সমতল এলাকা।’

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত