leadT1ad

ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়ায় ‘অস্বচ্ছতা’ দেখিনি: হাসিনার আইনজীবী

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ১০
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনো অস্বচ্ছতা দেখেননি বলে জানিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) মো. আমির হোসেন। একইসঙ্গে তিনি তাঁর মক্কেলদের খালাস পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন। জুলাই গণহত্যা মামলায় আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইনজীবী আমির হোসেন।

বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনো অস্বচ্ছতা আমি দেখিনি। আমার কাজে কেউ কোনো রকম হস্তক্ষেপ করেননি। এ ছাড়া কোনো অস্বচ্ছতা আছে কি না, তা জানা নেই।

আদালতে সহযোগিতা পেয়েছেন কি না— এমন প্রশ্নে আমির হোসেন বলেন, মামলায় লড়তে গেলে যে সহযোগিতা সবার আগে লাগে সেটা হলো আসামিদের পক্ষ থেকে দলিল, তথ্য দিয়ে সহায়তা করা। সে বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমাকে যথেষ্ট কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যেসব কাগজপত্র, ডকুমেন্ট, দলিল পেয়েছি সেই ভিত্তিতে আমাকে লড়তে হয়েছে।

আসামির উপস্থিতির সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসামি উপস্থিত থাকলে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, অর্থাৎ সব ধরনের প্রমাণাদি হয়তো তারা দিতে পারতেন। সেসব দিয়ে আমি লড়াই করতে পারতাম। আমার তরফ থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। আমার চেষ্টায় কেউ কোনো বাধাও দেননি।

নিজের মক্কেলদের প্রসঙ্গে স্টেট ডিফেন্স বলেন, এ মামলার রায়ের দিনের জন্য আজ তারিখ ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৭ নভেম্বর (সোমবার) রায় ঘোষণা করা হবে। প্রত্যাশা করছি আমার মক্কেলরা (ক্লায়েন্ট) খালাস পাবেন। এটা আমি বিশ্বাস করি।"

কোন যুক্তিতে আসামির খালাস পাবেন বলে মনে করছেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা বিভিন্ন সময়ে আমি বলেছি। সাক্ষীদের জবানবন্দির পর জেরায় বিভিন্ন রকমের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য আনতে সক্ষম হয়েছি। সেসব জায়গায় আমি কন্ট্রোভার্সি ক্রিয়েট করার চেষ্টা করেছি। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দালিলিক সাক্ষীর ওপরও কন্ট্রোভার্সি ক্রিয়েট হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। সবকিছু মিলিয়ে আমার আসামিরা (শেখ হাসিনা ও কামাল) খালাস পাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

নিজেকে বাঁচানোর জন্য শেখ হাসিনা ও কামালের ওপর ভর করে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছিলেন বলেও দাবি করেন স্টেট ডিফেন্স আমির হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে জুলাই গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের রায়ের দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ দিন নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা। শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। এছাড়া মামুনের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদও ছিলেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত