leadT1ad

রাজনীতিকদের হাতেই দুর্নীতিবাজদের অনেকে লালিত: দুদক চেয়ারম্যান

চুয়াডাঙ্গায় গণশুনানিতে দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘দুর্নীতির উৎস হচ্ছে এক ধরনের রাজনীতিবিদদের দ্বারা। তাদের হাতেই লালিত হন দুর্নীতিবাজদের মধ্যকার অনেকে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি।’

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার ডিসি সাহিত্য মঞ্চে সোমবার গণশুনানিতে বক্তব্য দেন দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন। স্ট্রিম ছবি

দেশে রাজনীতিকদের হাতেই দুর্নীতিবাজদের অনেকে লালিত হন বলে মন্তব্য করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘দুর্নীতির উৎস হচ্ছে এক ধরনের রাজনীতিবিদদের দ্বারা। তাদের হাতেই লালিত হন দুর্নীতিবাজদের মধ্যকার অনেকে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে চুয়াডাঙ্গার ডিসি সাহিত্য মঞ্চে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আগে মনোনয়ন বাণিজ্যসহ অবৈধ টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। এজন্য এখনই সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক লোকটিকে নির্বাচিত করতে হবে। দুর্নীতি যে করে, তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন।’

আবদুল মোমেন বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা), তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা করা হয়েছে। তার সফল পরিণতির দিকে আমরা যেতে পারব। দুর্নীতির মামলায় অনেক আসামি দেশের সীমান্তের মধ্যে নেই। তারা কীভাবে, কোন উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে, তা সবাই জানে। এমনও তো হতে পারে যে, তারা এই চুয়াডাঙ্গা সীমান্তই পাড়ি দিয়েছে। ফলে কে কোন দেশে অবস্থান নিয়েছে, তা আমাদেরও অজানা না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা চুয়াডাঙ্গায় জেলায় দুদকের কার্যালয় স্থাপনের বিষয়টি নোট নিয়েছি। এ বিষয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে উপযুক্ততা যাচাই করা হবে। এটি আমাদের বিবেচনার মধ্যে থাকছে।’

গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার ২৬টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ৯৫টি অভিযোগের শুনানি হয়। এর মধ্যে ৩৩টি অভিযোগ তাৎক্ষণিক শুনানিতে নিষ্পত্তি হয়। খারিজ হয় ৭টি। এ ছাড়া বাকি অভিযোগগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জালাল আহমেদ ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জামাল আল নাসের।

Ad 300x250

সম্পর্কিত