leadT1ad

সুইমিংপুলে ডুবে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চার দফা দাবিতে মানববন্ধন

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ১০
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসাইনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের অবহেলার অভিযোগ তুলে চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তাঁর সহপাঠীরা। সংগৃহীত ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসাইনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের অবহেলার অভিযোগ তুলে চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তাঁর সহপাঠীরা।

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনসংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

প্রসঙ্গত, নিহত সায়মা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মন্নুজান হলে থাকতেন। তিনি কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা। গত শনিবার বিকেলে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে নেমে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়।

আন্দোলনকারীদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সুইমিং পুল, মেডিকেল সেন্টার ও হল-সংক্রান্ত দায়িত্বে অবহেলাকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম গ্রহণ। নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে এককালীন ক্ষতিপূরণ প্রদান।বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের অবিলম্বে সংস্কার ও উন্নত চিকিৎসা সেবার নিশ্চয়তা। সায়মা হোসাইনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সুইমিং পুলের এক পাশ তার নামে নামকরণ করা।

সুইমিংপুলের দায়িত্বশীলদের অবহেলা এবং মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় সেই শিক্ষার্থীকে বাঁচানো যায়নি বলে দাবি করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা৷

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিরা বলেন, ‘সায়মা আপু সাঁতার জানতেন। সেদিন তিনি প্র্যাকটিস করতে গিয়ে তাপসী রাবেয়া হলের তানজিলা আপুর সঙ্গে মজার ছলে সাতার প্রতিযোগিতা করছিলেন। তানজিলা আপু উঠে আসার পর সায়মা আপু একপর্যায়ে ডুবে যান। আশেপাশে থাকা ৮–১০ জন কেউই বিষয়টি খেয়াল করেননি। পুলের পানির অবস্থা এত খারাপ যে কেউ ডুবে গেলে বোঝাই যায় না।’

জাহিরা আরও বলেন, ‘পরে তাঁকে খুঁজে বের করতে অনেক সময় লেগেছে। একজন ট্রেইনারও একা তাঁকে তুলতে পারেননি। বাইরে থেকে লোক ডেকে আনতে হয়েছে। এরপর মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে দেখা যায় অক্সিজেন নেই। একপর্যায়ে বাইরের এক মেয়ে সিপিআর দিতে গেলে মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক তাঁকে থামিয়ে দেন, অথচ নিজে কিছুই করেননি। এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবহেলার নির্মম চিত্র।’

মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এতে সংহতি জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তোফা।

এর আগে রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে শিক্ষার্থীরা এমন কাণ্ডের জবাবদিহির জন্য উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে৷

এসময় তারা 'তুমি কে, আমি কে, ছায়মা ছায়মা','ছায়মা হত্যার বিচার চাই', 'কে মেরেছে, কে মেরেছে, প্রশাসন প্রশাসন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘সেখানে করা প্রশিক্ষক ছিলেন,ঘটনা কীভাবে ঘটলো আমরা তাদের কাছ থেকে বিবৃতি নিয়েছি৷ সায়মার বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুনসি ইসরাইল এবং ছাত্র প্রতিনিধি ইবনে ফজলসহ উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খানকে ঘটনা নিরূপণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ যাতে কোনো গড়িমসি না হয়৷’

Ad 300x250

সম্পর্কিত