leadT1ad

রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে হত্যা, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
রংপুর

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৬
তারাগঞ্জে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি। স্ট্রিম ছবি

রংপুরের তারাগঞ্জে নিজ বাড়িতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে মই বেয়ে বাড়িতে ঢোকেন তাঁদের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। ঘরের ডাইনিং রুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়ের (৭৫) ও রান্নাঘরে তাঁর স্ত্রী সুর্বণা রায়ের (৬০) মরদেহ পড়েছিল।

গতকাল শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। দুজনকেই মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, যোগেশ চন্দ্র রায় পেশায় শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে র‌্যাবে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করেন। গ্রামের ওই বাড়িতে তাঁরা স্বামী-স্ত্রীই থাকতেন।

তারাগঞ্জে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে অপরাধ তদন্ত বিভাগের লোকজন। স্ট্রিম ছবি
তারাগঞ্জে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে অপরাধ তদন্ত বিভাগের লোকজন। স্ট্রিম ছবি

প্রায় ৪০-৫০ বছর ধরে যোগেশ রায়ের বাড়ির দেখাশোনা করেন দীপক চন্দ্র রায়ের পরিবার। দীপক জানান, তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ করতে সেখানে যান। আজ রোববার সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হয়। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন কয়েকজন।

দীপক চন্দ্র রায় বলেন, ‘ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন ডাকি। এরপর মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখি ঘরে কেউ নেই। পরে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দেখি দাদুর রক্তাক্ত লাশ আর রান্না ঘরে দিদার লাশ পড়ে আছে।’

রোববার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ায় আশপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ জমায়েত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের দল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

তারাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু ছাইয়ুম বলেন, ‘যোগেশ চন্দ্রের মাথার পেছনে ও সুর্বণা রায়ের কপালের ওপরে আঘাতের চিহ্ন আছে। মাথায় আঘাত করেই তাঁদের হত্যা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্ত চলছে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত