leadT1ad

ছাত্র সংসদ নির্বাচন

তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই নারীদের আলাদা প্রার্থিতার সুযোগ, ব্যতিক্রম জাকসু

রাহাত চৌধুরী
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৫
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ৪২
সংরক্ষিত আসন থাকার পরও নারী প্রার্থীদের সংখ্যা কম। স্ট্রিম ছবি

দীর্ঘ অচলায়তনের পর দেশের স্বায়ত্তশাসিত চার বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আমেজ। দেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রত্যাশা। আর প্রার্থী হতে আগ্রহীরাও বৈষম্য দূর, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শিক্ষার জন্য সুস্থ পরিবেশসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো আরও বেশি শিক্ষাবান্ধব করতে চান। তবে প্রকৃতই বৈষম্য দূর বা কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে নারীদের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করেই এমন সংশয় সামনে আসে। অবশ্য এই দিক থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ব্যতিক্রম।

গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ছাত্র সংসদগুলোতে বিভিন্ন পদ থাকলেও নারীদের জন্য আলাদা তেমন কোনো পদ রাখা হয়নি। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বা নির্দিষ্ট কোনো পদ রাখা হয়নি। এ ছাড়া নেই একই পদের বিপরীতে আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সু্যোগ।

এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (রাকসু) নির্দিষ্টভাবে নারী বিষয়ক সম্পাদক পদ থাকলেও অন্য পদগুলোতে ছাত্রীদের আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ নেই। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম জাকসুতে শীর্ষ তিন পদের একটি এজিএস পদে নারীদের আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া অন্য কয়েকটি পদেও নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ছাত্রসংসদ নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে নারী প্রার্থীদের সংখ্যা খুবই নগন্য। বড় পদগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ খুবই কম। এজন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুলিং, অশালীন মন্তব্য চরিত্র হননের মতো বিষয়গুলোকে দায়ী করছেন করছেন শিক্ষার্থীরা।

ডাকসুতে নেই নারীদের আলাদা কোনো পদ, নারী প্রার্থী ১৩ শতাংশ

ডাকসু নির্বাচনের নতুন গঠনতন্ত্র পর্যালেচনায় দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় সংসদে পদ রয়েছে মোট ২৮টি। এর মধ্যে কার্যকরী সদস্য পদ রয়েছে ১৩টি। তবে নারীদের জন্য একক কোনো পদ বা একই পদের বিপরীতে আলদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নেই। এবারের ডাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৬২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী মাত্র ৬০ জন। আর পুরুষ প্রার্থী রয়েছেন ৪০২ জন। অর্থ্যাৎ, মোট প্রার্থীর মাত্র ১৩ শতাংশ রয়েছেন নারী।

অন্যদিকে ভোটার তালিকা অনুযায়ী, নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ১৮ হাজার ৯৫৯ জন (৪৭.৬ শতাংশ) এবং পুরুষ শিক্ষার্থী ২০ হাজার ৯১৫ জন (৫২.৪ শতাংশ)। ফলে দেখা যাচ্ছে, ভোটারের সংখ্যায় প্রায় সমান হলেও প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা অনেক পিছিয়ে আছেন।

রাকসু ও চাকসুতে রয়েছে একক পদ, তবে নেই একই পদে আলাদা প্রার্থিতার সুযোগ

রাকসু ও চাকসুর নতুন গঠনতন্ত্রে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত দুটি আসন রয়েছে। তবে নেই একই পদে আলাদাভাবে প্রার্থিতার সুযোগ। চাকসু গঠনতন্ত্রে দেখা যায়, কার্যনির্বাহী কমিটিতে পদ রয়েছে মোট ২৮টি। এর মধ্যে ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও সহ-ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক নামে দুটি পদ ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

এদিকে, রাকসুতে মোট পদ রয়েছে ২৩টি। এর মধ্যে নারী-বিষয়ক সম্পাদক ও সহ-নারী-বিষয়ক সম্পাদক নামে দুটি পদে নারীদের প্রার্থিতা সংরক্ষিত করা হয়েছে।

ভিন্ন চিত্র জাকসুতে

অন্য তিন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ না থাকলেও জাকসুতে ৬টি পদে নারী শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ রয়েছে।

নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, পূর্বের এজিএস পদ বাদ দিয়ে নতুন করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) নামে দুটি পদ রাখা হয়েছে। ফলে শীর্ষ তিন পদের একটি পদে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। একইভাবে সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এবং কার্যকরী সদস্যের তিনটি পদে নারীদের আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা কী ভাবছেন

জাকসুতে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পদ সৃষ্টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝেও রয়েছে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মালিহা নামলাহ বলেন, `জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী-পুরুষ শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সমান। এজন্য কিছু পদে ছেলেদের জন্য একটা পদ, নারীদের একটা পদ রাখা হয়েছে৷ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা থাকলে অনেক ভালো হতো। যেহেতু নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক অনেক কম। সেহেতু নারীদের সামনে আনার জন্য এটা অনেক ভালো পদ্ধতি হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, `আমরা যদিও বলি যে নারীরা অনেক অগ্রসর কিন্তু বাস্তব চিত্রতো ভিন্ন। আমরা যেহেতু দেখছি নারীরা রাজনীতিতে ছেলেদের মতো সমানভাবে অংশগ্রহণ করছে না৷ তাই আমার মনে হয় পদ সৃষ্টি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

তবে অনেকে এটিকে দেখছেন কোটা হিসেবে। জাবির দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রুবিনা জাহান তিথী বলেন, “আমি আসলে নারীর জন্য এ সংরক্ষিত আসনকে একরকম কোটা হিসেবেই দেখি। জাহাঙ্গীরনগরের মতো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা এটা দিতে হচ্ছে, এটা কিন্তু আসলে খুব একটা শুভকর জিনিস না৷ বরং এটাই ইঙ্গিত করছে যে আমাদের মেয়েরা আসলে পিছিয়ে যাচ্ছে। নারীরা প্রতিযোগিতা করার মনোভাব থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না, তাই আলাদাভাবে সংরক্ষিত আসনের মতো করে নারীদের রাজনীতিতে যুক্ত করা হচ্ছে। আমি মনে করি, এমন পরিস্থিতি জাহাঙ্গীরনগরে ভবিষ্যতে নারী নেতৃত্বের জন্য আশাব্যঞ্জক কিছু না৷”

সংরক্ষিত আসন থাকার পরও নারী প্রার্থীদের সংখ্যা কম

জাকসুতে ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত ৬টি পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৩৫ জন। তবে শীর্ষ পদগুলোর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ১০ প্রার্থীর মধ্যে কোনো ছাত্রী নেই। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন মাত্র দুইজন ছাত্রী। শুধু সংরক্ষিত নারী সহ-সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন।

এ ছাড়া সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৮, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৩, তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে ৭ এবং পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে ৭ প্রার্থীর মধ্যে নেই কোনো ছাত্রী।

তবে পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক পদে ৬, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৮, নাট্য সম্পাদক পদে ৫, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে ৮, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদে ৭ প্রার্থীর মধ্যে একজন করে ছাত্রী রয়েছেন।

শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৯ এবং সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৮ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন দুইজন করে ছাত্রী আছেন।

চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছাত্রীদের ১০টি হলে শূন্য রয়েছে ৫৯ পদ। আবার ৬৫ পদে প্রার্থী হয়েছেন একজন করে। অথচ বিশৃবিদ্যালয়ের মোট ভোটারের ৪৮.৮ শতাংশই ছাত্রী।

নারী প্রার্থী কেন কম, যা বলছেন ছাত্রীরা

নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ কম হওয়ার পিছনে নারীর প্রতি বিরূপ আচরণকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। জাবির রুবিনা জাহান তিথী বলেন, `গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে মেয়েদের কোনপ্রকার ক্রেডিট দেয়া হয়নি। বরং পরবর্তীতে মেয়েদের স্লাট শেমিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গালি-গালাজ, চরিত্র হননের মতো ব্যাপার গুলো ঘটেছে এটার বিশাল প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের উপর। একটা স্টিগমা দেখা দিয়েছে, পলিটিক্স করা মেয়েরা ভালো হয় না। ফলে পরিবারগুলো মেয়েদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে চায় না। ‘---

মালিহা নামলাহ বলেন, `নারীরা রাজনীতিতে নামলেই প্রতিনিয়ত স্লাট শেমিংয়ের শিকার হয়, বুলিংয়ের শিকার হয়। অপ্রীতিকর মন্তব্য ও ঘটনার শিকার হয়। প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাকে ধরাশায়ী করার জন্য তার চরিত্র ও চেহারার মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে হাতিয়ার হিসেবে নেয়। রাজনীতির মাঠে অংশগ্রহণকারী কোনো নারীই এসব থেকে রেহায় পায় না। এ ধরনের উদাহরণ চোখের সামনে থাকলে নারীরা কেনই বা সামনে আগাবে, সাহস করে মাঠে নামবে! এছাড়া আমাদের সমাজ ও পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গিও এ জন্য দায়ী।‘

তিনি বলেন, ‘এখনো আমাদের সমাজের মেয়েরা নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরা নেওয়ার স্বাধীনতা পায় না। আমার পরিচিত অনেক নারী শিক্ষার্থীর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনেক আগ্রহ ছিল। কিন্তু পরিবারের বাঁধার কারণে তারা অংশগ্রহণ করেনি। তাই শুধু পদ সৃষ্টিই নয়, নারী হেনস্তা ও সামাজিক মাধ্যমে স্লাট শেমিংয়ের মতো যাবতীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনার মাধ্যমে সমাজ ও পরিবারে নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।’

পাশের দেশ ভারতেও ছাত্র সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব কম, পাকিস্তানে নির্বাচন হয় না

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। এর মধ্যে বিখ্যাত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।

এর মধ্যে, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়ন নির্বাচনে নারীদের প্রতিনিধিত্ব কম থাকার বিষয়টি উঠে আসে। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন অনুষদের ছাত্রী শাবানা হুসাইন নেতৃস্থানীয় পদে ৫০ শতাংশ নারী সংরক্ষণ চেয়ে আবেদন করেন। পরে দিল্লি হাইকোর্ট উপাচার্যকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।

অন্যদিকে, রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল পাকিস্তানের ছাত্র সংসদ নির্বাচনই হয় না ঠিকভাবে। ১৯৮৪ সালে স্বৈরশাসক জিয়াউল হক ছাত্র আন্দোলন দমন করতে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন নিষিদ্ধ করেন। চার দশক পর, ২০২৩ সালে সর্বপ্রথম কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন পুনরায় চালু করার অনুমোদন দেয় সে দেশের আদালত। তবে এখনো কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু এবং পরবর্তীতে রাকসু ও চাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। স্বায়ত্তশাসিত এই চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও সরকারি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি উঠেছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত