স্ট্রিম প্রতিবেদক
মোবাইলে আর্থিক সেবার কোম্পানি (এমএফএস) নগদকে ডাক অধিদপ্তরের কাছ থেকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিচ্ছে সরকার। এ জন্য কৌশলগত বিনিয়োগকারী খোঁজা হচ্ছে। নগদের শুরুতে হাসিনা-ঘনিষ্টরা এর পরিচালনা ও মালিকানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নতুন করে যারা বিনিয়োগ করবে, তারা নগদকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে বলেই আশা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের।
এই লেনদেন প্রক্রিয়াটি শেষ করতে একটি অভিজ্ঞ আর্থিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এই প্রতিষ্ঠান নগদের আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করার পর বিনিয়োগকারী খুঁজবে।
এ নিয়ে গত ৩১ আগস্ট একটি আগ্রহপত্র আহ্বান করেছে বিডা। পাশাপাশি টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নগদের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি উল্লেখ করে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ আর্থিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিডা কার্যালয়ে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত আর্থিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানটি পুরো বিক্রয় প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করবে। তাঁদের প্রধান দায়িত্বগুলোর মধ্যে থাকবে, নগদের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা; আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে নগদের সঠিক মূল্যায়ন করে বিক্রয়ের জন্য একটি কার্যকর কৌশল তৈরি করা; বিনিয়োগকারী খুঁজতে দেশি-বিদেশি সম্ভাব্য কৌশলগত এবং আর্থিক বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা।
এ ছাড়া শেয়ারহোল্ডিং ব্যবস্থা ও লেনদেনের সর্বোত্তম কাঠামো নিয়ে পরামর্শ দেওয়াও হবে আর্থিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের কাজ। পাশাপাশি, মূল বাণিজ্যিক ও আর্থিক শর্তাবলি নিয়ে দরকষাকষিতে সহায়তা এবং চুক্তি চূড়ান্ত করতে কাজ করবে তারা। লেনদেন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে আর্থিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান।
আগ্রহী উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের প্রস্তাব জমা দিতে হবে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ফিনটেক, টেলিকম বা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মতো খাতে বড় আকারের কৌশলগত লেনদেন পরিচালনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আবেদন যাচাই–বাছাইয়ের পর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হবে এবং পরে তাদের চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা দিতে বলা হবে। সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি তিন মাসের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘নগদকে’ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় হিসেবে তুলে ধরতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নগদের গ্রাহকসংখ্যা ৯ কোটির বেশি, যার মধ্যে নিয়মিত গ্রাহক এক কোটিরও বেশি। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
‘নগদে’ গ্রাহকদের সঞ্চয়ের পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রায় এক লাখ কোটি টাকার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিতরণ করে থাকে ‘নগদ’। পরিচালনার খরচ বাদ দিলে বর্তমানে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে ‘নগদ’।
বিডার প্রকাশিত টিওআর অনুযায়ী, ‘নগদ’ বর্তমানে ডাক বিভাগের অধীনে পরিচালিত হলেও গত চার বছরে এর ব্যবস্থাপনায় তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য নতুন প্রযুক্তি কেনা প্রয়োজন, যা পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ও পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার জোগান প্রয়োজন।
ডাক বিভাগ আশা করছে, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে কৌশলগত অংশীদার আনা হলে তা দেশের জন্য লাভজনক হবে এবং নিজস্ব বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমবে।
টিওআরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে সরকার নগদের বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রির জন্য একজন কৌশলগত অংশীদার খোঁজা হচ্ছে।
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ নগদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনেই তিনি এই সেবার উদ্বোধন করেন। ‘নগদ’ ডাক বিভাগের সেবা হলেও এটি পরিচালনা করে আসছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের হাসিনা-ঘনিষ্ট নেতারা। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এর আগেই পালিয়ে যান নগদের উদ্যোক্তাসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বেশির ভাগ ব্যক্তি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি নগদে প্রায় দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও অর্থপাচারের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তখন দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বলেন, ‘আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। দুদকে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে এসব নথিপত্র খতিয়ে দেখা হবে।’
২০১৭ সালে ডাক অধিদপ্তর পোস্টাল ক্যাশ কার্ড সেবা প্রচলনের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। পাশাপাশি এতে ডিজিটাল আর্থিক সেবার কথাও যুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তিতে বলা হয়, পরিবেশন ও অন্যান্য খরচ বাদে গ্রাহক কমিশন থেকে যে আয় থাকবে, তার ৫১ শতাংশ পাবে ডাক বিভাগ ও ৪৯ শতাংশ পাবে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি।
এরপর ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট ডাক অধিদপ্তর ‘নগদ’ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালুর অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। শর্ত মেনে আবেদন না করার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দেয়নি।
তবে ডাক অধিদপ্তর নিজেদের আইনে পরিবর্তন এনে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ‘নগদ’ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালু করে দেয়। শর্ত পূরণ না করলেও ২০২০ সালের ১৫ মার্চ নগদকে অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন দিয়ে ডাক অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ সময় ব্যাংক হিসাব (ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব) ডাক বিভাগের নামে খোলার শর্ত দেওয়া হয়। তবে থার্ড ওয়েভ সে পথে যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কোনো তদারকি করেনি। এরপরও দফায় দফায় অনুমোদনের মেয়াদ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর মধ্যে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি নিজেই নাম পরিবর্তন করে নগদ লিমিটেড হয়ে যায়। এককভাবে সরকারি ভাতা বিতরণ, শর্ত ছাড়া হিসাব খোলার সুযোগ ও সহজেই হিসাব খোলার সুবিধার ফলে নগদ হয়ে ওঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। মোবাইলে আর্থিক সেবার চূড়ান্ত অনুমতি না পেলেও নগদকে প্রথমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পরে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রাথমিক অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির প্রতিষ্ঠিত ২০১৬ সালে। তানভীর আহমেদের পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন কাজী মনিরুল কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সৈয়দ আরশাদ রেজা ও মিজানুর রহমান। নগদের কার্যক্রম শুরুর আগেই অংশীদারদের কেউ কেউ থার্ড ওয়েভের শেয়ার ছেড়ে দেন। এর মধ্যে কাজী মনিরুল কবির শেয়ার ছেড়ে দিলে মালিকানায় যুক্ত হন আওয়ামী লীগের তৎকালীন দুই সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। যোগ দেন রেজওয়ানা নূর, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের স্ত্রী। পরে তিনিও মালিকানা ছেড়ে দেন।
মোবাইলে আর্থিক সেবার কোম্পানি (এমএফএস) নগদকে ডাক অধিদপ্তরের কাছ থেকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিচ্ছে সরকার। এ জন্য কৌশলগত বিনিয়োগকারী খোঁজা হচ্ছে। নগদের শুরুতে হাসিনা-ঘনিষ্টরা এর পরিচালনা ও মালিকানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নতুন করে যারা বিনিয়োগ করবে, তারা নগদকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে বলেই আশা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের।
এই লেনদেন প্রক্রিয়াটি শেষ করতে একটি অভিজ্ঞ আর্থিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এই প্রতিষ্ঠান নগদের আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করার পর বিনিয়োগকারী খুঁজবে।
এ নিয়ে গত ৩১ আগস্ট একটি আগ্রহপত্র আহ্বান করেছে বিডা। পাশাপাশি টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নগদের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি উল্লেখ করে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ আর্থিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিডা কার্যালয়ে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত আর্থিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানটি পুরো বিক্রয় প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করবে। তাঁদের প্রধান দায়িত্বগুলোর মধ্যে থাকবে, নগদের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা; আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে নগদের সঠিক মূল্যায়ন করে বিক্রয়ের জন্য একটি কার্যকর কৌশল তৈরি করা; বিনিয়োগকারী খুঁজতে দেশি-বিদেশি সম্ভাব্য কৌশলগত এবং আর্থিক বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা।
এ ছাড়া শেয়ারহোল্ডিং ব্যবস্থা ও লেনদেনের সর্বোত্তম কাঠামো নিয়ে পরামর্শ দেওয়াও হবে আর্থিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের কাজ। পাশাপাশি, মূল বাণিজ্যিক ও আর্থিক শর্তাবলি নিয়ে দরকষাকষিতে সহায়তা এবং চুক্তি চূড়ান্ত করতে কাজ করবে তারা। লেনদেন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে আর্থিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান।
আগ্রহী উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের প্রস্তাব জমা দিতে হবে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ফিনটেক, টেলিকম বা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মতো খাতে বড় আকারের কৌশলগত লেনদেন পরিচালনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আবেদন যাচাই–বাছাইয়ের পর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হবে এবং পরে তাদের চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা দিতে বলা হবে। সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি তিন মাসের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘নগদকে’ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় হিসেবে তুলে ধরতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নগদের গ্রাহকসংখ্যা ৯ কোটির বেশি, যার মধ্যে নিয়মিত গ্রাহক এক কোটিরও বেশি। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
‘নগদে’ গ্রাহকদের সঞ্চয়ের পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রায় এক লাখ কোটি টাকার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিতরণ করে থাকে ‘নগদ’। পরিচালনার খরচ বাদ দিলে বর্তমানে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে ‘নগদ’।
বিডার প্রকাশিত টিওআর অনুযায়ী, ‘নগদ’ বর্তমানে ডাক বিভাগের অধীনে পরিচালিত হলেও গত চার বছরে এর ব্যবস্থাপনায় তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য নতুন প্রযুক্তি কেনা প্রয়োজন, যা পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ও পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার জোগান প্রয়োজন।
ডাক বিভাগ আশা করছে, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে কৌশলগত অংশীদার আনা হলে তা দেশের জন্য লাভজনক হবে এবং নিজস্ব বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমবে।
টিওআরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে সরকার নগদের বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রির জন্য একজন কৌশলগত অংশীদার খোঁজা হচ্ছে।
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ নগদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনেই তিনি এই সেবার উদ্বোধন করেন। ‘নগদ’ ডাক বিভাগের সেবা হলেও এটি পরিচালনা করে আসছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের হাসিনা-ঘনিষ্ট নেতারা। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এর আগেই পালিয়ে যান নগদের উদ্যোক্তাসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বেশির ভাগ ব্যক্তি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি নগদে প্রায় দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও অর্থপাচারের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তখন দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বলেন, ‘আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। দুদকে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে এসব নথিপত্র খতিয়ে দেখা হবে।’
২০১৭ সালে ডাক অধিদপ্তর পোস্টাল ক্যাশ কার্ড সেবা প্রচলনের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। পাশাপাশি এতে ডিজিটাল আর্থিক সেবার কথাও যুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তিতে বলা হয়, পরিবেশন ও অন্যান্য খরচ বাদে গ্রাহক কমিশন থেকে যে আয় থাকবে, তার ৫১ শতাংশ পাবে ডাক বিভাগ ও ৪৯ শতাংশ পাবে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি।
এরপর ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট ডাক অধিদপ্তর ‘নগদ’ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালুর অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। শর্ত মেনে আবেদন না করার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দেয়নি।
তবে ডাক অধিদপ্তর নিজেদের আইনে পরিবর্তন এনে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ‘নগদ’ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালু করে দেয়। শর্ত পূরণ না করলেও ২০২০ সালের ১৫ মার্চ নগদকে অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন দিয়ে ডাক অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ সময় ব্যাংক হিসাব (ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব) ডাক বিভাগের নামে খোলার শর্ত দেওয়া হয়। তবে থার্ড ওয়েভ সে পথে যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কোনো তদারকি করেনি। এরপরও দফায় দফায় অনুমোদনের মেয়াদ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর মধ্যে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি নিজেই নাম পরিবর্তন করে নগদ লিমিটেড হয়ে যায়। এককভাবে সরকারি ভাতা বিতরণ, শর্ত ছাড়া হিসাব খোলার সুযোগ ও সহজেই হিসাব খোলার সুবিধার ফলে নগদ হয়ে ওঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। মোবাইলে আর্থিক সেবার চূড়ান্ত অনুমতি না পেলেও নগদকে প্রথমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পরে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রাথমিক অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির প্রতিষ্ঠিত ২০১৬ সালে। তানভীর আহমেদের পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন কাজী মনিরুল কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সৈয়দ আরশাদ রেজা ও মিজানুর রহমান। নগদের কার্যক্রম শুরুর আগেই অংশীদারদের কেউ কেউ থার্ড ওয়েভের শেয়ার ছেড়ে দেন। এর মধ্যে কাজী মনিরুল কবির শেয়ার ছেড়ে দিলে মালিকানায় যুক্ত হন আওয়ামী লীগের তৎকালীন দুই সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। যোগ দেন রেজওয়ানা নূর, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের স্ত্রী। পরে তিনিও মালিকানা ছেড়ে দেন।
গাজীপুরের টঙ্গীতে ম্যানহোলে পড়ে ফারিয়া তাছনিম জ্যোতি (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। স্থানীয় সরকার সচিব, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে
২ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাশকতা হওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার। গত ৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করাসহ
২ ঘণ্টা আগে