leadT1ad

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন নিয়ে অসন্তোষ, এবার ঢাকায় মানববন্ধন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৮
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সমাবর্তনপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীবৃন্দ, রাবি’র ব্যানারে মানববন্ধন। সংগৃহীত ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আসন্ন দ্বাদশ সমাবর্তন নিয়ে গ্র্যাজুয়েটদের দাবি উপেক্ষা করার অভিযোগে ঢাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সমাবর্তনপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীবৃন্দ, রাবি’র ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ও অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল মজিদ অন্তর। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম অবহেলার সঙ্গে এই দায়সারা সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছে। সমাবর্তনপ্রত্যাশীরা যে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন, তার প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবিগুলো ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।’

কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন রাবির ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী ইউনুস হৃদয়। তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে যে চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তা দিন দিন ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে।’

৬২তম ব্যাচের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অর্বাক আদিত্য বলেন, ‘আমরা দাবি জানিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। ইতিমধ্যে সমাবর্তন আয়োজনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা সমাবর্তন নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটরা কখনো মানবেন না।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি এই অবজ্ঞা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদার কথা বিবেচনা করে প্রশাসনকে তিন দফা দাবির ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রাসিব নাহিদ বলেন, কর্মব্যস্ত ডিসেম্বর মাসে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় আয়োজিত সমাবর্তনে উপস্থিত হওয়া তাঁদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। প্রশাসন কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ না নিলে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমাবর্তন নিয়ে তিন দফা দাবি জানান গ্র্যাজুয়েটরা। সেখান থেকেই দাবি না মানা হলে সমাবর্তন বর্জনের ডাক দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—অতিথি পুনর্বিবেচনা, তারিখ পুনর্বিবেচনা ও রেজিস্ট্রেশনের সময় পুনরায় উন্মুক্ত করা। সেই সঙ্গে সমাবর্তনের বাজেট ও ব্যাংক হিসাব প্রকাশের দাবিও জানান তাঁরা।

উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৭২ বছরের ইতিহাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ১১টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। আসন্ন দ্বাদশ সমাবর্তনের তারিখ বারবার পেছানোর কারণে এটি আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কয়েকবার তারিখ দিয়েও পরে ‘অনিবার্য কারণবশত’ সমাবর্তন স্থগিত করা হয়েছিল।

Ad 300x250

সম্পর্কিত