leadT1ad

নির্বাচন প্রস্তুতি

৮৪৩ কর্মকর্তাকে নিয়ে কর্মশালা, অনলাইনে যুক্ত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাসসের সৌজন্যে

সুষ্ঠুভাবে ও অবাধভাবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকার, যাতে ৮৪৩ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই কর্মশালার আয়োজন করা হবে। এতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও সংযুক্ত থাকবেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ বিষয়ে গত ২৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আগামী ২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার পরিবর্তে পরের দিন একই সময়ে বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী; পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন উপস্থিত থাকবেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্মশালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব অধিদপ্তর/সংস্থার প্রধান, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সব রেঞ্জ ডিআইজি, সব জেলা ও দায়রা জজ, সব মহানগর দায়রা জজ, সব জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সব চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সব চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, সব পুলিশ সুপার, সব আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার, সব জেলা নির্বাচন অফিসার, সব জেলা থেকে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রতি জেলা থেকে একজন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সব বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং প্রতি জেলা থেকে পাবলিক প্রসিকিউটর উপস্থিত থাকবেন।

সব মিলিয়ে ৮৩১ জনকে এই কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন—বিভাগীয় কমিশনার ৮ জন, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি ৮ জন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ৮ জন, জেলা ও দায়রা জজ ৬৪ জন, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ৬৪ জন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬৪ জন, জেলার পুলিশ সুপার ৬৪ জন, সব বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদক ১২৮ জন, পাবলিক প্রসিকিউটর ৬৪ জন, নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক ও জেলা কর্মকর্তা ৭৪ জন এবং প্রতি জেলা থেকে ইউএনও বা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মোট ১২৮ জন। এছাড়া বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড, র‍্যাব, সিটি পুলিশ ও আমন্ত্রিত অতিথি মিলিয়ে আরও প্রায় ১৬০ জন কর্মকর্তা থাকবেন।

সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ কর্মশালাটি মঙ্গলবার পূর্বনির্ধারিত ছিল। সবার উপস্থিতি ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার স্বার্থে একদিন পিছিয়ে বুধবার করা হয়েছে। যদিও এই দিনে নির্বাচন-পূর্ব নিরাপত্তা জরুরি সমন্বয় সভা ছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এ কর্মশালায় পুলিশ অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত ডিআইজি একটি প্রেজেন্টেশন দেবেন। এতে নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচন চলাকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী পুলিশের অবস্থান, কর্মকৌশল, আচরণবিধিসহ নানা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত মক ভোটিং পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হবে। তখন আপনারা তারিখগুলো জানতে পারবেন।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত