leadT1ad

ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধার করা হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

বাসস
বাসস
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৩৩
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: পিআইডি

ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক বিভাগের সভাকক্ষে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিশেষ সহকারী বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা ডাক বিভাগের মোট সম্পদের পাশাপাশি বেদখল সম্পদের তালিকা প্রস্তুত করেছি। দ্রুতই বিভাগীয় কমিশনার এবং ডিসিদের সমন্বয়ে বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এড্রেস ম্যানেজমেন্ট (ঠিকানা ব্যবস্থাপনা)-এর বর্তমান স্ট্রাকচার ডিজিটাল ইকোনমির জন্য উপযোগী নয়। তাই বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এড্রেস ম্যানেজমেন্টকে ডিজিটাল করার চেষ্টা করছি। যেখানে এরিয়া কোড, স্ট্রিট কোড এবং হাউজ কোডগুলো সমন্বিত করা হবে এবং এড্রেসের সঙ্গে জিওফেন্সিং করা হবে।

তার মতে, এটির সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা দরকার। সেজন্য ডাক ও কুরিয়ার আইন হালনাগাদের মাধ্যমে এড্রেস করার কাজ চলছে। নভেম্বরের মধ্যেই ডাক ও কুরিয়ারের সংশোধিত আইন মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও জানান, মেইল ও পার্সেল ট্র্যাকিং সিস্টেমের আওতায় বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ট্র্যাকিং করা যায়। তাই ট্র্যাকিং সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মানোন্নয়নের মাধ্যমে ত্রুটিহীন করার কাজ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে মেইল ও পার্সেল ট্র্যাকিং প্রায় শতভাগে উন্নীত হবে।

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, ‘ই-কমার্সের সঙ্গে ডাক বিভাগকে সমন্বিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে শহর ও গ্রামের মানুষ একইভাবে সেবা পায়। পাশাপাশি ই-কমার্সের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ স্মারক ডাক টিকেট উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

Ad 300x250

সম্পর্কিত