leadT1ad

হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ডোবা থেকে মাদ্রাসাছাত্রকে উদ্ধার: ২ চাচার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
ভোলা

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫৭
মাদ্রাসাছাত্র মো. তামিম

ভোলার চরফ্যাশনে মো. তামিম (১৫) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে রাতের আঁধারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হত্যার উদ্দেশ্যে তার দুই চাচা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তামিমের মা আরজু বেগমের।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার দুলারহাট থানার আবুবকরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। মো. তামিম ওই ওয়ার্ডের মো. মোস্তফার ছেলে এবং আবুবকরপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র।

তামিমের মা আরজু বেগম জানান, অভিযুক্ত তার দুই চাচা শেখ ফরিদ ও খোকন তার স্বামীর সৎ ভাই। পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে সৎ ভাইদের দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলছিল। তার স্বামী মোস্তফা কর্মের জন্য ঢাকাতে থাকেন। ছেলে তামিমকে নিয়ে সেই গ্রামের বাড়ি আবুবকরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেন। গত ২৭ অক্টোবর ছেলেকে ঘরে রেখে আরজু তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে তার ছেলেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টার দিকে সুপারি চুরির অপবাদ দিয়ে শেখ ফরিদ ও খোকন মারধর করে।

ছেলে তামিমকে মারধরের ঘটনা শুনে আরজু তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে শনিবার মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শেখ ফরিদসহ আরো চারজন ব্যক্তি তার ছেলেকে পথরোধ করে। এ সময় শেখ ফরিদ তার ছেলের মাথায় আঘাত করে এবং মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলা-জখম করে। তাঁদের মারধরে ছেলে তামিম অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর তাঁর হাত-পা বেঁধে পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয়।

প্রায় তিন ঘণ্টা পর তামিমের জ্ঞান ফিরে এলে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযুক্ত শেখ ফরিদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর আরেক ভাই খোকন বলেন, ‘তামিম আমাদের ভাতিজা। তাঁদের সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে। তবে আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’

দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, তামিম নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে রাতের আঁধারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ডোবা থেকে উদ্ধার করার খবর শুনেছি। ছেলেটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত