leadT1ad

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয় ঘণ্টা পর চলল গাড়ি, রেল ও নৌপথ অবরোধের হুঁশিয়ারী

বিজয়নগরে বেলা ১১টা থেকে অবরোধের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে অন্তত ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বিকেল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিজয়নগর ইউএনও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আধা ঘণ্টা আলোচনার পর অবরোধ তুলে দেন বিক্ষুব্ধরা।

স্ট্রিম সংবাদদাতাব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ১২
অবরোধ তুলে নেওয়ার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলতে শুরু করেছে যানবাহন। ছবি স্ট্রিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে প্রশাসনের আশ্বাসে ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে থেকে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু করে। তবে অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়ন না হলে রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন নেতারা।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিজয়নগরের চান্দুরা বাস স্ট্যান্ডে অবরোধ সৃষ্টি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ‘সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ’ ব্যানারে আয়োজিত এ বিক্ষোভে বিএনপি, এনসিপি ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। সম্প্রতি জাতীয় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের অন্তর্গত দুইটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অন্তর্ভূক্তির প্রতিবাদ জানান বিক্ষুদ্ধরা।

রোববার অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে অন্তত ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা অবরোধস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। আধা ঘণ্টা আলোচনার পর দাবি পূরণে তাদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে দেন বিক্ষুব্ধরা।

সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ইমাম হোসেন বলেন, ‘চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করার ফলে প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। প্রশাসনের আশ্বাসে আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়ন না হলে রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

গত বৃহস্পতিবার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসন থেকে সরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে অন্তর্ভূক্ত করে চূড়ান্ত গ্যাজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর প্রতিবাদে আন্দোলন করে আসছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। বিভাগা পূর্ব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন সদর ও বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল।

রোববার দুপুরে অবরোধস্থলে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি আশিক রহমান, হেফাজতে ইসলামের বিজয়নগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ অন্যরা।

নিজেকের বিজয়নগরের সন্তান হিসেবে উপস্থাপন করে এনসিপি নেতা মো. আতাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা বিজয়নগরের ১০ ইউনিয়নবাসী ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, শান্তিতে ছিলাম। আমাদের অশান্ত করেছেন একজন ব্যক্তি। তিনি নির্বাচন কমিশনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে আবেদন না করলে আমরা অশান্ত হতাম না। আমাদের যে এই তপ্ত রোধ কষ্ট করতে হচ্ছে, এর একমাত্র কারণ রুমিন ফারহানা।’

Ad 300x250

উমর পরিবারের তিন প্রজম্মের হাতে যেভাবে রূপ পেয়েছে এ অঞ্চলের রাজনীতি

নির্বাচনে সাংবাদিকদের সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা

‘অনলাইন জুয়াড়ি চক্রের হোতা’ সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার সাত, এলাকায় নেই নুরুল হকের পরিবার

নারী হল সংসদ: এগিয়ে জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

সম্পর্কিত