leadT1ad

হাসিনাসহ পলাতক ১৭ জনকে হাজিরের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২২
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সংগৃহীত ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেয়। আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত রামপুরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আদালত এ নির্দেশ দেয়। দুটি জাতীয় পত্রিকায় (বাংলা এবং ইংরেজি) এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

এর আগে তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন পলাতক।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাঁদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে ছিলেন। এদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত। একজন এখন অবসরকালীন ছুটিতে রয়েছেন।

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের ঘটনায় ৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হয়। শুনানি শেষে সেদিন ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

গুমের একটি অভিযোগের (টিএফআই) ঘটনায় আসামি শেখ হাসিনা ও তারেক সিদ্দিকীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। অন্যটিতে গুমের (জেআইসি) ঘটনায় আসামি শেখ হাসিনা ও তারিক সিদ্দিকীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। এই ৩০ জনের মধ্যে হাসিনা ও তারিক সিদ্দিকী দুটি মামলায়ই আসামি। ফলে আসামি সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮।

এছাড়া, গত ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় চারজন আসামি। এই ৩২ জনের মধ্যে ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়, বাকি ১৭ জনকে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনা, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন ও ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, ডিজিএফআইর সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদিন, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক; সাবেক পরিচালক, সিটিআইবি-ডিজিএফআই মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসনাম, সাবেক পরিচালক সিটিআইবি-ডিজিএফআই এবং জাতীয় চা বোর্ড চট্টগ্রামের বর্তমান চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন।

এসআইএন্ডটি, সিলেট-এ কর্মরত কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, ১০১ পদাতিক বিগ্রেড, কুমিল্লায় কর্মরত কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ১০৫ পদাতিক বিগ্রেড, যশোরে কর্মরত কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মখছুরুল হক (অব.)।

অপস র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, অপস র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপস, র‍্যাব), কর্নেল কে এম আজাদ (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপস, র‍্যাব)।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপস, র‍্যাব), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপস, র‍্যাব), কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপস, র‍্যাব), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম (সাবেক পরিচালক ইন্টেলিজেন্স উইং, র‍্যাব), লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম (সাবেক পরিচালক ইন্টেলিজেন্স উইং, র‍্যাব), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল (সাবেক পরিচালক ইন্টেলিজেন্স উইং, র‍্যাব) এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন (সাবেক পরিচালক ইন্টেলিজেন্স উইং, র‍্যাব)।

রামপুরায় হত্যার চার আসামি হলেন—বিজিবির সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবি কর্মকর্তা রাফাত বিন আলম মুন, ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান।

এদের মধ্যে কারাগারে পাঠানো ১৫ সেনা কর্মকর্তা হলেন—র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

Ad 300x250

সম্পর্কিত