leadT1ad

৪২ ফুট নিচেও শিশু সাজিদকে পাওয়া যায়নি, উদ্ধার অভিযান চলবে

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজশাহী

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৬
স্ট্রিম ছবি

রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে ৪২ ফুট নিচেও পাওয়া যায়নি। তবে উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেনেন্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। এরপর থেকেই উদ্ধার অভিযান চলছে। সরু গর্তটির পাশে বড় আকারের গর্ত খনন করা হয়েছে স্কেভেটর দিয়ে। এটি সরু গর্তের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবু সাজিদকে পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে গর্ত থেকে উঠে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এ সময় ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেনেন্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তারা ৪২ ফুট পর্যন্ত খনন করেও শিশুটিকে পাননি। এখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সঙ্গে তারা কথা বলবেন।

উদ্ধার অভিযান চলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, অভিযান চলবে। যদি মাটির ১০০ ফুট নিচেও থাকে, এভাবেই খনন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি না পাওয়া পর্যন্ত কাজ করতেই থাকব। আমাদের ক্যাপাসিটি কত, সেটি বিষয় না।’

এর আগে বুধবার দুপুর ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটার সময় ওই গর্তে ঢুকে যায় শিশু সাজিদ। তারপর থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। বুধবার থেকেই ওই গর্তে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

তানোরের এই এলাকাটি উচ্চ খরাপ্রবণ এলাকা। এখানে মাটির ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও ভূ-গর্ভস্থ পানির সন্ধান মেলে না। এ জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। তাই বছর খানেক আগে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধে খনন করেছিলেন। কিন্তু পানি না পেয়ে গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে গ্রামের রাকিবুল ইসলামের দুই বছর বয়সী ছেলে সাজিদ। ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছিল, শিশুটি প্রায় ৩৫ ফুট নিচে পড়ে গেছে।

ক্যামেরা নামিয়ে তারা শিশুটিকে দেখতে পায়নি। বিকেল থেকে ওই সরু গর্তের পাশে স্কেভেটর দিয়ে খনন শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। পর পর তিনটি স্কেভেটর যন্ত্র আনা হয়। এগুলোর মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৪২ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা সম্ভব হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত