জাকসুর ফলের অপেক্ষা
মাইদুল ইসলাম
পুরোনোর পাশাপাশি নতুন করে লাগানো হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। কোনো জানালা নেই। দুটি দরজার মধ্যে একটি পুরোপুরি বন্ধ। আরেকটি দিয়ে যাতায়াত। কক্ষে ১২টি টেবিলে চলছে ভোটগণনা। ওপরের গ্যালারি বা ব্যলকনিতে অন্তত ৫০টা ক্যামেরা, সারাক্ষণ চলছে সংবাদ সংগ্রহ এবং বিতরণের কাজ। এই দমবন্ধ করা কক্ষে প্রায় ৪০ ঘণ্টা সময় ধরে চলা ভোটগনণায় পালা করে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ভোট গণনার কাজ করতে গিয়ে একজন শিক্ষক মারাও গেছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয় গত ১১ সেপ্টেম্বর। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে, দুয়েকটি কেন্দ্রে বাড়তি ২-৩ ঘণ্টাও লেগেছে। সব শেষ করে ব্যালট বাক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সিনেট কক্ষে নিয়ে আসতে সময় লেগেছে আরও ঘণ্টা পাঁচেক। ওইদিন রাত সোয়া ১০টায় ভোট গণনা শুরু হয়। যা আজ শনিবার তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে।
নির্বাচন কমিশন এবং ভোট গণনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথমে শুরু হয় হল সংসদের ভোট গণনা। রাতভর গণনা চলে, সকালে ভোট গণনা করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মারা গেলেন। কর্তব্যরত অবস্থাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
নির্বাচনের একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ধাপে ধাপে নির্বাচনে অব্যবস্থপনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা কেউই সেভাবে কাজ করেননি। কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশেদুল আলম একাই পুরো প্রস্তুতি টেনে নিয়ে গেছেন, নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা থাকলে সুন্দর নির্বাচন হতে পারতো। কিন্তু কারও সদিচ্ছা ছিল বলে মনে হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রান্তিক ফটক, বিশমাইল ফটক, ইসলামনগর, আমবাগান, গেরুয়া এলাকায় অনেক মানুষ ভিড় করছেন। নিরাপত্তারক্ষীরা বলছেন, ভোটগ্রহণ শেষে ১১ সেপ্টেম্বর রাত থেকে তাঁদের আনাগোনা বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, জমায়েত হওয়া বেশিরভাগই জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। তাঁদের অবস্থান মারমুখী না হলেও অস্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা সড়কে, ফুটপাতে বসে আছেন। হাতে কোনো অস্ত্র নেই, আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মনে হচ্ছে। তাই সরাসরি তাঁদের কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, ক্যাম্পাসে কোনো কিছু ঘটলে তাঁরা সহিংস হয়ে উঠতে পারেন।
তাঁদের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসের বাইরে চলাফেরা করা অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ রকম আগে কখনো দেখা যায়নি। ফলে ঠিক কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়, সেটি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
গতকাল সকালে ভোট গণনার সময় প্রীতিলতা হলের পোলিং কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। সহকর্মীরা এ ঘটনাকে ‘অব্যবস্থাপনার ফল’ বলে অভিযোগ করেছেন।
বিকেলে পুরাতন কলাভবনের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সুলতানা আক্তার বলেন, আগে জানানো হলেও ভোট গণনায় যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি; পরিবর্তে হাতে গোনার পদ্ধতি নেওয়া হয়। হলে গণনা সম্পন্ন হলে রাত ১০টার মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা সম্ভব ছিল। কিন্তু ভোটের বাক্স সিনেট ভবনে নিয়ে আসতে দেরি হয়। তাঁর দাবি, সময়মতো হলে ফলাফল ঘোষণা হলে সহকর্মীর এমন মৃত্যু ঘটত না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভোটগ্রহণের দিন থেকেই ভিড় জমে আছে। ভবন সংলগ্ন সড়কের দুইপাশে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। সিনেটের তিনদিকে পুলিশের প্রহরা, সাংবাদিকদের উপস্থিতি, প্রার্থী এবং ভোটারদের ফল প্রকাশের প্রত্যাশা একাকার হয়ে আছে সেখানে।
ওইদিন রাত থেকেই শিক্ষার্থীদের অপেক্ষার পালা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা পালা করে সিনেট কক্ষের সামনে বসে অপেক্ষা করতে থাকেন। প্রথমে বলা হয় শুক্রবার দুপুর নাগাদ ফল প্রকাশ হতে পারে। সকালে জানা যায়, সন্ধ্যা হবে, সন্ধ্যায় বলা হয় রাতের মধ্যে ফল প্রকাশের চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন।
ফল প্রকাশ করতে শনিবার বিকেল হয়ে যেতে পারে এমন তথ্য জানানোর পর সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে কিনা জানতে চাইলে নির্বাচনের একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, এখনই জানানোর তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই, সকালে জানালেই হবে।
এর মধ্যে হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে হল সংসদের ফল পেয়ে যান শিক্ষার্থীরা, দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসব ফল ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এটি উচিত নয় এবং এভাবে ফল বের হয়ে যাওয়া অনিয়ম, শিক্ষকের মৃত্যু এবং এ রকম আরও কয়েকটি কারণ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন কমিশনের সদস্য মাফরুহী সাত্তার।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং ‘দুরভিসন্ধি’ বাস্তবায়ন করতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন এমন অভিযোগ তোলে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের পদপ্রার্থীরা।
হল সংসদের ব্যালট পেপার ছিল এক পাতার, কেন্দ্রীয় সংসদের ব্যালট তিন পাতা। ফলে হলের ব্যালট গুনতে যত সময় লেগেছে, কেন্দ্রীয় সংসদের গুনতে তার চেয়ে তিনগুণ সময় লেগে যেতে পারে এমন আশঙ্কা ভোটগণনা সংশ্লিষ্টদের।
তবে শুরুতে চারটি টেবিলে ভোটগণনা করা হলেও পরে ভোটগণনার টেবিল বাড়ানো হয়। এখন মোট ১২টি টেবিলে ভোট গণনা চলছে। জাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনার প্রথম ধাপে ৯টি হলের ভোট গণনা চলছে। হলগুলো হচ্ছে: বেগম সুফিয়া কামাল হল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, শহীদ সালাম-বরকত হল, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল, খালেদা জিয়া হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, তারামন বিবি হল ও জাহানারা ইমাম হল।
এই পরিস্থিতিতে ১৫টি হলের ভোট সংখ্যা পাঁচশোর নিচে হলেও ৬টি হলের ভোট হাজারের কাছাকাছি। ফলে ১৫টি হলের ভোট গণনা করতে ৬-৭ ঘন্টা লাগতে পারে কিন্তু বাকি ছয়টি হলের ভোট গুনতে অন্তত ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। এই পরিস্থিতিতে দুপুর নাগাদ ফল প্রকাশ সম্ভব হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আমাদের ওএমআর মেশিন দিয়ে ভোট গণনার জন্য প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এটা তো স্বাভাবিক যে ওএমআরের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি হিসাব করলে বেশি সময় লাগবে।
অবশ্য নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম রাতের মধ্যেই ফল প্রকাশের আশা দেখছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাতের মধ্যেই জাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদ ও ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
পুরোনোর পাশাপাশি নতুন করে লাগানো হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। কোনো জানালা নেই। দুটি দরজার মধ্যে একটি পুরোপুরি বন্ধ। আরেকটি দিয়ে যাতায়াত। কক্ষে ১২টি টেবিলে চলছে ভোটগণনা। ওপরের গ্যালারি বা ব্যলকনিতে অন্তত ৫০টা ক্যামেরা, সারাক্ষণ চলছে সংবাদ সংগ্রহ এবং বিতরণের কাজ। এই দমবন্ধ করা কক্ষে প্রায় ৪০ ঘণ্টা সময় ধরে চলা ভোটগনণায় পালা করে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ভোট গণনার কাজ করতে গিয়ে একজন শিক্ষক মারাও গেছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয় গত ১১ সেপ্টেম্বর। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে, দুয়েকটি কেন্দ্রে বাড়তি ২-৩ ঘণ্টাও লেগেছে। সব শেষ করে ব্যালট বাক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সিনেট কক্ষে নিয়ে আসতে সময় লেগেছে আরও ঘণ্টা পাঁচেক। ওইদিন রাত সোয়া ১০টায় ভোট গণনা শুরু হয়। যা আজ শনিবার তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে।
নির্বাচন কমিশন এবং ভোট গণনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথমে শুরু হয় হল সংসদের ভোট গণনা। রাতভর গণনা চলে, সকালে ভোট গণনা করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মারা গেলেন। কর্তব্যরত অবস্থাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
নির্বাচনের একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ধাপে ধাপে নির্বাচনে অব্যবস্থপনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা কেউই সেভাবে কাজ করেননি। কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশেদুল আলম একাই পুরো প্রস্তুতি টেনে নিয়ে গেছেন, নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা থাকলে সুন্দর নির্বাচন হতে পারতো। কিন্তু কারও সদিচ্ছা ছিল বলে মনে হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রান্তিক ফটক, বিশমাইল ফটক, ইসলামনগর, আমবাগান, গেরুয়া এলাকায় অনেক মানুষ ভিড় করছেন। নিরাপত্তারক্ষীরা বলছেন, ভোটগ্রহণ শেষে ১১ সেপ্টেম্বর রাত থেকে তাঁদের আনাগোনা বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, জমায়েত হওয়া বেশিরভাগই জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। তাঁদের অবস্থান মারমুখী না হলেও অস্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা সড়কে, ফুটপাতে বসে আছেন। হাতে কোনো অস্ত্র নেই, আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মনে হচ্ছে। তাই সরাসরি তাঁদের কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, ক্যাম্পাসে কোনো কিছু ঘটলে তাঁরা সহিংস হয়ে উঠতে পারেন।
তাঁদের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসের বাইরে চলাফেরা করা অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ রকম আগে কখনো দেখা যায়নি। ফলে ঠিক কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়, সেটি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
গতকাল সকালে ভোট গণনার সময় প্রীতিলতা হলের পোলিং কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। সহকর্মীরা এ ঘটনাকে ‘অব্যবস্থাপনার ফল’ বলে অভিযোগ করেছেন।
বিকেলে পুরাতন কলাভবনের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সুলতানা আক্তার বলেন, আগে জানানো হলেও ভোট গণনায় যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি; পরিবর্তে হাতে গোনার পদ্ধতি নেওয়া হয়। হলে গণনা সম্পন্ন হলে রাত ১০টার মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা সম্ভব ছিল। কিন্তু ভোটের বাক্স সিনেট ভবনে নিয়ে আসতে দেরি হয়। তাঁর দাবি, সময়মতো হলে ফলাফল ঘোষণা হলে সহকর্মীর এমন মৃত্যু ঘটত না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভোটগ্রহণের দিন থেকেই ভিড় জমে আছে। ভবন সংলগ্ন সড়কের দুইপাশে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। সিনেটের তিনদিকে পুলিশের প্রহরা, সাংবাদিকদের উপস্থিতি, প্রার্থী এবং ভোটারদের ফল প্রকাশের প্রত্যাশা একাকার হয়ে আছে সেখানে।
ওইদিন রাত থেকেই শিক্ষার্থীদের অপেক্ষার পালা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা পালা করে সিনেট কক্ষের সামনে বসে অপেক্ষা করতে থাকেন। প্রথমে বলা হয় শুক্রবার দুপুর নাগাদ ফল প্রকাশ হতে পারে। সকালে জানা যায়, সন্ধ্যা হবে, সন্ধ্যায় বলা হয় রাতের মধ্যে ফল প্রকাশের চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন।
ফল প্রকাশ করতে শনিবার বিকেল হয়ে যেতে পারে এমন তথ্য জানানোর পর সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে কিনা জানতে চাইলে নির্বাচনের একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, এখনই জানানোর তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই, সকালে জানালেই হবে।
এর মধ্যে হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে হল সংসদের ফল পেয়ে যান শিক্ষার্থীরা, দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসব ফল ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এটি উচিত নয় এবং এভাবে ফল বের হয়ে যাওয়া অনিয়ম, শিক্ষকের মৃত্যু এবং এ রকম আরও কয়েকটি কারণ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন কমিশনের সদস্য মাফরুহী সাত্তার।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং ‘দুরভিসন্ধি’ বাস্তবায়ন করতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন এমন অভিযোগ তোলে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের পদপ্রার্থীরা।
হল সংসদের ব্যালট পেপার ছিল এক পাতার, কেন্দ্রীয় সংসদের ব্যালট তিন পাতা। ফলে হলের ব্যালট গুনতে যত সময় লেগেছে, কেন্দ্রীয় সংসদের গুনতে তার চেয়ে তিনগুণ সময় লেগে যেতে পারে এমন আশঙ্কা ভোটগণনা সংশ্লিষ্টদের।
তবে শুরুতে চারটি টেবিলে ভোটগণনা করা হলেও পরে ভোটগণনার টেবিল বাড়ানো হয়। এখন মোট ১২টি টেবিলে ভোট গণনা চলছে। জাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনার প্রথম ধাপে ৯টি হলের ভোট গণনা চলছে। হলগুলো হচ্ছে: বেগম সুফিয়া কামাল হল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, শহীদ সালাম-বরকত হল, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল, খালেদা জিয়া হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, তারামন বিবি হল ও জাহানারা ইমাম হল।
এই পরিস্থিতিতে ১৫টি হলের ভোট সংখ্যা পাঁচশোর নিচে হলেও ৬টি হলের ভোট হাজারের কাছাকাছি। ফলে ১৫টি হলের ভোট গণনা করতে ৬-৭ ঘন্টা লাগতে পারে কিন্তু বাকি ছয়টি হলের ভোট গুনতে অন্তত ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। এই পরিস্থিতিতে দুপুর নাগাদ ফল প্রকাশ সম্ভব হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আমাদের ওএমআর মেশিন দিয়ে ভোট গণনার জন্য প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এটা তো স্বাভাবিক যে ওএমআরের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি হিসাব করলে বেশি সময় লাগবে।
অবশ্য নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম রাতের মধ্যেই ফল প্রকাশের আশা দেখছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাতের মধ্যেই জাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদ ও ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
গত বছরের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক রায়ে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বিচারপতিদের অপসারণের বিষয়টি জাতীয় সংসদের পরিবর্তে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে প্রত্যাবর্তন করে।
৩ ঘণ্টা আগেডিসমিসল্যাবের ডেটা বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, ডাকসু নির্বাচনে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, যাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬টি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে ৪৯টি এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পক্ষে ৩৫টি বিজ্ঞাপন দেখা গেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে নারী প্রার্থীরা ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় সাত দফা দাবি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে শাস্তিমূলক ব্যবস্থারও দাবি করেছেন তাঁরা।
১৫ ঘণ্টা আগেশুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) আদর্শ থেকে প্রকাশিত মুরাদ কিবরিয়ার ক্যাফে রেভুল্যুশন উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন করা হলো। মোড়ক উন্মোচন করেছেন জুলাই আহত মোহাম্মদ ফারুক।
১৭ ঘণ্টা আগে