leadT1ad

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত অ্যালকোহলে ৬ মৃত্যু

১০ দিন পর কবর থেকে ৪ মরদেহ তুলে ময়নাতদন্ত

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পানে ছয়জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে মারা যাওয়া প্রথম চারজনকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপনে দাফন করা হয়েছিল। পরে দুজনের মরদেহ হাসপাতালে থাকায় প্রাথমিক ময়নাতদন্তে ‘অ্যালকোহলিক পয়জনিং’ এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় মঙ্গলবার করব থেকে মরদেহ উত্তোলন। স্ট্রিম ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পানে ছয়জনের মৃত্যুর দশ দিন পর চারজনের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে একে একে তাঁদের মরদেহ তোলা হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলেই নিজ পরিবারের কাছে তাঁদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্ট্রিমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদা মনির বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়ায় মরদেহগুলো উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর ময়নাদন্তের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ ও ১২ অক্টোবর সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পানে ছয়জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে মারা যাওয়া প্রথম চারজনকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপনে দাফন করা হয়েছিল। পরে দুজনের মরদেহ হাসপাতালে থাকায় প্রাথমিক ময়নাতদন্তে ‘অ্যালকোহলিক পয়জনিং’-এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

এদিকে ১৩ অক্টোবর মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। মামলার তদন্তের স্বার্থে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত গত ১৬ অক্টোবর এর অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশেই আজ মঙ্গলবার চারজনের মরদেহ তোলা হয়।

মরদেহ উত্তোলন করা ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার পিরোজখালি গ্রামের লাল্টু হোসেন, খেজুরা গ্রামের সেলিম, নফরকান্দি গ্রামের খেদের আলী ও শংকরচন্দ্র গ্রামের শহিদুল মোল্লা।

এদিকে ‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পানে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. জুমাত আলী (৪৬) ও মো. ফারুক আহমেদ ওরফে অ্যালকো ফারুক (৪০)। তাদের কাছ থেকে ১১৭ বোতল বিষাক্ত ও মেয়াদোত্তীর্ণ অ্যালকোহল উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে ১০ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারের একটি আড়তের পেছনে লাল্টু মিয়া (৪৮), শহীদ (৪৫), সেলিম (৩৮), লাল্টু (৪২), খেদের আলী (৫৫) ও ছমির হোসেন (৫৫) সহ ছয়জন অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিভিন্ন সময় তাদের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় লাল্টু মিয়ার ভাই বাদী হয়ে ১৩ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মো. খালেদুর রহমান স্ট্রিমকে জানান, আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চারজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলেই মরদেহ তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত