leadT1ad

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেলের সৌজন্যে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার পর হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। এসময় প্রায় আধ ঘণ্টা তিনি সেখানে অবস্থান করেন।

খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্ট্রিমকে তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা প্রায় ৩০ মিনিট হাসপাতালে অবস্থান করেছেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খবর নেন।

হাসপাতালে প্রায় আধ ঘণ্টা অবস্থান করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ
হাসপাতালে প্রায় আধ ঘণ্টা অবস্থান করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ

হাসপাতালে পৌঁছালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ.জে.এম. জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম এসকান্দার প্রধান উপদেষ্টাকে রিসিভ করেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এসময় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তাঁর চিকিৎসক দল প্রধান উপদেষ্টাকে ব্রিফ করেন। তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জনস হপকিন্স এবং যুক্তরাজ্যে ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ও সহায়তায় বেগম জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান।

এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন হৃদরোগ ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে জানান।

ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ঘিরে এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছে। কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে হাসপাতালের প্রধান ফটক।

Ad 300x250

সম্পর্কিত