leadT1ad

শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট: পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

জাম কামাল খান বলেন, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য সরবরাহ বাড়বে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে জাহাজ চলাচল আরও বাড়ানো হবে। যদিও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, তারপরও একসঙ্গে দুই দেশ কাজ করবে।

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

চট্টগ্রাম চেম্বারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের বৈঠক। ছবি: বাসস

খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান।

আজ শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

জাম কামাল খান বলেন, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য সরবরাহ বাড়বে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে জাহাজ চলাচল আরও বাড়ানো হবে। যদিও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, তারপরও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চামড়া, চিনি ও গার্মেন্টস শিল্পসহ কৃষি ও খাদ্যপণ্য আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশ যৌথভাবে বা বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করতে পারলে তা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে।

পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন বলেন, বাণিজ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও ব্যবসার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে সরকার। বিক্রয়ের প্রবৃদ্ধি ও প্রতিযোগিতামূলক আমদানি সক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ চলছে।

চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এ সভার স্বাগত বক্তব্যে চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, দুই দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য সম্পর্ক থাকলেও পাকিস্তান থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি মাত্র ৫৮ মিলিয়ন ডলার। তবে সাফটা ও ডি-৮ পিটিএ কার্যকর করার পাশাপাশি উভয় দেশের মধ্যে নন-ট্যারিফ বাধাসমূহ হ্রাস করা, বিটুবি সংযোগ উৎসাহিত করার মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকর্ষণ সম্ভব।

চট্টগ্রামে সফরকালে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন এবং বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম ও কেএসআরএম কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসকসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত