leadT1ad

সেনা চেকপোস্টে জাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ, প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫১
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ। স্ট্রিম ছবি

সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও পা ধরে মাফ চাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সাভারের পাকিজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ এমদাদুল হক ইমন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। এর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষকদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ইমন বলেন, ‘আজ আমি আমার ক্লাস শেষ করার পর সরাসরি সেখান থেকে ব্যাংকটাউন এলাকায় টিউশনের জন্য যাই। ফেরার পথে পাকিজা ইউটার্ন মোড়ে আমাকে এক সেনাসদস্য পথরোধ করে। তিনি সিগনাল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাই। তিনি আমার থেকে তিন স্টেপ দূরে ছিলেন। এতটুকু ডিসটেন্সে আমি ব্রেক করেছি। অথচ তিনি আমাকে বলেছেন, আমি তার গায়ের ওপর বাইক উঠিয়ে দিয়েছি। এরপর তাদের কথামতো বাইকটা আমি সাইডে রাখি।’

এ ঘটনায় সেনাসদস্যদের কাছে তাকে শারীরিক আঘাত, এমনকি এক পর্যায়ে পা ধরিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ এমদাদুল হক ইমনের। এর প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে মাইক্রোবায়োলজিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।

মিছিলটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন প্রধান ফটকের (ডেইরি গেইট) বাইরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের ‘সেনাবাহিনীর দাদাগিরি চলবে না চলবে নাৎ, ‘আর্মি তুই জবাব দে আমার ভাই আহত কেন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম ও জাকসুর সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ জিতু। তারা বিষয়টি সমাধান করতে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দল আসছে বলে শিক্ষার্থীদের জানান। এরপর শিক্ষার্থীরা রাত সোয়া ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত