leadT1ad

নির্বাচনে অপপ্রচার ঠেকাতে মনিটরিং সেল গঠন করছে সরকার

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ০২
আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সংগৃহীত ছবি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ছড়ানো অপপ্রচারকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই হুমকি মোকাবিলায় দুটি সেল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে — ‘সেন্ট্রাল ডিসইনফরমেশন মনিটরিং সেল’ ও ‘সেন্ট্রাল কমিউনিকেশন সেল’।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে নির্বাচনকেন্দ্রিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তি মোকাবিলায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় কোনো অপতথ্য শনাক্ত করে তা খণ্ডন করতে দেরি হয়। এর মধ্যে ক্ষতি হয়ে যায়। এজন্যই একটি মনিটরিং সেল অপপ্রচার শনাক্ত করবে এবং কমিউনিকেশন সেল সঠিক তথ্য প্রচার করবে।’

অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব জানান, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার আসবে। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হবে। এআই দিয়ে ছবি-ভিডিও তৈরি করে ছেড়ে দেওয়া হবে। তাই অপপ্রচার ছড়ানোর আগেই তা ঠেকাতে হবে।’

ইতিমধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রচার-প্রচারণায় তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

প্রেস সচিব জানান, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের বিষয়ে এলাকার গুরুত্ব বিবেচনায় কর্মকর্তাদের দক্ষতা বিবেচনা করে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় বদলি ও পদায়নের বিষয়ে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে এমন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানও শুরু করেছে।

কর্মকর্তাদের নিজ জেলা ও নিকটবর্তী জেলা এবং আত্মীয় পরিজনের কেউ প্রার্থী হলে সেসব নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হবে। আগের তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কর্মকর্তাদের বিরত রাখা হবে। যত দ্রুত সম্ভব পোস্টিং দিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যাতে করে তারা পর্যাপ্ত সময় পায় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এবং প্রয়োজনীয় ট্রেনিং শুরু করা যায়।

প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, 'আগামী নির্বাচন সুন্দর ও উৎসবমুখর করতে হলে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে, নির্বাচনী নীতিমালা, ভোটকেন্দ্রের নিয়ম, কীভাবে ভোট প্রদান করতে হবে, কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে কী করতে হবে এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে।'

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান এবং কোস্টগার্ড, আনসার ও দেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই ও এসবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত