leadT1ad

মিরপুরের আগুন ‘কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’, বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সমাবেশ। সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জন শ্রমিকের মৃত্যুকে ‘কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার এবং নিহত-আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। একই সঙ্গে আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিক গুদামসহ সব ধরনের বিপজ্জনক প্রতিষ্ঠান সরানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান ও শ্রম কমিশনের সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, ‘ঢাকার মিরপুরে সাম্প্রতিক আগুনের ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু একটা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের নজির। আবাসিক এলাকায় কারখানা, রাসায়নিক গুদামসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনার কারণে অতীতেও বিপুলসংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং সবসময়ই এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শ্রমিক ও নিম্ন আয় শ্রেণির কর্মজীবীরা। কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে।’

তাসলিমা আখতার আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পরেও এমন ঘটনা ঘটতে থাকা অত্যন্ত হতাশাজনক। মিরপুরের এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে দায়ীদের দ্রুত চিহ্নিত করে তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুততম সময়ে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরী বলেন, ‘বারবার কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া শ্রমিক পরিবারগুলো কেবল শোকবার্তা আর ক্ষতিপূরণ চায় না, তারা ন্যায়বিচার চায়। এবং এ ধরনের হত্যাকাণ্ড যেন বন্ধ হয়, তেমন সংস্কার চায়। সেটি নিশ্চিত করাই হবে শ্রমিকদের জন্য ‘নতুন বন্দোবস্ত’।’

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আরও বক্তব্য দেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, শিল্পী কৃষ্ণকলি ইসলাম, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সংগঠক কায়সারী প্রধান কেকা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসুসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি পাঁচতলা পোশাক কারখানা ও সংলগ্ন রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং আরও অনেকে আহত হন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত