leadT1ad

জাকসু নির্বাচন: ভেতরে সেনা, ফটকে পুলিশ চেয়েছে প্রশাসন

স্ট্রিম প্রতিবেদকজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ১৫
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ৫৫
জাকসু ভবন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলাকালে ক্যাম্পাসের ভেতরে সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলোতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন চাওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম স্ট্রিমকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জাকসুর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন চেয়ে অনুরোধ জানানো হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ১৩ আগস্ট সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। ভোটের দিন, ভোটের আগের দিন ও পরের দিনসহ মোট তিনদিন ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় প্রশাসন।

এ কে এম রাশিদুল আলম স্ট্রিমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে, তাঁরা টহল দেবেন। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও স্ট্রাইকিং ফোর্সের ভূমিকায় থাকবে, তবে তাঁরা ফটকগুলোতে অবস্থান করবেন।

ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান প্রক্টর।

এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘জাকসু নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করতে আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও আমাদের আলোচনা হয়েছে। ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকাগুলো থেকেও যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য প্রত্যেক এলাকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা বসব।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন চলাকালে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন হচ্ছে। আমরা চাই না এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হোক। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদ থাকে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা যেন বজায় থাকে।

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে যেহেতু ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাই সেনাপ্রধান বরাবর এবং পুলিশবাহিনী প্রধান বরাবরও চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

গত ১৮ আগস্ট জাকসু ও হল সংসদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হয়। যা শেষ হয়েছে আব দুপুর ২টায়। বিকেল চারটার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট।

মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ ২৬ আগস্ট এবং আপিলের শুনানি ২৭ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। আর আপিলের রায় ঘোষণা ২৭ আগস্ট বিকেল ৪টায়। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৮ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৯ আগস্ট বিকেল ৪টায়। ওই দিন বিকাল ৪টা থেকে ৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত