leadT1ad

বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৬
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনের মনোনয়নে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চকক্ষ সিনেট। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে দেওয়া এক পোস্টে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের অনুমোদন পেয়ে আমি সম্মানিত। এই সুযোগ প্রদানের জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত পদে পিটার হাসের উত্তরসূরি হিসেবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে গত ২ সেপ্টেম্বরে মনোনীত করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির নিয়ম অনুযায়ী, এই মনোনয়ন অনুমোদনের জন্য সিনেটে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে সিনেট অনুমোদন দিলে নতুন রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। গেল ২৩ অক্টোবর তাঁর শুনানি হয়েছে।

পিটার হাস বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০২৪ সালের এপ্রিলে তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করে ফিরে যান। তার পর আর কাউকে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের (এসএফএস) ক্যারিয়ার মেম্বার বা স্থায়ী সদস্য ব্রেন্ট ক্রিসটেনসেন। তিনি ‘ক্লাস অব কাউন্সেলর’ শ্রেণির কূটনীতিক, যা দেশটির ফরেন সার্ভিসের শীর্ষ চারটি স্তরের একটি।

এ ধরনের কূটনীতিকরা খুবই অভিজ্ঞ হন। গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রণয়ন করতে পারেন তারা। তাদের হাতে প্রশাসনিক নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনাগত কর্তৃত্ব থাকে। একক ও নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যেই তারা সীমাবদ্ধ না থেকে বরং দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ দায়িত্ব পালন করতে পারেন ওয়ান­স্টার পদমর্যাদার এই কূটনীতিকরা।

বাংলাদেশকেন্দ্রিক মার্কিন নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ২০ বছরের বেশি সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ব্রেন্ট ক্রিসটেনসেনের। বর্তমানে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

মার্কিন পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দ্য সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের স্থায়ী সদস্য ভার্জেনিয়ার ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসনকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর এক্সট্রার্ডিনারি অ্যান্ড প্লেনিপোটেনশিয়ারি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এখানে এক্সট্রার্ডিনারি বলতে রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষে উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য বিশেষ অনুমোদন প্রদানকে বোঝায়। আর প্লেনিপোটেনশিয়ারি অর্থ হলো ‘পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন’–অর্থাৎ রাষ্ট্রদূতের নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা রয়েছে।

ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকবিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশে তাঁকে দ্বিতীয়বারের মতো পাঠানোর অর্থ হচ্ছে, তিনি প্রেসিডেন্টের খুব আস্থাভাজন।

সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক শুনানিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, একটি উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক যাত্রায় বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন নিশ্চিত হলে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও আগামীতে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক তৈরি করতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের নেতৃত্ব দেবেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত