.png)

কৌরিত্র পোদ্দার তীর্থ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ, রাজশাহীতে রাকসু নির্বাচন ঘিরে ভাঙচুর-আহত, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক অবরুদ্ধ এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশন—এসব ঘটনায় আজ (৩১ আগস্ট) সারা দিনই উত্তপ্ত ছিল দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি এখনো বেশ উত্তপ্ত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ভাড়া বাসার দারোয়ানের কাছে এক ছাত্রীর অপদস্ত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। গতকাল রাত ও আজ মিলিয়ে দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ১৮০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অন্তত ৫০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন জোবরা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতভর সংঘর্ষের পরে আজ সকাল ১১টায় দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফও আহত হন।
পরে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় আগামীকাল সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাটহাজারী উপজেলাধীন ফতেপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজারের পূর্ব দিক থেকে রেলগেট পর্যন্ত উভয় দিকের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এ ছাড়া ২ নম্বর গেট এলাকায় সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ, গণজমায়েত কিংবা অস্ত্র পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। উল্লেখিত এলাকায় পাঁচ জনের বেশি ব্যক্তি একসঙ্গে চলাচল করতে পারবেন না।
চবির রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সময় আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বারবার ডাকা হলেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগও চলছে।
এ সংঘর্ষের পেছনে ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা জড়িত ছিল অভিযোগ করে অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, হেলমেট পরে রড, লাঠিসোঁটা, রামদা ও ছুরি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। স্বরাষ্ট্র ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে দুই ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছে চবি প্রশাসন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আজ রোববার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট থেকে হাটহাজারী যাওয়ার সড়কে অবস্থান নেন স্থানীয় এলাকাবাসী। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে নাজিরহাটগামী রেলপথও অবরুদ্ধ করে রাখে তাঁরা। সংঘর্ষের জন্য শিক্ষার্থীদের দায়ী করে ঘটনার বিচারের দাবি জানান তাঁরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, রাত ১২টার আগেই তিনি বাসায় চলে আসলেও দারোয়ান দরজা খুলছিলেন না। বরং তাঁকে অকথ্য ভাষায় অপমান করা হয়। পরে দারোয়ান ওই শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনার পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে দারোয়ান গিয়ে এলাকাবাসীকে ডেকে আনেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
রাতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চবি শিক্ষার্থীরা
দিনভর সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যেই অনাবাসিক অনেক শিক্ষার্থী হল এলাকায় অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট এলাকার খাবারের ওপর নির্ভরশীল শিক্ষার্থীরা হামলার আশঙ্কা করছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে থাকেন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম তুষার। তবে খাবারের জন্য তাঁকে যেতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায়। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত থেকে রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ওই এলাকা প্রায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে ছিল। আগামীতে কী কী দুর্ভোগে পড়তে হবে, সেটি ভেবে শঙ্কিত তিনি।
স্ট্রিমকে রেজাউল করিম তুষার বলেন, ‘এতগুলো ছেলেপুলে হলের বাইরে থাকে, তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়? এখন দেখতে পাচ্ছি যে তাঁরা বাসায় যাইতে ভয় পাইতেছে। আমার বন্ধু-বান্ধব, জুনিয়র—যারা এখন বাইরে থাকতে পারতেছে না, আমার হলে চলে আসতেছে। আমি তাঁদের আজকের রাতটা রাখলাম। কিন্তু কয়জনকে রাখব? কয় দিন রাখব তাঁদের? এখন এমন একটা অবস্থা যে তাঁদের যেখানে পাবে, সেখানেই মারা হবে। কোপানো হবে।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো. ইফরান বলেন, ‘আজকে আমরা দেখছি, চবির নিরাপত্তা কতটা ভঙ্গুর। আমাদের নিরাপত্তাহীনতার জন্যই আজকে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যৌথবাহিনী আসছিল কিন্তু কী করছে, না করছে আমরা কিছু জানি না। তারা আবার চলেও গেছে। এই মুহূর্তে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কারা দেবে?’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের দাবিতে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়েছে রাবি ছাত্রদল।
আজ সকাল ৯টা থেকে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রদল। অন্যদিকে সকাল ১০টা থেকে রাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। সোয়া ১০টার দিকে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। তাঁরা বারান্দায় থাকা একটি প্লাস্টিকের চেয়ার ভেঙে ফেলেন ও একটি টেবিল উল্টে দেন। ওই টেবিলের পাশেই রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র বিতরণ করছিলেন।

এ সময় ছাত্রদলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো’, ‘প্রথমবর্ষের ভোটাধিকার, ছাত্রদলের অঙ্গীকার’, ‘আমার ভাইকে বাদ দিয়ে, রাকসুতে যাব না’, ‘রাকসু আমার অধিকার, তুমি কে বাদ দেওয়ার’, ও ‘ছাত্রদলের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
ঘটনা সম্পর্কে কোষাধ্যক্ষ সেতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই তাঁরা (ছাত্রদল) কার্যালয় ঘেরাও করেছে, এখন আবার তালাবদ্ধ করে রেখেছে। আমি ভেতরে ঢুকতে পারছি না। দাবি জানানোর বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে, এটা কোনো প্রক্রিয়া হতে পারে না।’
অন্যদিকে রাবি ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁরা কোনো ভাঙচুর করেননি। শুধু টেবিল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে কর্মসূচির এক পর্যায়ে ছাত্রদলের সঙ্গে ‘শিক্ষার্থীদের’ সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহের রহমান, মতিহার হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি হাসিম রানা ও ছাত্রদলের পক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশে আসা রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মাহির এবং ছাত্রশিবিরের কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না। এখন তাঁদের ভোটার করার কোনো সুযোগ নেই।
ছাত্রদলের সঙ্গে শিবির ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ অন্যান্য সংগঠনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধস্তাধস্তি ও মুখোমুখি অবস্থানের পর আজ বেলা দুটা থেকে আবারও মনোনয়ন বিতরণ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’ ইস্যুতে আবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) । আজ দুপুরে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন অবরুদ্ধ করেন। এ সময় উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষককে ভেতরে আটকে রাখেন ও প্রবেশপথে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা।

এর আগে আজ সকাল থেকেই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের আশপাশে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ১১টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, তিন ধরনের ডিগ্রি চালু থাকবে—বিএসসি ইন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন ও কম্বাইন্ড ডিগ্রি।
তবে এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হননি শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি ‘এক পেশায় এক ডিগ্রি চাই’ নীতি অনুসারে কেবল কম্বাইন্ড ডিগ্রিই বহাল রাখতে হবে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। বহিরাগতরা দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। হামলার পর মিলনায়তনে আটকে থাকা উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বের করে আনা হয়।
পরে এই হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের জব্বারের মোড়ে জড়ো হন। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এসব ঘটনার পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাকৃবি বন্ধ ঘোষণা করে। আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে সবাইকে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই দিন সকালে বাকৃবির কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁরা মিছিল বের করেন। পরে রেললাইন অবরোধ করে কৃষি ব্লকেড (এগ্রি ব্লকেড) কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এতে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে যায়।
এক ঘণ্টা পর যাত্রী ও রোগীদের অনুরোধে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীরা অবস্থান চালিয়ে যান। বেলা একটার দিকে তাঁরা নেত্রকোনাগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনও থামিয়ে দেন।
অবশেষে কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস পাওয়ার পর বিকেল পৌনে চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আজ আমরণ অনশনে বসেছিলেন ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য জাহাঙ্গীর আলম। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে রোডম্যাপ ঘোষণা করেন তিনি।

ঘোষণায় বলা হয়েছে, নির্বাচনের সব আনুষ্ঠানিকতা চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। সম্ভাব্য রোডম্যাপ অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া সংবিধি তৈরি করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো হবে। ইউজিসি অনুমোদন ও সরকারের গেজেট প্রকাশের পর মূল নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ, রাজশাহীতে রাকসু নির্বাচন ঘিরে ভাঙচুর-আহত, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক অবরুদ্ধ এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশন—এসব ঘটনায় আজ (৩১ আগস্ট) সারা দিনই উত্তপ্ত ছিল দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি এখনো বেশ উত্তপ্ত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ভাড়া বাসার দারোয়ানের কাছে এক ছাত্রীর অপদস্ত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। গতকাল রাত ও আজ মিলিয়ে দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ১৮০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অন্তত ৫০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন জোবরা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতভর সংঘর্ষের পরে আজ সকাল ১১টায় দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফও আহত হন।
পরে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় আগামীকাল সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাটহাজারী উপজেলাধীন ফতেপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজারের পূর্ব দিক থেকে রেলগেট পর্যন্ত উভয় দিকের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এ ছাড়া ২ নম্বর গেট এলাকায় সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ, গণজমায়েত কিংবা অস্ত্র পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। উল্লেখিত এলাকায় পাঁচ জনের বেশি ব্যক্তি একসঙ্গে চলাচল করতে পারবেন না।
চবির রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সময় আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বারবার ডাকা হলেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগও চলছে।
এ সংঘর্ষের পেছনে ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা জড়িত ছিল অভিযোগ করে অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, হেলমেট পরে রড, লাঠিসোঁটা, রামদা ও ছুরি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। স্বরাষ্ট্র ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে দুই ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছে চবি প্রশাসন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আজ রোববার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট থেকে হাটহাজারী যাওয়ার সড়কে অবস্থান নেন স্থানীয় এলাকাবাসী। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে নাজিরহাটগামী রেলপথও অবরুদ্ধ করে রাখে তাঁরা। সংঘর্ষের জন্য শিক্ষার্থীদের দায়ী করে ঘটনার বিচারের দাবি জানান তাঁরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, রাত ১২টার আগেই তিনি বাসায় চলে আসলেও দারোয়ান দরজা খুলছিলেন না। বরং তাঁকে অকথ্য ভাষায় অপমান করা হয়। পরে দারোয়ান ওই শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনার পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে দারোয়ান গিয়ে এলাকাবাসীকে ডেকে আনেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
রাতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চবি শিক্ষার্থীরা
দিনভর সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যেই অনাবাসিক অনেক শিক্ষার্থী হল এলাকায় অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট এলাকার খাবারের ওপর নির্ভরশীল শিক্ষার্থীরা হামলার আশঙ্কা করছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে থাকেন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম তুষার। তবে খাবারের জন্য তাঁকে যেতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায়। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত থেকে রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ওই এলাকা প্রায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে ছিল। আগামীতে কী কী দুর্ভোগে পড়তে হবে, সেটি ভেবে শঙ্কিত তিনি।
স্ট্রিমকে রেজাউল করিম তুষার বলেন, ‘এতগুলো ছেলেপুলে হলের বাইরে থাকে, তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়? এখন দেখতে পাচ্ছি যে তাঁরা বাসায় যাইতে ভয় পাইতেছে। আমার বন্ধু-বান্ধব, জুনিয়র—যারা এখন বাইরে থাকতে পারতেছে না, আমার হলে চলে আসতেছে। আমি তাঁদের আজকের রাতটা রাখলাম। কিন্তু কয়জনকে রাখব? কয় দিন রাখব তাঁদের? এখন এমন একটা অবস্থা যে তাঁদের যেখানে পাবে, সেখানেই মারা হবে। কোপানো হবে।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো. ইফরান বলেন, ‘আজকে আমরা দেখছি, চবির নিরাপত্তা কতটা ভঙ্গুর। আমাদের নিরাপত্তাহীনতার জন্যই আজকে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যৌথবাহিনী আসছিল কিন্তু কী করছে, না করছে আমরা কিছু জানি না। তারা আবার চলেও গেছে। এই মুহূর্তে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কারা দেবে?’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের দাবিতে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়েছে রাবি ছাত্রদল।
আজ সকাল ৯টা থেকে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রদল। অন্যদিকে সকাল ১০টা থেকে রাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। সোয়া ১০টার দিকে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। তাঁরা বারান্দায় থাকা একটি প্লাস্টিকের চেয়ার ভেঙে ফেলেন ও একটি টেবিল উল্টে দেন। ওই টেবিলের পাশেই রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র বিতরণ করছিলেন।

এ সময় ছাত্রদলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো’, ‘প্রথমবর্ষের ভোটাধিকার, ছাত্রদলের অঙ্গীকার’, ‘আমার ভাইকে বাদ দিয়ে, রাকসুতে যাব না’, ‘রাকসু আমার অধিকার, তুমি কে বাদ দেওয়ার’, ও ‘ছাত্রদলের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
ঘটনা সম্পর্কে কোষাধ্যক্ষ সেতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই তাঁরা (ছাত্রদল) কার্যালয় ঘেরাও করেছে, এখন আবার তালাবদ্ধ করে রেখেছে। আমি ভেতরে ঢুকতে পারছি না। দাবি জানানোর বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে, এটা কোনো প্রক্রিয়া হতে পারে না।’
অন্যদিকে রাবি ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁরা কোনো ভাঙচুর করেননি। শুধু টেবিল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে কর্মসূচির এক পর্যায়ে ছাত্রদলের সঙ্গে ‘শিক্ষার্থীদের’ সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহের রহমান, মতিহার হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি হাসিম রানা ও ছাত্রদলের পক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশে আসা রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মাহির এবং ছাত্রশিবিরের কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না। এখন তাঁদের ভোটার করার কোনো সুযোগ নেই।
ছাত্রদলের সঙ্গে শিবির ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ অন্যান্য সংগঠনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধস্তাধস্তি ও মুখোমুখি অবস্থানের পর আজ বেলা দুটা থেকে আবারও মনোনয়ন বিতরণ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’ ইস্যুতে আবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) । আজ দুপুরে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন অবরুদ্ধ করেন। এ সময় উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষককে ভেতরে আটকে রাখেন ও প্রবেশপথে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা।

এর আগে আজ সকাল থেকেই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের আশপাশে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ১১টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, তিন ধরনের ডিগ্রি চালু থাকবে—বিএসসি ইন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন ও কম্বাইন্ড ডিগ্রি।
তবে এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হননি শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি ‘এক পেশায় এক ডিগ্রি চাই’ নীতি অনুসারে কেবল কম্বাইন্ড ডিগ্রিই বহাল রাখতে হবে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। বহিরাগতরা দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। হামলার পর মিলনায়তনে আটকে থাকা উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বের করে আনা হয়।
পরে এই হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের জব্বারের মোড়ে জড়ো হন। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এসব ঘটনার পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাকৃবি বন্ধ ঘোষণা করে। আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে সবাইকে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই দিন সকালে বাকৃবির কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁরা মিছিল বের করেন। পরে রেললাইন অবরোধ করে কৃষি ব্লকেড (এগ্রি ব্লকেড) কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এতে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে যায়।
এক ঘণ্টা পর যাত্রী ও রোগীদের অনুরোধে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীরা অবস্থান চালিয়ে যান। বেলা একটার দিকে তাঁরা নেত্রকোনাগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনও থামিয়ে দেন।
অবশেষে কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস পাওয়ার পর বিকেল পৌনে চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আজ আমরণ অনশনে বসেছিলেন ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য জাহাঙ্গীর আলম। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে রোডম্যাপ ঘোষণা করেন তিনি।

ঘোষণায় বলা হয়েছে, নির্বাচনের সব আনুষ্ঠানিকতা চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। সম্ভাব্য রোডম্যাপ অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া সংবিধি তৈরি করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো হবে। ইউজিসি অনুমোদন ও সরকারের গেজেট প্রকাশের পর মূল নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে।
.png)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে আরও ঘনীভূত হয়ে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে গত দুই দিনে ২ হাজার ৫০৯টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আইন কেবল নিয়মের সমষ্টি নয়, এটি একটি জাতির নৈতিক বিবেকের প্রতিফলন। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, আর ন্যায় ব্যর্থ হলে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগর ও দেশের নদ-নদীতে ইলিশ ধরা শুরু করবেন জেলেরা।
৫ ঘণ্টা আগে