leadT1ad

ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক আর নেই

ভাষা সংগ্রামী ও গবেষক আহমদ রফিক আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
ভাষা সংগ্রামী ও গবেষক আহমদ রফিক। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক

ভাষা সংগ্রামী ও গবেষক আহমদ রফিক আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আহমদ রফিকের ঘনিষ্ঠজন ও লেখক ইসমাইল সাদী।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আহমদ রফিকের দেখাশুনা করার দায়িত্বে থাকা আবুল কালাম স্ট্রিমকে জানান, বারডেম হাসপাতালে লাইফসাপোর্টে থাকা অবস্থায় আহমদ রফিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্ট্রোক করেন। দশটার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎকরা।

আহমদ রফিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১১ সেপ্টেম্বর তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই ১২ সেপ্টেম্বর তাঁর ৯৭তম জন্মবার্ষিকীর উদযাপন করা হয়। তার আগে ল্যাবএইড হাসপাতালেও কিছুদিন ভর্তি ছিলেন আহমদ রফিক।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, আহমদ রফিক ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্রনিক কিডনি ফেইলিওর, আলঝেইমার্স, পারকিনসন্স, ইলেকট্রোলাইটস ইমব্যালেন্স, বেডশোর, ফুসফুসের সংক্রমণসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

প্রখ্যাত এই ভাষা সৈনিকের জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর গ্রামে। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ থেকে। এরপর রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে ফজলুল হক হলে আবাসিক সুবিধা না পাওয়ায় পরে ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে।

১৯৫২ সালে আহমদ রফিক ছিলেন মেডিকেলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ওই সময়ে তিনি ফজলুল হক হল, ঢাকা হল এবং মিটফোর্ড হাসপাতালের ছাত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নিয়মিত অংশ নিয়েছেন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে।

১৯৫৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্রদের মধ্যে একমাত্র তাঁর নামেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে ১৯৫৫ সালের শেষ দিকে প্রকাশ্যে ফিরে এসে আবার পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন। এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করলেও পেশাগত জীবনে চিকিৎসক হননি আহমদ রফিক।

আহমদ রফিকের প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ ‘শিল্প, সংস্কৃতি, জীবন’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। এরপর থেকে লেখালেখিকেই জীবনের মূল পথ হিসেবে বেছে নেন তিনি। সাহিত্য ও গবেষণার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, এবং রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য উপাধিসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন আহমদ রফিক।

Ad 300x250

সম্পর্কিত