leadT1ad

খাগড়াছড়িতে তিনজন নিহতের ঘটনায় আসকের গভীর উদ্বেগ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৭
আইন ও সালিশ কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে এক কিশোরী ধর্ষণকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনায় তিনজন নিহত, বহু মানুষ আহত এবং অনেক বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে।

আসক বলেছে, ‘গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মারমা সম্প্রদায়ের এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ন্যায়বিচারের দাবিতে স্থানীয় তরুণেরা কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ, অবরোধ ও হরতাল পালন করছিল। তবে এসব কর্মসূচির সময় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। নিয়ন্ত্রণে আনতে নেওয়া পদক্ষেপ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং শেষ পর্যন্ত প্রাণঘাতী সংঘর্ষে রূপ নেয়।’

সংস্থাটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় যদি কোনোভাবে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ হয়ে থাকে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আসক মনে করে, পার্বত্য এলাকায় প্রায়ই উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে এবং জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। অতীতে এমন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া এবং অন্তর্নিহিত কারণ নিরূপণ না করায় সহিংসতা পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ একটি বহুজাতি ও বহু সংস্কৃতির দেশ। এই বৈচিত্র্য বিভেদের নয়, বরং শক্তির প্রতীক। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কেবল পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য নয়, বরং জাতীয় ঐক্য ও দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সহিংসতা, ভয় ও উসকানি কখনোই সমাধান নয়। এগুলো কেবল অবিশ্বাস ও অস্থিতিশীলতা বাড়ায় এবং রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে। নাগরিক অধিকার সবার জন্য সমান কারও প্রতি বৈষম্য বা অবিচার রাষ্ট্রের জন্যই ক্ষতির কারণ।’

আসক অবিলম্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এ কমিশনকে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও দায়ীদের শনাক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন জরুরি।

বিজ্ঞপ্তির শেষে বলা হয়, নাগরিকদের জীবন, সম্পদ ও মর্যাদা রক্ষা করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি গোটা সমাজকেই বহন করতে হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত