leadT1ad

গোপালগঞ্জে সহিংসতা

নিহতের পাঁচ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য তিনজনের লাশ উত্তোলন

সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হলেও চারজনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করে পুলিশ। এর আগে গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি।

স্ট্রিম সংবাদদাতাগোপালগঞ্জ
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ১৯: ১৯
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, ১৯: ২১
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে সহিংসতায় নিহতের পাঁচ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য তিনজনের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। স্ট্রিম ছবি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে সহিংসতায় নিহতের পাঁচ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য তিনজনের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে দুজন ও টুঙ্গিপাড়া থেকে আরেকজনের মরদেহ তোলা হয়।

এর আগে সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হলেও চারজনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) রাতে মামলা করে পুলিশ। পরে নিহত তিনজনের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন আদালত। তবে গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। এবার পুলিশের করা মামলার বিষয়ে কাউকেই জানানো হয়নি দাবি করেছেন নিহতদের পরিবার।

বুধবার (১৬ জুলাই) সংঘর্ষে নিহত দীপ্ত সাহাসহ চারজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও শেষকৃত্য করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান রমজান মুন্সি। পরদিন শুক্রবার তাঁর লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হলে বাড়িতে এনে দাফন করে পরিবার। এ ছাড়া দীপ্ত সাহার মরদেহ গোপালগঞ্জ পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়েছে। এ কারণে তাঁর ময়নাতদন্তের আবেদন করেনি পুলিশ।

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্ট্রিম ছবি
গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্ট্রিম ছবি

আদালতের নির্দেশের পর সোমবার দুপুরে শহরের পৌর কবরস্থান থেকে ইমন তালুকদার ও রমজান কাজী মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়। এ ছাড়া সোহেল রানা মোল্লার লাশ তোলা হয় জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী মোল্লাবাড়ী কবরস্থান থেকে। সবার সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তিনজনের মরদেহই গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, রমজান কাজীর মরদেহের ডান কাঁধে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুরাদ হোসেন। ইমন তালুকদারের মরদেহ বাম ঊরুতে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তাঁর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই শহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া সোহেল মোল্লার মরদেহের বুকে একটি চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর হত্যা মামলার তদন্তকারী এসআই শফিকুল ইসলাম।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে ইমন তালুকদারের মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি। এ ছাড়া রমজান কাজীর লাশ তোলার সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রন্টি পোদ্দার। এদিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী মোল্লাবাড়ী কবরস্থান থেকে সোহেল রানা মোল্লার মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ দস্তগীর।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন, কবর থেকে তিনটি লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করার জন্য রবিবার গোপালগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত তাঁদের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত