leadT1ad

২ শিবির নেতাকে গুলি: তিন পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত সংস্থা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৮
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সংগৃহীত ছবি

যশোরের চৌগাছায় গ্রেপ্তারের পর বন্দুকযুদ্ধ সাজিয়ে ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে গুলির ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলামসহ তিন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য দুই পুলিশ সদস্য হলেন—চৌগাছা থানার তৎকালীন কনস্টেবল সাজ্জাদুর রহমান ও কনস্টেবল জহরুল হক।

আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেয়।

এদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান। তিনি এ মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের নিয়ম অনুযায়ী আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে, ১০ সেপ্টেম্বর সাজ্জাদুরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারও আগে ৯ সেপ্টেম্বর আতিকুলকে গ্রেপ্তার করে হাজির করা হয়।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে যশোরের চৌগাছা থানা এলাকায় মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয় পুলিশ। ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে পরিচয় জানার পর তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী দুজনকে আদালতে হাজিরের কথা ছিল। কিন্তু আগের দিন রাতে তাদের চোখ বেঁধে অন্যস্থানে নিয়ে দুই হাঁটুতে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। যদিও বন্দুকযুদ্ধে গুলি হয়েছে উল্লেখ করে আদালতে তোলা হয়। পরে শুনানি শেষে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এরপর চিকিৎসা চলাকালে দুই শিবির নেতারই পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

ওই ঘটনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে দেখছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। কারণ ওই সময় শুধু এ দুজনকেই গুলি করা হয়নি, সারা বাংলাদেশেই বিরোধী রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের গ্রেপ্তারের পর কারও হাঁটুতে, কারও হাতে কিংবা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে বিকলাঙ্গ করা হতো। এটা বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিপীড়নেরই অংশ ছিল। এরই অংশ হিসেবে চৌগাছার ঘটনাটি ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত