বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের ৫০ লাখ পরিবারে ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই কার্ড হবে পরিবারের নারী সদস্যের নামে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা জানান।

তারেক রহমান বলেন, ‘দেশে নারীপ্রধান পরিবার বাড়লেও তাঁরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। স্বাবলম্বী করতে বিএনপি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশে এখন চার কোটি পরিবার রয়েছে। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রথম পর্যায়ে কমপক্ষে ৫০ লাখ পরিবারের জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালু করবে। এই কার্ড হবে পরিবারের নারী সদস্যের নামে এই ফ্যামিলি কার্ড।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে শিশু, নারী, পুরুষ, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শহীদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনের জন্য আগামীতে নারীদের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশে যাতে কোনভাবেই আর ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ বা চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, এ ব্যাপারে নারীসমাজকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।’

ইনসাফভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘চলুন এ জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার নারী-পুরুষ যারা দেশ ও জাতির স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন, তাঁদের কাছে বাংলাদেশ ঋণী। এবার তাঁদের ঋণ পরিশোধের পালা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১০ জন নারী শহীদ হয়েছেন। শুধু সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে নারীর আত্মত্যাগের প্রতি অবিচার হবে।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশের অর্ধেক নারীকে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির মূল ধারার বাইরে রেখে নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন করতে পারব না। নারী শক্তিকে কর্মপরিকল্পনার বাইরে রেখে কোন রাষ্ট্রই এগিয়ে যেতে পারে না। সে কারণে নারীশক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ও আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বিএনপি পরিকল্পনা করেছে।’

এর আগে, বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এ আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

অনুষ্ঠানে ফ্যাসিবাদ আন্দোলনে নারীদের অবদানের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং পরে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সন্মাননা স্মারক দেয় আয়োজক কমিটি।