leadT1ad

ইন্টারনেট স্বাধীনতায় বাংলাদেশের বড় অগ্রগতি, ভারত-শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচকে এ বছর বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউজের ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্কোর গত বছরের চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪৫ হয়েছে, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এই অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশী দেশ ভারত (৫১) ও শ্রীলঙ্কার (৫৩) কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছেছে।

ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন নীতিগত সংস্কার এই উন্নতির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে। দমনমূলক সরকারের পতনের পর ইন্টারনেট শাটডাউনের সুযোগ বন্ধ এবং বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিলের মতো পদক্ষেপগুলোকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর ৭২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশই ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি অর্জনকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর নতুন টেলিকম অধ্যাদেশ, নজরদারি কাঠামোর পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা ও জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ পাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফায়েজ আহমদ তাইয়্যেব।

ফ্রিডম হাউজের সূচক অনুযায়ী, কোনো দেশের স্কোর ৪০ থেকে ৬৯-এর মধ্যে হলে তা ‘আংশিক মুক্ত’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ‘আংশিক মুক্ত’ দেশগুলোর তালিকায় নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করল।

মন্ত্রণালয় আশা করছে, মানসম্মত ইন্টারনেট গভর্নেন্স, ডিজিটাল রূপান্তর ও টেলিকম লাইসেন্স সহজ করার মতো চলমান উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে খুব দ্রুতই বাংলাদেশের স্কোর ৫০ ছাড়িয়ে যাবে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত