স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান মিলন খানকে ছাত্রীদের নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করার অভিযোগে সংগঠন থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলাও দায়ের করেছেন ছাত্রদলের রাবি শাখার সভাপতি।
আনিসুর রহমান মিলন খান ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি। সংগঠনের দফতর সম্পাদক নাফিউল ইসলাম জীবন বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এতে বলা হয়, বিজয়-৩৬ হল প্রভোস্টের নোটিশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার সময় এক পোস্টে মিলন অশ্লীল মন্তব্য করেন। তদন্তে তার মন্তব্য প্রমাণিত হওয়ায় তাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছেন।
ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
এদিকে ছাত্রীদের নিয়ে এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আনিসুর রহমান মিলনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ‘জুলাই ৩৬’ হলের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার রাতে হলের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তাঁরা ‘ইভটিজারের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘নারীদের বুলিং করে, প্রশাসন কী করে?’ এবং ‘ইভটিজারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভকারীরা তিন দফা দাবি জানান— ‘আনিসুর রহমান মিলনের স্থায়ী বহিষ্কার ও প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা’, ‘ক্যাম্পাসে সাইবার বুলিং প্রতিরোধ সেল গঠন’ এবং ‘নারীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যকারীদের আইনের আওতায় এনে জবাবদিহি নিশ্চিত করা’।
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাত্রী বলেন, ‘২০২৫ সালেও নারীরা সাইবার বুলিং ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ভয়ের কারণে অনেকে নির্বাচনে অংশ নিতে দ্বিধা করছেন। কিছুদিন আগে রহমাতুন্নেছা হলের ছাত্রীদের অপমান করা হয়েছিল। এবার জুলাই-৩৬ হলের ৯১ জন ছাত্রীকে হেয় করা হলো। প্রশাসনকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি—এমন মন্তব্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
অভিযোগ ওঠার পর বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শাহ মখ্দুম হল শাখার সহসভাপতি আনিসুর রহমান মিলনের পদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ছাত্রদল নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।’
যা ঘটেছিল
রাবির ‘জুলাই ৩৬’ হলে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করায় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ৯১ জন ছাত্রীকে প্রকাশ্যে নোটিশ দিয়ে তলব করেছিলেন হল প্রাধ্যক্ষ। নোটিশটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তা প্রত্যাহার করে হল প্রশাসন।
এই বিষয়ে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামে এক ফেসবুক গ্রুপে করা এক পোস্টের কমেন্টে ওই ৯১ জন ছাত্রীকে বিনা পারিশ্রমিক ‘যৌনকর্মী’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন রাবির শাহ মাখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান মিলন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান মিলন খানকে ছাত্রীদের নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করার অভিযোগে সংগঠন থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলাও দায়ের করেছেন ছাত্রদলের রাবি শাখার সভাপতি।
আনিসুর রহমান মিলন খান ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি। সংগঠনের দফতর সম্পাদক নাফিউল ইসলাম জীবন বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এতে বলা হয়, বিজয়-৩৬ হল প্রভোস্টের নোটিশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার সময় এক পোস্টে মিলন অশ্লীল মন্তব্য করেন। তদন্তে তার মন্তব্য প্রমাণিত হওয়ায় তাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছেন।
ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
এদিকে ছাত্রীদের নিয়ে এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আনিসুর রহমান মিলনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ‘জুলাই ৩৬’ হলের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার রাতে হলের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তাঁরা ‘ইভটিজারের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘নারীদের বুলিং করে, প্রশাসন কী করে?’ এবং ‘ইভটিজারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভকারীরা তিন দফা দাবি জানান— ‘আনিসুর রহমান মিলনের স্থায়ী বহিষ্কার ও প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা’, ‘ক্যাম্পাসে সাইবার বুলিং প্রতিরোধ সেল গঠন’ এবং ‘নারীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যকারীদের আইনের আওতায় এনে জবাবদিহি নিশ্চিত করা’।
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাত্রী বলেন, ‘২০২৫ সালেও নারীরা সাইবার বুলিং ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ভয়ের কারণে অনেকে নির্বাচনে অংশ নিতে দ্বিধা করছেন। কিছুদিন আগে রহমাতুন্নেছা হলের ছাত্রীদের অপমান করা হয়েছিল। এবার জুলাই-৩৬ হলের ৯১ জন ছাত্রীকে হেয় করা হলো। প্রশাসনকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি—এমন মন্তব্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
অভিযোগ ওঠার পর বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শাহ মখ্দুম হল শাখার সহসভাপতি আনিসুর রহমান মিলনের পদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ছাত্রদল নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।’
যা ঘটেছিল
রাবির ‘জুলাই ৩৬’ হলে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করায় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ৯১ জন ছাত্রীকে প্রকাশ্যে নোটিশ দিয়ে তলব করেছিলেন হল প্রাধ্যক্ষ। নোটিশটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তা প্রত্যাহার করে হল প্রশাসন।
এই বিষয়ে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামে এক ফেসবুক গ্রুপে করা এক পোস্টের কমেন্টে ওই ৯১ জন ছাত্রীকে বিনা পারিশ্রমিক ‘যৌনকর্মী’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন রাবির শাহ মাখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান মিলন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের ১৯ মে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত প্রতিবেদনে আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণ হয়।
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের এডমিনকে তলব করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের এক বক্তব্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা এবং তাঁর ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে আলোচনা তৈরি করেছে। ট্রাভেল ডকুমেন্ট হলো এমন একটি সরকারি নথি, যা কোনো ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে এবং তাঁকে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ বা অ
২ ঘণ্টা আগেগত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন পাভেল।
৩ ঘণ্টা আগে