স্ট্রিম প্রতিবেদক
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন-সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে একগুচ্ছ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবী পেনশন ভোগরত অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করলে, মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী অথবা স্বামীও নিয়ম অনুযায়ী পেনশন পাবেন।
সম্প্রতি সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশিদের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পেনশন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আ ক ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী পেনশন গ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যা সভায় তুলে ধরেন বলে জানা গেছে।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত সময়ে পুনঃস্থাপনের পূর্বে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীর মৃত্যুতে স্বামী/স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারীর অনুকূলে পেনশন মঞ্জুরের বিষয়টি অর্থ বিভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এছাড়া পেনশন ভোগরত অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করলে সেই পেনশনারের মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে পারিবারিক পেনশন মঞ্জুরের বিষয়টি বিবেচনার জন্য অর্থ বিভাগ জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠাবে।
১৯৮০ সাল থেকে পেনশনের পুরো টাকা একসঙ্গে তুলে নেওয়ার সুযোগ দিয়ে আসছে সরকার। এরপর অনেকেই পেনশনের পুরো টাকা একসঙ্গে তুলে নেন। এভাবে যাঁরা পেনশনের সব টাকা তুলে নিয়ে পারিবারিক কাজে লাগিয়েছিলেন বা সন্তানদের হাতে সব টাকা তুলে দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই বিপাকে পড়েন। এভাবে বিপাকে পড়া পেনশনাররা একটি মোর্চা গঠন করে বহুদিন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেনদরবার করেন।
শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর তাঁদের মাসিক পেনশন পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী কর্মচারী অবসর গ্রহণের তারিখ থেকে ১৫ বছর পর পেনশন পুনঃস্থাপন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগ।
একসঙ্গে যাঁরা পেনশনের সব টাকা তুলে নিয়েছিলেন, তাঁরা আর মাসিক পেনশন পান না। তাঁদের বছরে দুটি উৎসব ভাতা এবং চিকিৎসা ভাতা দিচ্ছে সরকার। শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের অবসরে যাওয়ার ১৫ বছর পর পেনশন পুনঃস্থাপনের সুযোগ রয়েছে। তবে পেনশন পুনঃস্থাপনের আগে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী মারা গেলে তাঁর স্বামী/স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারীদের কেউ এখন পেনশন সুবিধা পান না।
সম্প্রতি হওয়া ওই বৈঠকে পেনশন পুনঃস্থাপনের আগে কেউ মারা গেলে তাঁর স্বামী/স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারীর অনুকূলে পেনশন মঞ্জুরের বিষয়টি অর্থ বিভাগকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পাশাপাশি, শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীর পেনশন পুনঃস্থাপনের নির্ধারিত অপেক্ষাকাল ১৫ বছর থেকে ১০ বছরে কমানো যায় কিনা, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষাক্রমে সুপারিশের জন্য অর্থ বিভাগ জাতীয় বেতন কমিশনে প্রেরণ করবে।
শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদেরকে ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে পাঁচ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট হিসাব করে উৎসব ভাতা দেওয়া হলেও, যথাসময়ে তাঁদের পেনশন পুনঃস্থাপিত হওয়ার পর পেনশনের সঙ্গে সেই ইনক্রিমেন্টের বর্ধিত অর্থ দেওয়া হয় না। তাঁদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের বর্ধিত অর্থ দেওয়ার বিষয়টি অর্থ বিভাগ পর্যালোচনা করবে।
বৈঠকের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পারিবারিক পেনশন গ্রহীতার নিজের প্রদত্ত ‘পুনর্বিবাহ না করার প্রত্যয়ন’ (অসত্য তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান সাপেক্ষে) গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করা হবে। কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য প্রচলিত ব্যবস্থার অনুরূপভাবে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজে কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হলে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে চিকিৎসা সাহায্য দেওয়ার বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
‘সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত কমিটিতে সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি অর্থ বিভাগ পরীক্ষা করবে। অর্থ বিভাগ অবসরপ্রাপ্ত প্রবাসী সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষরদানসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে পারে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, পেনশন-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে এর আগে সময়ে সময়ে নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এখন পেনশন নিয়ে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অর্থ বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, পেনশন অ্যান্ড ফান্ড ম্যানেজমেন্টের চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার এবং বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির প্রশাসককে সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পেনশন-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত আমরা পেয়েছি। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এর মধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, একজন পেনশনারের দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীকে পেনশন দেওয়ার বিধান চালু হলে এতে একাধিক বিয়েকে উৎসাহিত করা হবে। অবসরে গিয়েও তারা বিয়ে করতে উৎসাহিত হবেন। দেখা গেল, বৃদ্ধ বয়সে কম বয়সীকে বিয়ে করে বসলেন। কারণ তার পেনশন পাওয়ার একটা নিশ্চয়তা তৈরি হয়ে আছে। এগুলো ভালো কিছু হবে না।
তিনি বলেন, অবসরের পর বিয়ে করলে সেই স্বামী কিংবা স্ত্রীকে পেনশন দেওয়া উচিত হবে না। কারণ, এতে একাধিক বিয়েতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখা দেবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, পেনশন সম্পর্কে আমাদের একটি প্রচলিত ধারণা আছে যে পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য এটা করা হয়। কিন্তু পেনশন মূলত তাকেই দেওয়া হয়, যাকে নমিনি করা হয়। নমিনি বলতে সাধারণত স্ত্রী হন। এখন ধরুন, স্ত্রী যদি মারা যান কিংবা তালাক হয়ে যায়, তখন তিনি আর পেনশনের ভাগীদার হন না। এক্ষেত্রে পেনশনার যদি আবার বিয়ে করেন, তখন তাঁকে পেনশনের ভাগীদার করা অন্যায় কিছু না।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন-সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে একগুচ্ছ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবী পেনশন ভোগরত অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করলে, মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী অথবা স্বামীও নিয়ম অনুযায়ী পেনশন পাবেন।
সম্প্রতি সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশিদের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পেনশন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আ ক ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী পেনশন গ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যা সভায় তুলে ধরেন বলে জানা গেছে।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত সময়ে পুনঃস্থাপনের পূর্বে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীর মৃত্যুতে স্বামী/স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারীর অনুকূলে পেনশন মঞ্জুরের বিষয়টি অর্থ বিভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এছাড়া পেনশন ভোগরত অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করলে সেই পেনশনারের মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে পারিবারিক পেনশন মঞ্জুরের বিষয়টি বিবেচনার জন্য অর্থ বিভাগ জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠাবে।
১৯৮০ সাল থেকে পেনশনের পুরো টাকা একসঙ্গে তুলে নেওয়ার সুযোগ দিয়ে আসছে সরকার। এরপর অনেকেই পেনশনের পুরো টাকা একসঙ্গে তুলে নেন। এভাবে যাঁরা পেনশনের সব টাকা তুলে নিয়ে পারিবারিক কাজে লাগিয়েছিলেন বা সন্তানদের হাতে সব টাকা তুলে দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই বিপাকে পড়েন। এভাবে বিপাকে পড়া পেনশনাররা একটি মোর্চা গঠন করে বহুদিন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেনদরবার করেন।
শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর তাঁদের মাসিক পেনশন পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী কর্মচারী অবসর গ্রহণের তারিখ থেকে ১৫ বছর পর পেনশন পুনঃস্থাপন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগ।
একসঙ্গে যাঁরা পেনশনের সব টাকা তুলে নিয়েছিলেন, তাঁরা আর মাসিক পেনশন পান না। তাঁদের বছরে দুটি উৎসব ভাতা এবং চিকিৎসা ভাতা দিচ্ছে সরকার। শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের অবসরে যাওয়ার ১৫ বছর পর পেনশন পুনঃস্থাপনের সুযোগ রয়েছে। তবে পেনশন পুনঃস্থাপনের আগে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী মারা গেলে তাঁর স্বামী/স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারীদের কেউ এখন পেনশন সুবিধা পান না।
সম্প্রতি হওয়া ওই বৈঠকে পেনশন পুনঃস্থাপনের আগে কেউ মারা গেলে তাঁর স্বামী/স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারীর অনুকূলে পেনশন মঞ্জুরের বিষয়টি অর্থ বিভাগকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পাশাপাশি, শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীর পেনশন পুনঃস্থাপনের নির্ধারিত অপেক্ষাকাল ১৫ বছর থেকে ১০ বছরে কমানো যায় কিনা, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষাক্রমে সুপারিশের জন্য অর্থ বিভাগ জাতীয় বেতন কমিশনে প্রেরণ করবে।
শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদেরকে ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে পাঁচ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট হিসাব করে উৎসব ভাতা দেওয়া হলেও, যথাসময়ে তাঁদের পেনশন পুনঃস্থাপিত হওয়ার পর পেনশনের সঙ্গে সেই ইনক্রিমেন্টের বর্ধিত অর্থ দেওয়া হয় না। তাঁদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের বর্ধিত অর্থ দেওয়ার বিষয়টি অর্থ বিভাগ পর্যালোচনা করবে।
বৈঠকের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পারিবারিক পেনশন গ্রহীতার নিজের প্রদত্ত ‘পুনর্বিবাহ না করার প্রত্যয়ন’ (অসত্য তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান সাপেক্ষে) গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করা হবে। কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য প্রচলিত ব্যবস্থার অনুরূপভাবে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজে কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হলে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে চিকিৎসা সাহায্য দেওয়ার বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
‘সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত কমিটিতে সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি অর্থ বিভাগ পরীক্ষা করবে। অর্থ বিভাগ অবসরপ্রাপ্ত প্রবাসী সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষরদানসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে পারে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, পেনশন-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে এর আগে সময়ে সময়ে নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এখন পেনশন নিয়ে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অর্থ বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, পেনশন অ্যান্ড ফান্ড ম্যানেজমেন্টের চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার এবং বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির প্রশাসককে সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পেনশন-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত আমরা পেয়েছি। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এর মধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, একজন পেনশনারের দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীকে পেনশন দেওয়ার বিধান চালু হলে এতে একাধিক বিয়েকে উৎসাহিত করা হবে। অবসরে গিয়েও তারা বিয়ে করতে উৎসাহিত হবেন। দেখা গেল, বৃদ্ধ বয়সে কম বয়সীকে বিয়ে করে বসলেন। কারণ তার পেনশন পাওয়ার একটা নিশ্চয়তা তৈরি হয়ে আছে। এগুলো ভালো কিছু হবে না।
তিনি বলেন, অবসরের পর বিয়ে করলে সেই স্বামী কিংবা স্ত্রীকে পেনশন দেওয়া উচিত হবে না। কারণ, এতে একাধিক বিয়েতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখা দেবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, পেনশন সম্পর্কে আমাদের একটি প্রচলিত ধারণা আছে যে পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য এটা করা হয়। কিন্তু পেনশন মূলত তাকেই দেওয়া হয়, যাকে নমিনি করা হয়। নমিনি বলতে সাধারণত স্ত্রী হন। এখন ধরুন, স্ত্রী যদি মারা যান কিংবা তালাক হয়ে যায়, তখন তিনি আর পেনশনের ভাগীদার হন না। এক্ষেত্রে পেনশনার যদি আবার বিয়ে করেন, তখন তাঁকে পেনশনের ভাগীদার করা অন্যায় কিছু না।
সফরকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে মাদক ও সন্ত্রাস দমন, পুলিশ প্রশিক্ষণ, রোহিঙ্গা সংকটসহ পারস্পরিক সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ সময় ‘মাদক, সাইকোট্রপিক পদার্থ ও তাদের পূর্বসূরিদের অবৈধ পাচার ও অপব্যবহারের মোকাবিলা’ শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগের্যাব ৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফিন জানান, র্যাব মূলত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে তাঁর পরিচয় জানতে পারে। তারপর আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হই, তিনি বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মুখোশ প্রসঙ্গে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, অনেকসময় নিজের পরিচয়
২ ঘণ্টা আগেআজীবন সংগ্রামী নেতা বদরুদ্দীন উমর কখনও আপস করেননি। চারপাশের লেখক, বুদ্ধিজীবীরা যখন নানা সুবিধা নিয়ে বেঁচেবর্তে ছিলেন, তখনও কারও কাছে কোনো সুযোগ-সুবিধার জন্য নিজেকে বিক্রি করে দেননি তিনি। তাই আগামী দিনে অনিবার্য হয়ে থাকবেন বদরুদ্দীন উমর।
৩ ঘণ্টা আগেআয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘জুলাই গণহত্যা’ একটি নির্মম ও বেদনাদায়ক অধ্যায়। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দ্রুত বিচার এবং অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ শনাক্ত ও স্বীকৃতির দাবি জানান তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে