leadT1ad

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের ধাওয়া-সাউন্ড গ্রেনেড

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৫২
শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। স্ট্রিম ছবি

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়াসহ ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। আজ রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ। এ সময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করেন পুলিশ সদস্যরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষক জানান, তাঁরা প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মূসচি পালন করছিলেন। পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে পুলিশ এসে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া দেয়। এসময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন শিক্ষকেরা।

পুলিশ জানায়, শিক্ষকেরা মূল সড়কের ওপরে অবস্থান নেওয়ার কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সোয়া দুইটার দিকে সড়ক থেকে শিক্ষকদের সরিয়ে দিতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।

জামালপুরের আব্দুল হামিদ খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সানোয়ার হোসেন স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমাদের দাবির পর সরকার ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়িয়েছে। এটি প্রহসন। সরকারি-বেসরকারি চাকরির বৈষম্য স্পষ্ট। আমরা ভেবেছিলাম ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে বৈষম্যমুক্ত করবে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে হচ্ছে উল্টো। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ইউসুফগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আনিছুর রহমান বলেন, ‘সারা দেশ থেকে শিক্ষকেরা এসেছেন। আমরা আগেও আন্দোলন করেছি, কিন্তু সরকার দাবি মানেনি। উল্টো আমাদের আন্দোলনে পুলিশ চড়াও হলো।’

এদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব ও চলমান আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক দেলওয়ার হোসেন আজিজী আন্দোলনরত শিক্ষকদের শহীদ মিনারের সামনে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

দেলওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, সবাই শহীদ মিনারে আসুন। জোট নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। প্রজ্ঞাপন নিয়েই আমরা ঢাকা ছেড়ে যাব।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষকেরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়ার ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করার বিষয়ে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ। এরপর এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে আপত্তি শুরু হয়। শিক্ষকেরা বলে আসছেন মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধি শিক্ষকদের জন্য ‘লজ্জার বিষয়’। তাঁরা মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত