ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পরীক্ষা ও আর্থিক সংকট একটি বড় বিষয়। তবে এর পাশাপাশি অনেক চাকরিপ্রত্যাশীও রয়েছেন, যাঁরা বাড়িতে গিয়ে কী বলবেন, সেই দুশ্চিন্তা থেকেও হল ছাড়ছেন না।
কৌরিত্র পোদ্দার তীর্থ
শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। বছরের এই সময়টায় সবাই সাধারণত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। তবে এর মধ্যেও কয়েকজন ব্যতিক্রম আছেন। এ সময়টায় তাঁরা পরিবারের সঙ্গে থাকেন না—কেউ বাধ্য হয়ে, আবার কেউ স্বেচ্ছায়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলগুলোতে এমন ব্যক্তিদের দেখা মেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের বড় অংশই পূজার মধ্যে হল ছেড়ে বাড়িতে যান। তবে এর মধ্যেও ছোট একটি অংশ হলে থাকেন। অন্যদিকে, রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ছাত্রাবাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য পূজায় থাকাটা বাধ্যতামূলক। যদিও এই দুই জায়গাতেই প্রতিবছর ধুমধামের সঙ্গে দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়।
পূজার ছুটিতেও কেন হলে থাকছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পরীক্ষা, চাকরির পরীক্ষা, টিউশনিসহ নানা বিষয়কে সামনে এনেছেন। অন্যদিকে রামকৃষ্ণ মিশনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য মিশনে থাকা বাধ্যতামূলক।
এবার পূজায় হলেই কাটাবেন বলে ঠিক করেছেন ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নোবেল চন্দ্র রায়। কারণ, হিসেবে তিনি স্ট্রিমকে ফাইনাল পরীক্ষা ও স্পেশাল বিসিএসের কথা বলেন। হলে শিক্ষার্থীরা কেন থাকছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে নোবেল জানান, পরীক্ষা ও আর্থিক সংকট একটি বড় বিষয়। তবে এর পাশাপাশি অনেক চাকরিপ্রত্যাশীও রয়েছেন, যাঁরা বাড়িতে গিয়ে কী বলবেন, সেই দুশ্চিন্তা থেকেও হল ছাড়ছেন না।
পরীক্ষার জন্য হলে থেকে যাওয়ার কথা জানান আরেক শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সেনও। আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের ২১-২২ সেশনের এই শিক্ষার্থী স্ট্রিমকে জানান, আগামী ১২ তারিখে তাঁর পরীক্ষা। তাই এবার আর পূজায় বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না।
ইংরেজি বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী বিপ্র বিশ্বাস অবশ্য পরীক্ষার জন্য হলে থাকছেন, এমন নয়। স্ট্রিমকে জানান, পূজার সময় তিনি ঢাকা থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফাঁকা হল তাঁর বেশি ভালো লাগে। তিনি বলেন, ‘আমার রুমমেটরা যদি চলে যায়, আমি রুমে একা একা নিজের মতো দুই-তিনটা খাট এক করেও ঘুমায় থাকতে পারি।’
আমার বিভাগের যাঁরা আছেন বা যাঁরা কোনো কারণে বাড়ি যেতে পারেন না, তাঁদের আমি ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করি হলে। তাঁরা এলে তাঁদের সাথে দেখা হয়। পূজার কোনো একদিন আমি হয়তো পুরান ঢাকায় যাই পূজা দেখতে। একবার এরকম নারায়ণগঞ্জ গিয়েছিলাম। বিপ্র বিশ্বাস, শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিবার-পরিজন ছেড়ে ছাত্রাবাসের দিনগুলোতে পূজা কেমন কাটে, এ প্রশ্নের জবাবে বিপ্র বলেন, ‘আমার বিভাগের যাঁরা আছেন বা যাঁরা কোনো কারণে বাড়ি যেতে পারেন না, তাঁদের আমি ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করি হলে। তাঁরা এলে তাঁদের সাথে দেখা হয়। পূজার কোনো একদিন আমি হয়তো পুরান ঢাকায় যাই পূজা দেখতে। একবার এরকম নারায়ণগঞ্জ গিয়েছিলাম।’
পূজায় হলে বিভিন্ন আয়োজন থাকলেও বাড়ির জন্য মন খারাপ হয় বলে জানান অর্ণব ও নোবেল। পূজার সময় হলে খাবারের সংকটের কথাও স্বীকার করেন জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা।
নিজের উচ্চমাধ্যমিক জীবন রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রাবাসে কাটিয়েছিলেন বিনোদ সাহা বিশাল। তখন দুর্গা পূজার সময় বাধ্যতামূলকভাবে ছাত্রাবাসে থাকতে হতো তাঁর। বর্তমানে তিনি ঢাবির গণিত বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। ছাত্রাবাসের সময়ে পূজার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘এটি দারুণ এক অভিজ্ঞতা। আমার এখনও সেই মুহূর্তগুলো মনে পড়ে। বাবা-মাকে ছেড়ে পূজা উদযাপন করা একটু তো কষ্টদায়ক। কিন্তু ওখানে আরেকটা নতুন ধরনের আনন্দ কাজ করে। ওখানে মহারাজরা (রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা) থাকেন। যে কারণে ওই বিষয়গুলো তখন আর অতটা প্রাধান্য পায় না। দশমীর দিন সবাই আবার ছুটি পায়। সবাই বাড়ি যেতে পারে।’
বিনোদ আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা দশমীর দিন সবাই একত্রিত হয়ে পুরো ঢাকা শহর ঘোরা হয়। আর কাজের সাথে ইনভলভ (যুক্ত) থাকা হয় তো, যে কারণে সময়গুলো চলে যায়। কীভাবে যে দুর্গাপূজা শুরু আর শেষ হলো, তা বলা যায় না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী অপূর্বানন্দ রায় এ বছর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রামকৃষ্ণ মিশনে কাজ করবেন। তিনি বাড়ি যাবেন নবমীর পর। মিশনের পরিবেশ তাঁর ভালো লাগে বিধায় পূজার সময়টা এখানেই কাটাবেন বলে ঠিক করেছেন।
এটি দারুণ এক অভিজ্ঞতা। আমার এখনও সেই মুহূর্তগুলো মনে পড়ে। বাবা-মাকে ছেড়ে পূজা উদযাপন করা একটু তো কষ্টদায়ক। কিন্তু ওখানে আরেকটা নতুন ধরনের আনন্দ কাজ করে। বিনোদ সাহা বিশাল, শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাবি
জগন্নাথ হলে শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি ক্যান্টিন রয়েছে। এর মধ্যে রবীন্দ্র ভবনের ‘শংকরের ক্যান্টিন’ পূজা উপলক্ষে বন্ধ রয়েছে। বাকি দুটি ক্যান্টিন খোলা থাকলেও সেখানে তেমন ভিড় নেই।
অক্টোবর স্মৃতি ভবনের নিচেই অবস্থিত ‘রফিকের ক্যান্টিন’। পূজা উপলক্ষে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেলেও ক্যান্টিনটি খোলা রয়েছে। এই ক্যান্টিন পরিচালনাকারী রফিকুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আগে ধরেন ১০০ জন আসলে, এখন ৫০-৬০ শতাংশ হয়তো আসে।’
আগামী দুই-একদিনের মধ্যে এই হারও কমে আসবে বলে জানান তিনি। কেননা এর মধ্যে অনেকেই বাড়ি চলে যাবে। তবে এরপরও পূজার দিনগুলোতে ক্যান্টিন খোলা রাখবেন বলে জানান রফিকুল। পূজার দিনগুলোতে বিক্রিবাট্টা বাড়ে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নেতিবাচক উত্তর দেন। তাঁর মতে, এ সময় বাইরের স্টলগুলোতেই খাবারের চাহিদা বেশি থাকে।
হলে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান নুডুলসের দোকানের কর্মচারী কলিমুল্লাহ। তিনি স্ট্রিমকে জানান, প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যাওয়ায় দোকানের বিক্রিও কমে গেছে। পূজায় দোকান বসবে কি না, এমন প্রশ্নে কিছুটা চিন্তিত দেখা যায় কলিমুল্লাহকে। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন না উঠায় দিলে বইব।’
দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে শনিবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে জগন্নাথ হল কর্তৃপক্ষ। সেখানে হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূজা উপলক্ষে হল প্রাঙ্গন ২৩০টি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে ও প্রবেশমুখে মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার থাকবে। পাশাপাশি, কোনো ধরনের পটকা বা আতশবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, এনএসআই ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পূজায় প্রয়োজনীয় লোকবল ও কারিগরি সহায়তা দেবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
জগন্নাথ হলে পূজার আয়োজনের মধ্যে রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, রক্তদান কর্মসূচি, বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ইত্যাদি। এ ছাড়াও হলের অভ্যন্তরে দর্শনার্থী শিশু-কিশোরদের জন্য বেশ কিছু রাইড, খেলনা ও খাবার দোকানের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। বছরের এই সময়টায় সবাই সাধারণত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। তবে এর মধ্যেও কয়েকজন ব্যতিক্রম আছেন। এ সময়টায় তাঁরা পরিবারের সঙ্গে থাকেন না—কেউ বাধ্য হয়ে, আবার কেউ স্বেচ্ছায়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলগুলোতে এমন ব্যক্তিদের দেখা মেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের বড় অংশই পূজার মধ্যে হল ছেড়ে বাড়িতে যান। তবে এর মধ্যেও ছোট একটি অংশ হলে থাকেন। অন্যদিকে, রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ছাত্রাবাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য পূজায় থাকাটা বাধ্যতামূলক। যদিও এই দুই জায়গাতেই প্রতিবছর ধুমধামের সঙ্গে দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়।
পূজার ছুটিতেও কেন হলে থাকছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পরীক্ষা, চাকরির পরীক্ষা, টিউশনিসহ নানা বিষয়কে সামনে এনেছেন। অন্যদিকে রামকৃষ্ণ মিশনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য মিশনে থাকা বাধ্যতামূলক।
এবার পূজায় হলেই কাটাবেন বলে ঠিক করেছেন ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নোবেল চন্দ্র রায়। কারণ, হিসেবে তিনি স্ট্রিমকে ফাইনাল পরীক্ষা ও স্পেশাল বিসিএসের কথা বলেন। হলে শিক্ষার্থীরা কেন থাকছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে নোবেল জানান, পরীক্ষা ও আর্থিক সংকট একটি বড় বিষয়। তবে এর পাশাপাশি অনেক চাকরিপ্রত্যাশীও রয়েছেন, যাঁরা বাড়িতে গিয়ে কী বলবেন, সেই দুশ্চিন্তা থেকেও হল ছাড়ছেন না।
পরীক্ষার জন্য হলে থেকে যাওয়ার কথা জানান আরেক শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সেনও। আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের ২১-২২ সেশনের এই শিক্ষার্থী স্ট্রিমকে জানান, আগামী ১২ তারিখে তাঁর পরীক্ষা। তাই এবার আর পূজায় বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না।
ইংরেজি বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী বিপ্র বিশ্বাস অবশ্য পরীক্ষার জন্য হলে থাকছেন, এমন নয়। স্ট্রিমকে জানান, পূজার সময় তিনি ঢাকা থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফাঁকা হল তাঁর বেশি ভালো লাগে। তিনি বলেন, ‘আমার রুমমেটরা যদি চলে যায়, আমি রুমে একা একা নিজের মতো দুই-তিনটা খাট এক করেও ঘুমায় থাকতে পারি।’
আমার বিভাগের যাঁরা আছেন বা যাঁরা কোনো কারণে বাড়ি যেতে পারেন না, তাঁদের আমি ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করি হলে। তাঁরা এলে তাঁদের সাথে দেখা হয়। পূজার কোনো একদিন আমি হয়তো পুরান ঢাকায় যাই পূজা দেখতে। একবার এরকম নারায়ণগঞ্জ গিয়েছিলাম। বিপ্র বিশ্বাস, শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিবার-পরিজন ছেড়ে ছাত্রাবাসের দিনগুলোতে পূজা কেমন কাটে, এ প্রশ্নের জবাবে বিপ্র বলেন, ‘আমার বিভাগের যাঁরা আছেন বা যাঁরা কোনো কারণে বাড়ি যেতে পারেন না, তাঁদের আমি ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করি হলে। তাঁরা এলে তাঁদের সাথে দেখা হয়। পূজার কোনো একদিন আমি হয়তো পুরান ঢাকায় যাই পূজা দেখতে। একবার এরকম নারায়ণগঞ্জ গিয়েছিলাম।’
পূজায় হলে বিভিন্ন আয়োজন থাকলেও বাড়ির জন্য মন খারাপ হয় বলে জানান অর্ণব ও নোবেল। পূজার সময় হলে খাবারের সংকটের কথাও স্বীকার করেন জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা।
নিজের উচ্চমাধ্যমিক জীবন রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রাবাসে কাটিয়েছিলেন বিনোদ সাহা বিশাল। তখন দুর্গা পূজার সময় বাধ্যতামূলকভাবে ছাত্রাবাসে থাকতে হতো তাঁর। বর্তমানে তিনি ঢাবির গণিত বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। ছাত্রাবাসের সময়ে পূজার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘এটি দারুণ এক অভিজ্ঞতা। আমার এখনও সেই মুহূর্তগুলো মনে পড়ে। বাবা-মাকে ছেড়ে পূজা উদযাপন করা একটু তো কষ্টদায়ক। কিন্তু ওখানে আরেকটা নতুন ধরনের আনন্দ কাজ করে। ওখানে মহারাজরা (রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা) থাকেন। যে কারণে ওই বিষয়গুলো তখন আর অতটা প্রাধান্য পায় না। দশমীর দিন সবাই আবার ছুটি পায়। সবাই বাড়ি যেতে পারে।’
বিনোদ আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা দশমীর দিন সবাই একত্রিত হয়ে পুরো ঢাকা শহর ঘোরা হয়। আর কাজের সাথে ইনভলভ (যুক্ত) থাকা হয় তো, যে কারণে সময়গুলো চলে যায়। কীভাবে যে দুর্গাপূজা শুরু আর শেষ হলো, তা বলা যায় না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী অপূর্বানন্দ রায় এ বছর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রামকৃষ্ণ মিশনে কাজ করবেন। তিনি বাড়ি যাবেন নবমীর পর। মিশনের পরিবেশ তাঁর ভালো লাগে বিধায় পূজার সময়টা এখানেই কাটাবেন বলে ঠিক করেছেন।
এটি দারুণ এক অভিজ্ঞতা। আমার এখনও সেই মুহূর্তগুলো মনে পড়ে। বাবা-মাকে ছেড়ে পূজা উদযাপন করা একটু তো কষ্টদায়ক। কিন্তু ওখানে আরেকটা নতুন ধরনের আনন্দ কাজ করে। বিনোদ সাহা বিশাল, শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাবি
জগন্নাথ হলে শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি ক্যান্টিন রয়েছে। এর মধ্যে রবীন্দ্র ভবনের ‘শংকরের ক্যান্টিন’ পূজা উপলক্ষে বন্ধ রয়েছে। বাকি দুটি ক্যান্টিন খোলা থাকলেও সেখানে তেমন ভিড় নেই।
অক্টোবর স্মৃতি ভবনের নিচেই অবস্থিত ‘রফিকের ক্যান্টিন’। পূজা উপলক্ষে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেলেও ক্যান্টিনটি খোলা রয়েছে। এই ক্যান্টিন পরিচালনাকারী রফিকুল ইসলাম স্ট্রিমকে বলেন, ‘আগে ধরেন ১০০ জন আসলে, এখন ৫০-৬০ শতাংশ হয়তো আসে।’
আগামী দুই-একদিনের মধ্যে এই হারও কমে আসবে বলে জানান তিনি। কেননা এর মধ্যে অনেকেই বাড়ি চলে যাবে। তবে এরপরও পূজার দিনগুলোতে ক্যান্টিন খোলা রাখবেন বলে জানান রফিকুল। পূজার দিনগুলোতে বিক্রিবাট্টা বাড়ে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নেতিবাচক উত্তর দেন। তাঁর মতে, এ সময় বাইরের স্টলগুলোতেই খাবারের চাহিদা বেশি থাকে।
হলে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান নুডুলসের দোকানের কর্মচারী কলিমুল্লাহ। তিনি স্ট্রিমকে জানান, প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যাওয়ায় দোকানের বিক্রিও কমে গেছে। পূজায় দোকান বসবে কি না, এমন প্রশ্নে কিছুটা চিন্তিত দেখা যায় কলিমুল্লাহকে। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন না উঠায় দিলে বইব।’
দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে শনিবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে জগন্নাথ হল কর্তৃপক্ষ। সেখানে হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূজা উপলক্ষে হল প্রাঙ্গন ২৩০টি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে ও প্রবেশমুখে মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার থাকবে। পাশাপাশি, কোনো ধরনের পটকা বা আতশবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, এনএসআই ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পূজায় প্রয়োজনীয় লোকবল ও কারিগরি সহায়তা দেবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
জগন্নাথ হলে পূজার আয়োজনের মধ্যে রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, রক্তদান কর্মসূচি, বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ইত্যাদি। এ ছাড়াও হলের অভ্যন্তরে দর্শনার্থী শিশু-কিশোরদের জন্য বেশ কিছু রাইড, খেলনা ও খাবার দোকানের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
খাগড়াছড়িতে মারমা এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে টানা ছয় দিন (বুধবার থেকে সোমবার) ধরে উত্তেজনা চলছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ বিক্ষোভ রোববারে (২৮ সেপ্টেম্বর) এসে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
১৭ মিনিট আগেদেশজুড়ে ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মন্দিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় এই উৎসব উদযাপিত হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের ব্যবধানে আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এবার ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪১৫ টাকা বেড়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে শিক্ষকবহির্ভূত অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা আর একচ্ছত্রভাবে পরিচালনা পর্ষদ বা ম্যানেজিং কমিটির কাছে থাকছে না। আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে বিষয়টি জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে