leadT1ad

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ট্রাম্পের ভাষণের সময় হট্টগোল, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৩২
সংসদ সদস্য আয়মান ওদেহকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দিচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীরা। ছবি: আল-জাজিরা

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে হট্টগোল করা হয়েছে। ইসরায়েলের আয়মান ওদেহ নামে বামপন্থি এক সংসদ সদস্য (এমপি) ট্রাম্পের বক্তব্য থামিয়ে অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রকে হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত তাঁকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেন।

আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি উপলক্ষে ইসরায়েল সফর করছেন ট্রাম্প। এই সফরের অংশ হিসেবে তিনি নেসেটে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তার ভাষণের শুরুর দিকেই এই ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরার।

ঘটনার কিছু আগে, এমপি ওদেহ তার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে লেখেন, পার্লামেন্টের ভেতরে যে পরিমাণ ভণ্ডামি চলছে, তা অসহনীয়। সবাই নেতানিয়াহুকে প্রশংসার বন্যায় ভাসালেও গাজায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় কিংবা লাখো ফিলিস্তিনি ও হাজারো ইসরায়েলি নাগরিকের রক্তের দায় থেকে তিনি (নেতানিয়াহু) এবং তার সরকার মুক্ত হতে পারেন না।

ওই পোস্টে ওদেহ আরও লেখেন, ‘শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি এবং সামগ্রিক চুক্তির কারণেই আমি এখানে আছি। শুধুমাত্র দখলদারিত্বের অবসান এবং ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলেই সকলের জন্য ন্যায়বিচার, শান্তি এবং নিরাপত্তা আসবে।’

ওদেহের পাশাপাশি বামপন্থি এমপি ওফার ক্যাসিফও ট্রাম্পের বক্তব্য চলাকালে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দাও’ এবং ‘গণহত্যা’ লেখা ব্যানার প্রদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।

নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের সরিয়ে নেওয়ার পর ট্রাম্প তার ভাষণ আবার শুরু করেন এবং পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নিরাপত্তাকর্মীদের দক্ষতার প্রশংসা করেন।

ট্রাম্প তার ভাষণে গাজায় যুদ্ধবিরতিকে একটি ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক ভোর’ বলে অভিহিত করে বলেন, ‘বহু বছরের যুদ্ধ ও অন্তহীন বিপদের পর, আজ আকাশ শান্ত, বন্দুক নীরব, সাইরেন স্তব্ধ এবং শান্তির সূর্য উদিত হয়েছে পবিত্র ভূমিতে।’ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতার জন্য আরব ও মুসলিম দেশগুলোর ভূমিকারও প্রশংসা করেন ট্রাম্প।

ভাষণের আগে ট্রাম্পকে ইসরায়েলের ‘সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁকে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে, সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ট্রাম্পকে স্বাগত জানান নেতানিয়াহু। যাত্রা শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘যুদ্ধ শেষ হয়েছে’ ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

এই সফরের অংশ হিসেবে তিনি সদ্য মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। ট্রাম্পের এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত