স্ট্রিম ডেস্ক
গাজায় চলমান যুদ্ধ ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে একটি যৌথ খোলা চিঠি প্রকাশ করেছেন গাজার তিনটি প্রধান অলাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, আল-আকসা বিশ্ববিদ্যালয়, আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় (গাজা), এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজা। এই তিন প্রতিষ্ঠান একত্রে গাজার সিংহভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব করে। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে আয়মান সাবহ, ওমর মিলাদ এবং আসাদ আসাদের স্বাক্ষরিত বিবৃতি নিচে তুলে ধরা হলো:
আমরা গাজার তিনটি অলাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একত্রে গাজার সিংহভাগ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের প্রতিনিধিত্ব করে। গাজায় এই বীভৎসতার সময়ে আন্তর্জাতিক একাডেমিক সমাজের উদ্দেশে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ বিবৃতি দিচ্ছি।
ইসরায়েলের চলমান গণহত্যামূলক যুদ্ধ আমাদের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থার উপর এক সুপরিকল্পিত আঘাত হেনেছে। একে আমরা বলছি ‘স্কলাস্টিসাইড’। অর্থাৎ, ইচ্ছাকৃত ও ধারাবাহিকভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, এর অবকাঠামো, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা।
এই ধ্বংসযজ্ঞ দুর্ঘটনাজনিত বা অনিচ্ছাকৃত নয়। এটি লক্ষ্যভিত্তিক প্রচেষ্টা, যার উদ্দেশ্য হলো গাজার উচ্চশিক্ষার ভিত্তিকে মুছে ফেলা- যে ভিত্তি এতদিন ধরে দখলদারিত্ব ও অবরোধের মধ্যেও টিকে থেকেছে দৃঢ়তা, আশাবাদ এবং বৌদ্ধিক স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে।
ফিলিস্তিনজুড়ে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান বহু দশক ধরে হামলার শিকার হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে আমরা যে পরিস্থিতি দেখছি, তা এক ভয়াবহ রূপান্তরের দিক নির্দেশ করে। আগের সকল ধ্বংসের ঘটনাকে ছাপিয়ে গিয়ে এবার এটি পরিণত হয়েছে গাজার উচ্চশিক্ষার ভিত্তিকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে ফেলার অপচেষ্টায়।
তবু, আমরা আমাদের অবস্থানে অটল। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা সংগঠিত হয়েছি এবং এই হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছি।
অবকাঠামের দিক থেকে ক্যাম্পাস, ল্যাবরেটরি, গ্রন্থাগার এবং অন্যান্য বিভাগ ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। তবুও, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো টিকে আছে। কারণ আমরা শুধু স্থাপনা নই, আমরা একটি একাডেমিক সমাজ, যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীরা আছেন। যারা এখনো জীবিত, তাঁরা সচেতন ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধভাবে আমাদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।
২০২৪ সালের ২৯ মে ফিলিস্তিনি একাডেমিক ও প্রশাসকদের জারি করা ঐক্যবদ্ধ জরুরি বিবৃতিতে যেমন বলা হয়েছিল, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আমাদের ভবন ভেঙে দিয়েছে, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখনো জীবিত।‘
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে, আমাদের শিক্ষক, কর্মী ও শিক্ষার্থীরা অকল্পনীয় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের মূল দায়িত্ব— শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণ, অনাহার, ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এবং চলমান গণহত্যার বিভীষিকা—কিছুই আমাদের মানসিক শক্তিকে ভাঙতে পারেনি। আমরা এখনো আছি, এখনো শিক্ষাদান চালিয়ে যাচ্ছি, এবং গাজার শিক্ষার ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার এখনো অটুট।
গত বছর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে গাজার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জরুরি কমিটি গঠন করি। এই কমিটি আমাদের তিনটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি রয়েছে গাজার ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।
এই কমিটি গঠিত হয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্মূল করে ফেলার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং গাজার একাডেমিক সমাজের পক্ষে একটি ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে।
এই কমিটি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক উপকমিটি গঠন করেছে, যাতে করে আন্তর্জাতিক সহায়তা গ্রহণের জন্য একটি সমন্বিত, বিশ্বাসযোগ্য ও কার্যকর কাঠামো তৈরি করা যায়।
আমরা বিশ্বের একাডেমিক সমাজগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা যেন এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে নিজেদেরকে সংগঠিত করেন। প্রতীকী সংহতির সময় এখন পেরিয়ে গেছে। আমরা এখন চাই বাস্তবিক, কাঠামোবদ্ধ ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব।
গাজায় চলমান যুদ্ধ ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে একটি যৌথ খোলা চিঠি প্রকাশ করেছেন গাজার তিনটি প্রধান অলাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, আল-আকসা বিশ্ববিদ্যালয়, আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় (গাজা), এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজা। এই তিন প্রতিষ্ঠান একত্রে গাজার সিংহভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব করে। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে আয়মান সাবহ, ওমর মিলাদ এবং আসাদ আসাদের স্বাক্ষরিত বিবৃতি নিচে তুলে ধরা হলো:
আমরা গাজার তিনটি অলাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একত্রে গাজার সিংহভাগ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের প্রতিনিধিত্ব করে। গাজায় এই বীভৎসতার সময়ে আন্তর্জাতিক একাডেমিক সমাজের উদ্দেশে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ বিবৃতি দিচ্ছি।
ইসরায়েলের চলমান গণহত্যামূলক যুদ্ধ আমাদের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থার উপর এক সুপরিকল্পিত আঘাত হেনেছে। একে আমরা বলছি ‘স্কলাস্টিসাইড’। অর্থাৎ, ইচ্ছাকৃত ও ধারাবাহিকভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, এর অবকাঠামো, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা।
এই ধ্বংসযজ্ঞ দুর্ঘটনাজনিত বা অনিচ্ছাকৃত নয়। এটি লক্ষ্যভিত্তিক প্রচেষ্টা, যার উদ্দেশ্য হলো গাজার উচ্চশিক্ষার ভিত্তিকে মুছে ফেলা- যে ভিত্তি এতদিন ধরে দখলদারিত্ব ও অবরোধের মধ্যেও টিকে থেকেছে দৃঢ়তা, আশাবাদ এবং বৌদ্ধিক স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে।
ফিলিস্তিনজুড়ে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান বহু দশক ধরে হামলার শিকার হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে আমরা যে পরিস্থিতি দেখছি, তা এক ভয়াবহ রূপান্তরের দিক নির্দেশ করে। আগের সকল ধ্বংসের ঘটনাকে ছাপিয়ে গিয়ে এবার এটি পরিণত হয়েছে গাজার উচ্চশিক্ষার ভিত্তিকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে ফেলার অপচেষ্টায়।
তবু, আমরা আমাদের অবস্থানে অটল। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা সংগঠিত হয়েছি এবং এই হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছি।
অবকাঠামের দিক থেকে ক্যাম্পাস, ল্যাবরেটরি, গ্রন্থাগার এবং অন্যান্য বিভাগ ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। তবুও, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো টিকে আছে। কারণ আমরা শুধু স্থাপনা নই, আমরা একটি একাডেমিক সমাজ, যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীরা আছেন। যারা এখনো জীবিত, তাঁরা সচেতন ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধভাবে আমাদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।
২০২৪ সালের ২৯ মে ফিলিস্তিনি একাডেমিক ও প্রশাসকদের জারি করা ঐক্যবদ্ধ জরুরি বিবৃতিতে যেমন বলা হয়েছিল, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আমাদের ভবন ভেঙে দিয়েছে, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখনো জীবিত।‘
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে, আমাদের শিক্ষক, কর্মী ও শিক্ষার্থীরা অকল্পনীয় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের মূল দায়িত্ব— শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণ, অনাহার, ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এবং চলমান গণহত্যার বিভীষিকা—কিছুই আমাদের মানসিক শক্তিকে ভাঙতে পারেনি। আমরা এখনো আছি, এখনো শিক্ষাদান চালিয়ে যাচ্ছি, এবং গাজার শিক্ষার ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার এখনো অটুট।
গত বছর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে গাজার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জরুরি কমিটি গঠন করি। এই কমিটি আমাদের তিনটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি রয়েছে গাজার ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।
এই কমিটি গঠিত হয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্মূল করে ফেলার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং গাজার একাডেমিক সমাজের পক্ষে একটি ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে।
এই কমিটি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক উপকমিটি গঠন করেছে, যাতে করে আন্তর্জাতিক সহায়তা গ্রহণের জন্য একটি সমন্বিত, বিশ্বাসযোগ্য ও কার্যকর কাঠামো তৈরি করা যায়।
আমরা বিশ্বের একাডেমিক সমাজগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা যেন এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে নিজেদেরকে সংগঠিত করেন। প্রতীকী সংহতির সময় এখন পেরিয়ে গেছে। আমরা এখন চাই বাস্তবিক, কাঠামোবদ্ধ ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব।
স্থানীয় এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, আমরা এখন পর্যন্ত ৫৯টি মরদেহ শনাক্ত করেছি। তবে একটি মরদেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আরও মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে।
১৮ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের বিমান হামলায় দামেস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সামরিক সদর দপ্তর ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের আশপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩০ জন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলে
২১ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনের খান ইউনুস শহরে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের এক ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ হচ্ছে ইসরায়েলি ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সহায়তা সংস্থা।
১ দিন আগে