leadT1ad

পাকিস্তানে সেনা অভিযানে ৩০ ‘জঙ্গি’ নিহত

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
পাকিস্তানি সেনা বহন করা একটি গাড়ি।

এই সপ্তাহের শুরুতে ওরকজাইতে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর 'সন্ত্রাসীর হামলা'র পর পাল্টা সেনা অভিযানে ৩০ জন 'জঙ্গি' নিহত হয়েছে। ওই হামলায় দুজন সেনা কর্মকর্তাসহ ১১ জন নিরাপত্তা কর্মীও ‘শহীদ’ হন।

আজ শুক্রবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সূত্রে দ্য ডন এ সংবাদ জানিয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওরকজাই জেলার নিরাপত্তা বাহিনী এই জঙ্গি দমন অভিযান চালায়। ফিতনা আল খারিজ নামের সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়। পাকিস্তানের অভিযোগ এই সংগঠনকে সহায়তা দেয় ভারত।

জুলাইয়ে পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে ‘ফিতনা আল খারিজ’ হিসেবে ঘোষণা করে।

এর পর থেকে সব প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয় এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দুষ্কৃতিকারীদের ক্ষেত্রে ‘খারিজি’ শব্দটি ব্যবহারের জন্য।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী মিডিয়া উইং আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মঙ্গলবারের অভিযানে ১৯ জন ‘ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতা-প্রাপ্ত’ জঙ্গি নিহত হয়।

কামাল মায়া এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে মোট ৩০ জন ভারত-পৃষ্ঠপোষক খারিজিকে শক্তিশালী গোলাযুদ্ধের পরে নির্মূল করা হয়েছে।

অভিযানগুলোর ফলে ওই বর্বর ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে এবং মূল দুষ্কৃতীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

২০২২ সালে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পরে হামলার সংখ্যা বেড়ে যায়।

ওরকজাই ঘটনার পরের দিন খাইবর পাখতুনখাওয়ায় দেরা ইসলাম খাঁ জেলায় একটি আন্তঃবাহিনী অভিযানকালে এক মেজর শহীদ হন ও সাতজন জঙ্গি নিহত হয়।

গত মাসেও একাধিক ঘটনায় খাইবর পাখতুনখাওয়ায় ১৯ জন সেনা শহীদ হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছিলেন, ‘আফগান সাময়িক সরকারকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, খারিজিদের পাশে দাঁড়াবে নাকি পাকিস্তানের পাশ।’

পাকিস্তান বারবার অভিযোগ করেছে যে টিটিপির মতো জঙ্গিরা আফগানিস্তানে উপস্থিত রয়েছে এবং তারা পাকিস্তানে হামলায় জড়িত।

পাকিস্তান কাবুলকে এসব হামলা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে। আফগান কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

বিষয়:

Ad 300x250

সম্পর্কিত