leadT1ad

ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন পাকিস্তানি বংশদ্ভুত শাবানা

এই রদবদলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট্টে কুপারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নিয়োগ পেয়েছেন লেবার পার্টির সদস্য ও বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। তিনি ব্রিটেনের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ২২
স্ট্রিম কোলাজ

উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেয়নারের পদত্যাগের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাঁর মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল এনেছেন। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নতুন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও উপ-প্রধানমন্ত্রী।

গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঘোষিত এই রদবদলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট্টে কুপারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নিয়োগ পেয়েছেন লেবার পার্টির সদস্য ও বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। তিনি ব্রিটেনের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিচারমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর উপপ্রধানমন্ত্রী, আবাসনমন্ত্রী ও লেবার দলের উপনেতার পদ থেকে পদত্যাগ করেন অ্যাঞ্জেলা রেয়নার। প্রায় ১৪ মাস ধরে এসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে একটি ফ্ল্যাট কেনার সময় প্রায় ৪০ হাজার পাউন্ড স্ট্যাম্প ডিউটি সঠিকভাবে পরিশোধ না করার কারণে ‘স্বাধীন নৈতিকতা তদন্তে’ দোষী সাব্যস্ত হন রেয়নার। যদিও তদন্তে বলা হয় তিনি ‘সৎ বিশ্বাসে’ কাজটি করেছিলেন, তবুও তা মন্ত্রিসভার আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল হিসেবে বিবেচিত হয়। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত অ্যাঞ্জেলা রেয়নার উপপ্রধানমন্ত্রী, আবাসনমন্ত্রী এবং লেবার পার্টির উপনেতার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পাওয়া শাবানা মাহমুদকে এখন অবৈধ অভিবাসন ও আশ্রয় সংকটের মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। রাজনৈতিক মহল তাঁকে ‘নিরাপদ হাত’ হিসেবে দেখছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়া কুপার দীর্ঘদিন লেবার পার্টির প্রভাবশালী মুখ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের সহযোগী ছিলেন।

রেয়নারের পদত্যাগ ঘিরে বিরোধীরা সরকারের সংকটের অভিযোগ তুললেও প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, স্টারমার এখন তাঁর ক্যাবিনেটে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী টিম’ গড়ে তুলেছেন। চিফ সেক্রেটারি ড্যারেন জোন্স জানান, ‘এটি বিশৃঙ্খলা নয়, বরং নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণের পরিচয়।’

এই রদবদলকে স্টারমারের প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পরিবর্তনের মাধ্যমে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটাতে চান স্টারমার। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন স্টারমার নেতৃত্বাধীন সরকার। এই পদক্ষেপকে ১৪ মাসের অস্থিরতার পর ‘বড় ধরনের পরিবর্তন’ বলে চিহ্নিত করছেন অনেকে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত