leadT1ad

২১৬৯ শূন্যপদে পিএসসির বিজ্ঞপ্তি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, পদের সংখ্যা ২ হাজার ১৬৯

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ২৩: ৩৫
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
স্ট্রিম গ্রাফিক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। রোববার (৩১ আগস্ট) বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মোট ২ হাজার ১৬৯টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্য ১১তম গ্রেড এবং প্রশিক্ষণবিহীনদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী এই গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ক্ষমতাবলে এই বিধিমালা জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন জারি করা বিধিমালার ‘তফসিল-১’ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে ২০ শতাংশ এবং পদোন্নতির মাধ্যমে ৮০ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরকারি নিয়োগের মাধ্যমেই তা পূরণ করা হবে। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়সসীমা হবে সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা

সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীরা যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক অথবা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।

আর পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক (সংগীত) বা সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদে মৌলিক প্রশিক্ষণ ও স্থায়ীকরণসহ চাকরির সময়সীমা অন্যূন ১২ বছর হতে হবে।

পরীক্ষার পদ্ধতি

এই নিয়োগের জন্য সরাসরি ও পদোন্নতির মাধ্যমে উভয় নিয়োগের ক্ষেত্রেই প্রার্থীদের মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে, যার মধ্যে ৯০ নম্বর থাকবে লিখিত। এই পরীক্ষায় বাংলায় ২৫, ইংরেজিতে ২৫, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) বিষয়ে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে হলে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।

বিশেষ বিধান

নতুন জারি করা বিধিমালার বিশেষ বিধানে বলা হয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ উপজেলা ও ক্ষেত্রমতে থানাভিত্তিক হবে। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগযোগ্য ৯৩ শতাংশ মেধাভিত্তিক এবং ৭ শতাংশ কোটার মাধ্যমে নিয়োগ হবে। নিয়োগযোগ্য ৯৩ প্রার্থীদের মধ্যে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের দ্বারা এবং ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের দ্বারা মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগযোগ্য হবে।

আর বিধিমালার অধীনে সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৭ শতাংশের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়।

বিধিমালায় কোটার বিষয়ে বিশেষ বিধানে আরও বলা হয়, কোটা বিভাজনের ক্ষেত্রে সরকার পরবর্তী সময়ে কোনও ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে কোটা বিভাজনের ক্ষেত্রে নতুনভাবে জারি করা বিধান অনুসরণ করতে হবে।

Ad 300x250

কেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ এক হলো

তারেক রহমানের দেশে ফেরা তাঁর নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাবি শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হচ্ছে স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক প্যানেল

ক্যাম্পাসে প্রবেশে কড়াকড়ি, পরিচয়পত্র ছাড়া ঢুকতে পারবেন না শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরাও

হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তুলতে জিডি করা লাগবে না

সম্পর্কিত