.png)
প্রেম কখনো হতে পারে আনন্দের, আবার কখনো বিপদের। অতিরিক্ত ভালোবাসা যখন কাউকে নিয়ন্ত্রণের অস্ত্রে পরিণত হয়, তখন তা হয়ে দাঁড়ায় ‘লাভ বোম্বিং’। সম্পর্কের নামে এই মানসিক ফাঁদ আজকাল শুধু প্রেমেই নয়, ঢুকে পড়েছে কর্মক্ষেত্রেও। লিখেছেন মনিকা দীপ্তি

স্ট্রিম ডেস্ক

প্রেমের বেদনার কথা শুনলেই মনে পড়ে জগজিৎ সিংয়ের গাওয়া সেই গানটি, ‘বেদনা মধুর হয়ে যায়, তুমি যদি দাও।’ প্রেমের সঙ্গে বেদনা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে। তবে কখনো কখনো প্রেম হয়ে যায় এমন এক বোমা, যার বিস্ফোরণে জীবন হয়ে ওঠে বেদনারই সাগর। ঠিক যেমন অতিরিক্ত মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস বেড়ে যায়, তেমনই অতিরিক্ত ভালোবাসাও টেনে আনতে পারে বিপর্যয়। এই ভালোবাসার বিস্ফোরণকেই বলা হয় ‘লাভ বোম্বিং’। শুনতে একটু কেমন যেন, তাই না? কিন্তু পৃথিবীতে এইরূপ ঘটে।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, লাভ বোম্বিং বা ভালোবাসার বিস্ফোরণ মানুষের মনস্তত্ত্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। মেয়েরাই বেশিরভাগ এর শিকার হয়। শুধু আবেগের বলি হয়ে মেয়েরা অনেক বড় বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। যা কখনো কখনো সামাজিক মর্যাদা হানি করে, আর্থিক সংকটের মুখে ফেলে, সেক্সুয়ালি এক্সপ্লয়েট বা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে দুর্বলতার সুযোগ নেওয়ার অবস্থা তৈরি করে।
মনোবিজ্ঞানী মার্গারেট সিঙ্গার তাঁর ‘কাল্টস ইন আওয়ার মিডস্ট’ বইয়ে ‘লাভ বোম্বিং’-কে বলেছিলেন ছলনাময় বন্ধুত্বের ফাঁদ। তাঁর মতে, এটি মূলত নতুন কাউকে মানসিকভাবে বশ করার হাতিয়ার।
মনোবিজ্ঞানী ডেল আর্চার ‘লাভ বোম্বিং’-এর মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন একধরনের চক্র। শুরু হয় আদরের ঝড় দিয়ে, তারপর আসে মানসিক অবমূল্যায়ন, শেষে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়া। এই পুরো প্রক্রিয়া চালানোর মধ্যে থাকে একধরনের নিয়ন্ত্রণের খেলা। আর যারা একবার এই খেলার শিকার হন, তাদের পক্ষে সহজে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, শুরুতে পাওয়া সেই উষ্ণ প্রশংসা আর মিষ্টি ব্যবহার বারবার মনের ভেতর ঘুরতে থাকে।
এখন শুধু প্রেম-ভালোবাসা নয়, এই ‘লাভ বোম্বিং’ ঢুকে পড়েছে কর্মক্ষেত্রেও। অফিসের নতুন বস বা সহকর্মী হঠাৎ করেই যদি আপনাকে আকাশছোঁয়া প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন, তাহলে একটু থেমে ভাবা উচিত। বিশেষ করে যদি সেই প্রশংসার পেছনে থেকে যায় গোপন কোনো উদ্দেশ্য। হয়তো আপনাকে দিয়ে বাড়তি কাজ করিয়ে নেওয়া বা দোষ চাপানোর জন্য প্রস্তুত রাখা। আর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, প্রথমে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়ে পরে সেটাকেই চুরমার করে ফেলা।
মনোবিদ সুসান অ্যান্ডারসন তাঁর ‘দ্য জার্নি ফ্রম অ্যাবান্ডমেন্ট ফ্রম হিলিং’ বইয়ে লাভ বোম্বিং থেকে বের হওয়ার উপায় সম্পর্কে বলেন, হুট করে কারো অতিরিক্ত মনোযোগ বা ভালোবাসা পেয়ে একলাফে বিশ্বাস করবেন না। নিজেকে সময় দিন। ভাবুন, এই সম্পর্ক বা মানুষটি আপনাকে কতটুকু সম্মান দিচ্ছে, কতটা স্থায়ী। প্রয়োজনে কাছের বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। আর নিজের সীমারেখা ঠিক রাখুন। একান্তই যদি দেখেন, কোথাও আপনার স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, সম্মান কমে যাচ্ছে, তখন সেই সম্পর্ক থেকে দূরে সরে আসাটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

প্রেমের বেদনার কথা শুনলেই মনে পড়ে জগজিৎ সিংয়ের গাওয়া সেই গানটি, ‘বেদনা মধুর হয়ে যায়, তুমি যদি দাও।’ প্রেমের সঙ্গে বেদনা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে। তবে কখনো কখনো প্রেম হয়ে যায় এমন এক বোমা, যার বিস্ফোরণে জীবন হয়ে ওঠে বেদনারই সাগর। ঠিক যেমন অতিরিক্ত মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস বেড়ে যায়, তেমনই অতিরিক্ত ভালোবাসাও টেনে আনতে পারে বিপর্যয়। এই ভালোবাসার বিস্ফোরণকেই বলা হয় ‘লাভ বোম্বিং’। শুনতে একটু কেমন যেন, তাই না? কিন্তু পৃথিবীতে এইরূপ ঘটে।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, লাভ বোম্বিং বা ভালোবাসার বিস্ফোরণ মানুষের মনস্তত্ত্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। মেয়েরাই বেশিরভাগ এর শিকার হয়। শুধু আবেগের বলি হয়ে মেয়েরা অনেক বড় বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। যা কখনো কখনো সামাজিক মর্যাদা হানি করে, আর্থিক সংকটের মুখে ফেলে, সেক্সুয়ালি এক্সপ্লয়েট বা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে দুর্বলতার সুযোগ নেওয়ার অবস্থা তৈরি করে।
মনোবিজ্ঞানী মার্গারেট সিঙ্গার তাঁর ‘কাল্টস ইন আওয়ার মিডস্ট’ বইয়ে ‘লাভ বোম্বিং’-কে বলেছিলেন ছলনাময় বন্ধুত্বের ফাঁদ। তাঁর মতে, এটি মূলত নতুন কাউকে মানসিকভাবে বশ করার হাতিয়ার।
মনোবিজ্ঞানী ডেল আর্চার ‘লাভ বোম্বিং’-এর মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন একধরনের চক্র। শুরু হয় আদরের ঝড় দিয়ে, তারপর আসে মানসিক অবমূল্যায়ন, শেষে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়া। এই পুরো প্রক্রিয়া চালানোর মধ্যে থাকে একধরনের নিয়ন্ত্রণের খেলা। আর যারা একবার এই খেলার শিকার হন, তাদের পক্ষে সহজে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, শুরুতে পাওয়া সেই উষ্ণ প্রশংসা আর মিষ্টি ব্যবহার বারবার মনের ভেতর ঘুরতে থাকে।
এখন শুধু প্রেম-ভালোবাসা নয়, এই ‘লাভ বোম্বিং’ ঢুকে পড়েছে কর্মক্ষেত্রেও। অফিসের নতুন বস বা সহকর্মী হঠাৎ করেই যদি আপনাকে আকাশছোঁয়া প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন, তাহলে একটু থেমে ভাবা উচিত। বিশেষ করে যদি সেই প্রশংসার পেছনে থেকে যায় গোপন কোনো উদ্দেশ্য। হয়তো আপনাকে দিয়ে বাড়তি কাজ করিয়ে নেওয়া বা দোষ চাপানোর জন্য প্রস্তুত রাখা। আর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, প্রথমে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়ে পরে সেটাকেই চুরমার করে ফেলা।
মনোবিদ সুসান অ্যান্ডারসন তাঁর ‘দ্য জার্নি ফ্রম অ্যাবান্ডমেন্ট ফ্রম হিলিং’ বইয়ে লাভ বোম্বিং থেকে বের হওয়ার উপায় সম্পর্কে বলেন, হুট করে কারো অতিরিক্ত মনোযোগ বা ভালোবাসা পেয়ে একলাফে বিশ্বাস করবেন না। নিজেকে সময় দিন। ভাবুন, এই সম্পর্ক বা মানুষটি আপনাকে কতটুকু সম্মান দিচ্ছে, কতটা স্থায়ী। প্রয়োজনে কাছের বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। আর নিজের সীমারেখা ঠিক রাখুন। একান্তই যদি দেখেন, কোথাও আপনার স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, সম্মান কমে যাচ্ছে, তখন সেই সম্পর্ক থেকে দূরে সরে আসাটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
.png)

বিয়ে করবেন নাকি আজীবন ব্যাচেলর থাকবেন? এই বিতর্ক আদ্যিকালের। বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলে কেউ পরামর্শ দেন, ‘বিয়ে মানে স্বাধীনতার শেষ।’কেউ আবার বলেন, ‘বিয়ে না করলেও তো জীবন চলে।’
১৩ ঘণ্টা আগে
১৯৭০ সালের ১৮ নভেম্বর। সেদিনই যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের লেকসাইড স্কুলের এক কিশোর প্রথমবারের মতো কম্পিউটার হাতে পেলেন। এরপর থেকে মাঝেমধ্যেই রাতে স্কুলের কম্পিউটার ল্যাবে আলো জ্বলতে দেখা যেত। চারপাশ নিস্তব্ধ, তার মধ্যেই শোনা যেত টাইপিংয়ের খচখচ শব্দ।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজ ২৭ অক্টোবর ভাওয়াইয়া সংগীতসম্রাট আব্বাসউদ্দীন আহমদের জন্মদিন। তিনি ভাওয়াইয়াকে নিয়ে গেছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। তাঁর কণ্ঠে গাওয়া বহু ভাওয়াইয়া গান পেয়েছে অমরত্ব। আব্বাসউদ্দীন ছিলেন প্রথম মুসলিম সংগীতশিল্পী, যিনি নিজের নামে গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে গান প্রকাশ করেন।
২ দিন আগে
আজ বিশ্বখ্যাত কবি সিলভিয়া প্লাথের জন্মদিন। আমেরিকান এই কবি নিজেকে উজাড় করে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কবিতার শব্দপুঞ্জে। তিনি লিখেছেন ব্যক্তিক অভিজ্ঞতা ও আর্তনাদের কথা, লিখেছেন বাসনা ও বাস্তবের নিরন্তর সংঘাতের কথা। মূলত জীবনকেই করে তুলেছিলেন কবিতার বিষয়। সিলভিয়া প্লাথের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে লিখেছে কবি জফির সেতু
২ দিন আগে