leadT1ad

খুলনার সাবেক যুবদল নেতাকে গুলি ও রগ কেটে হত্যা

মাহবুবুর রহমানকে নিজের বাসার সামনে একটি মোটরসাইকেলে আসা তিনজন তাঁকে গুলি করে। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে তাঁর দুই পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ২০: ৩১
খুলনায় নিহত সাবেক যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা নগরীতে সাবেক (বহিষ্কৃত) যুবদল নেতা মোল্লা মাহবুবুর রহমানকে (৩৮) বাড়ির সামনে গুলি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

মাহবুবুর রহমান পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. আব্দুল করিম মোল্লার ছেলে। তিনি নগরীর দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি। তাঁর হত্যাকাণ্ডের খবর নিশ্চিত করেন জেলার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী। তাঁর মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

মাহবুবের স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে মাহবুবুর রহমান বাসার সামনে নিজের প্রাইভেট কারটি পরিস্কার করছিলেন। এ সময়ে হেলমেট পরা অবস্থায় তিনজন একটি মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করতে থাকে। এর একটি গুলি মাথায় লাগলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁর দুই পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

মাহবুবুর রহমান দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি ছিলেন। তবে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। এ সময় রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবদল নেতা মাহবুবুরের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়লে বির্তক সৃষ্টি হয়। এর জেরে ওই দিনগত রাতেই সংগঠন থেকে মাহাবুবকে বহিষ্কার করে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। এরপরও তিনি দলীয় কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নিতেন।

দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী জানান, ‘হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে গুলির ৪টি খোসা ও একটি অব্যবহৃত গুলি জব্দ করা হয়েছে। তবে কী কারণে ও কারা মাহবুবকে হত্যা করতে পারে, প্রাথমিকভাবে বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে মাহবুব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সন্ধ্যায় ওই এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা করেনি। তবে বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এর কারণ উদ্ঘাটনসহ জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত